খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশ অনেকটা বেড়ে গেল। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই চিত্র পাওয়া গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই হারের অর্থ হলো খাদ্যপণ্য কিনতে দেশের মানুষকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ যে খাদ্যপণ্য কিনতে আগে ১০০ টাকা খরচ হতো, সেই একই পরিমাণ পণ্য কিনতে জুলাই মাসে ১১৪ দশমিক ১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে। জুলাই মাসে এই হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জুন মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুটোই বাড়ার কারণে জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিবিএস যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাতে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিবিএস এই প্রথম মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করল, যাতে দেখা যাচ্ছে দেশে মূল্যস্ফীতি আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। যা ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি কাজী সাঈদ, সম্পাদক মিজান
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র
স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?
চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১
পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত