এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করা প্রয়োজন -উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে যে কোনো একটি দেশের জাতির জন্য ভিতস্বরূপ। কারণ বাচ্চারা প্রথম জীবনে যা পড়ে সেটি কিন্তু তার ব্যক্তিত্বের ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো, আমাদের দেশে বাস্তবে কিন্তু এটা এতটুকু কার্যকরী হয় না, যেমনটা করা উচিত তেমনটা করা হয় না।
গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এক সময় আমাদের স্বাক্ষরতার হার খুব কম ছিল। এদিক দিয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে, আমাদের অবকাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। আমাদের শিশুরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে- মানের উন্নয়ন করা। প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নয়ন করা। যেন আমাদের শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে এবং তারা অবদান রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি আজ এসেছি। সবার সঙ্গে বসব। তারপর আমরা কর্মকৌশল ঠিক করব। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। কিন্তু কার্যকর হচ্ছে না। কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলি, তারপর ঠিক করি।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, কারণ যেটা হয়েছে সামগ্রিকভাবে এখন একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আর বাচ্চারা খুব ছোট। অস্থিরতা না কমে যদি সমস্যাগুলো থাকে তাহলে তো মানুষজন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ বোধ করে না। ঘোষণা দিলেই তো হয় না ব্যাপারটা। সেজন্যই এ বিষয়টি ঠিক করে আমরা জানাব।
এরআগে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুপ্রদীপ চাকমা। বর্তমান সমাজে অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যসহ বিভিন্ন রকম যেসব বৈষম্য রয়েছে সবক্ষেত্র থেকে তা দূর করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায়।
এদিন সকাল পৌনে ১০টায় সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌছে তারা এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তারা দুজনেই সৌধের পরিদর্শন বইতে সাক্ষর করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই দুই উপদেষ্টা তাদের দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চান। সেই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কথা স্বরণ করে তারা জানান, মানুষের আশা প্রত্যাশা পূরণে তারা কাজ করে যাবেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা