সরগরম হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০২ এএম
এক অবিস্মরণীয় ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সারাদেশের মানুষ আনন্দে ভাসছে। দ্বিতীয়বার দেশবাসী স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে। সব মানুষ এখন নির্ভয়ে প্রাণভরে নি:শ্বাস নিচ্ছে। মানুষের এই আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঢেউ পর্যটনখাতেও লেগেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ায় পর্যটনখাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের মানুষের মধ্যে আবার স্বস্তি ফিরে এসেছে। পর্যটনখাত আবার চাঙ্গা হচ্ছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুয়াকাটাসহ দেশের প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র আবার সরগরম হয়ে উঠছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্ট হাউজ, গেস্ট হাউসে বাড়ছে দেশি বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা। জমজমাট হয়ে উঠছে পর্যটন ও বিনোদন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য। তাতে দারুণ খুশি এই খাতের ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীর। পর্যটন স্পটগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।
কক্সবাজার থেকে শামসুল হক শারেক জানান, দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানে খুশি কক্সবাজারের মানুষ। অন্তর্তী সরকার গঠনের পর মানুষের মনে স্বস্তি আর আনন্দ ফিরে এসেছে, ফিরেছে শৃঙ্খলা। কক্সবাজারে আবার আসছেন পর্যটক।
ছাত্রগণ অভ্যুত্থানে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে অবসান হয় গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃসাশন। দেশের মানুষ এই দিনে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে বলেই মনে করছে। সারা দেশের মত কক্সবাজারের জনগণও উল্লাস করছে রাস্তা-ঘাটে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরছে। কোর্ট কাচারী, ব্যাংক-আদালতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। থানাগুলোতে পুলিশ সদস্যরা ফিরছেন এবং সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীরা সড়ক পরিষ্কার ও শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ করে। শহরের দেয়ালে শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি আকাঁ এখনো অব্যাহত আছে। অভ্যুত্থানের পর কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ এখনো স্থপিত না হলেও স্বাভাবিক হয়েছে বিমান ও সড়ক যোগাযোগ। সব জায়গায় ফিরে এসেছে শান্তি শৃঙ্খলা। কক্সবাজার আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় খবর নিয়ে জানাগেছে, বিভিন্ন হোটেল মোটেলে নতুন করে বুকিং শুরু হয়েছে। হোটেল মালিকরা আশা করছেন এই শান্ত পরিবেশে দেশ বিদেশের পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন। ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশ অচল হয়ে পড়ায় কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত পর্যটন শূন্য হয়ে পড়েছিল। সেই সৈকতে আবার পর্যটকদের পদচারনা শুরু হয়েছে। প্রাণ ফিরছে সমুদ্র সৈকতে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানের পরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি দেশী বিদেশী পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, টানা দেড় দশকের দুঃশাসন থেকে মহা মুক্তির মহা আনন্দে উচ্ছ্বসিত দেশবাসী। এই আনন্দ উচ্ছাসের ঢেউ চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও উপচে পড়ছে। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এখানকার সাগর সৈকত, পাহাড়, ঝর্ণা, লেক, ইকো পার্ক। তারকা হোটেল থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্ট হাউজ, গেস্ট হাউস বাড়ছে দেশি বিদেশি অতিথির সংখ্যা। জমজমাট হয়ে উঠছে পর্যটন ও বিনোদন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য। তাতে দারুণ খুশি এই খাতের ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীরা।
রক্তাক্ত জুলাই শেষে আসে ভয়ঙ্কর আগস্ট। রক্ত সাগর পেরিয়ে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় এক গণ অভ্যুত্থান। বিদায় নিতে বাধ্য হয় জাতির উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার। জুলাইয়ের শুরুর দিকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জালিম হাসিনা সরকারের চরম জুলুম নির্যাতন আর নির্বিচারে গণহত্যায় স্থবির হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সার্বিক ব্যবসা বাণিজ্যসহ পর্যটন খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে এই অঞ্চলের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। হতাশ হয়ে পড়েন এই খাতের ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীরা। তবে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর সে চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। হোটেল মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসে আসছেন দেশ বিদেশের পর্যটকেরা। আন্দোলনে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বুকিং বাতিল করে দেওয়া অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু হয়েছে। বিদেশি ক্রেতারা আসছেন। তারকা হোটেলের মতো সাধারণ হোটেলগুলোতে অতিথির সংখ্যা বাড়ছে। নগরীর পতেঙ্গা সৈকত থেকে শুরু করে সব কটি পর্যটন এলাকায় প্রতিদিন মানুষের ভিড় বাড়ছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আনোয়ারার পারকি, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, বাঁশখালী উপকূলের বিশাল সৈকতে এখন মানুষের ভিড়। এই অঞ্চলের পার্ক, ইকোপার্ক, পাহাড়ী ঝরণা, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটক বাড়ছে। পর্যটন খাতে ফের আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা সৈকতে ছিলো হাজারে মানুষের ভিড়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সৈকতে ঘুরে বেড়াতে আসেন অনেকে। তরুণ-কিশোরেরা দলবেধে সাগর তীরে ঘুরতে আসে। সব বয়সের মানুষের ভিড়ে উৎসবের আমেজ ছিলো পুরো এলাকায়। পতেঙ্গা সৈকতের পাশাপাশি নেভাল বিচ, অভিজাত বোট ক্লাব এলাকায়ও পর্যটকের ভিড় দেখা যায়। পতেঙ্গা সৈকতের পাশের আউটার রিং রোডেও ছিলো ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখাতে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। তবে অন্ধকার কেটে যাওয়ার পর গত কয়েক দিনে পর্যকটের আগমন বাড়ছে। বিশেষ করে সৈকতের মতো উম্মুক্ত স্থানে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে বিকেল পুরো সময় সৈকতে ভিড় লেগে আছে। তবে বিকেলে জনসমাগম বেশি হচ্ছে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি মহানগরীর আশপাশের এলাকা এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পর্যটকরা সৈকতে আসছেন। এতে সৈকত এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যও জমে উঠেছে।
পতেঙ্গার মতো নগরীর কাট্টলী সৈকত, আনোয়ারার পারকি সৈকত, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, বাঁশখালীর গন্ডামারা-খানখানাবাদ সৈকতে মানুষের ভিড়। নগরীর শাহ আমানত কর্ণফুলী সেতু, সিআরবি, আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক, কর্ণফুলী শিশু পার্ক, ফয়’স লেক, বাটালি হিল, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, নেভাল মিউজিয়াম, আগ্রাবাদের জাতি তাত্ত্বিক জাদুঘর, বাদশা মিয়া সড়কের ওয়ার সিমেট্রি, ঐতিহ্যবাহী ভেলুয়ার দীঘিসহ নগরীর পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র এবং দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় বাড়ছে। নগরীর অদূরে পাহাড়ী এলাকায় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের দুই পাশে ঘুরে বেড়াতে যাচ্ছে অনেকে। ওই সড়কের দুই পাশের দৃষ্টিনন্দন পাহাড়, টিলা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। মহানগরীর অদূরে সীতাকুণ্ডের ইকোপার্ক, মীরসরাইয়ের মহামায়াসহ বিভিন্ন লেক, প্রাকৃতিক ঝরণা এবং দর্শনীয় স্থানে আসছে অগনিত পর্যটক। রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক, বাঁশখালী ইকোপার্ক, চুনতি অভয়ারণ্য, ফটিকছড়ির বিভিন্ন চা বাগানে বেড়ানোর হিড়িক পড়েছে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও বাড়ছে পর্যটক।
সিলেট থেকে ফয়সাল আমীন জানান, পর্যটনের বিপুল সম্ভার সিলেটজুড়ে। প্রকৃতির অকৃপণ দানেই মুলত সমৃদ্ধ করেছে সিলেটকে। পাহাড়-টিলা-নদী-বিল, ছড়া-খাল-ঝর্ণার অপূর্ব সম্মিলেন সবুজাভ সিলেটর প্রতিবেশ পরিবেশ। সেই ওলি-আউলিয়াসহ অন্যান্য ধর্মের বর্ণের ব্যক্তিদের আবাসস্থলের দ্যুতি এখনো সিলেট ছড়াচ্ছে। তাই সিলেটের প্রতি অকৃত্রিম টান রয়েছে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের। এছাড়া পর্যটন স্পটকে ঘিরে সিলেট গড়ে উঠেছে হোটেল মোটেল কর্টেজ সহ নানা বিনোদন কেন্দ্র। সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগেই মূলত সিলেটর পর্যটন খাতে এ বিপ্লব। চা বাগান, জলাবন, পাথুরে নদী, পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি হাওরসহ রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটন কেন্দ্র। তবে পর্যটনের ভরা মৌসুমে সিলেটে বাগড়া দেয় দফায় দফায় বন্যা। ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এর পরই ধস নামে পর্যটন শিল্পে। এই অবস্থায় কোটা আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। রক্তক্ষয়ি এ আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনকাল পর্যন্ত থমকে যায় সিলেটের পর্যটন খাত। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধিনে চলছে দেশ। জনমনে স্বস্তি ফিরছে, স্বাভাবিক হচ্ছে যোগােযাগ ব্যবস্থা। এখনও ট্রেন চলছে না, দুরপাল্লার বাসযোগাযোগ স্বাভাবিক হলেও রাজনৈতিক হিংসা প্রতিহিংসায় নিজকে আড়াল করে রাখছে একশ্রেনীর মানুষ। অপরদিকে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রভাব পড়ে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রেও। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর স্থানীয় ও দুর্বৃত্তদের আক্রমনের শিকার হয় দেশের জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্র। নির্মানাধীন স্থাপনা থেকে পর্যটন কেন্দ্রের পাথর সব জায়গায় কু-নজর পড়ে দুর্বৃত্তদের। ভাঙ্গচুর করা হয় সরকারি বেসরকারি স্থাপনা। লুটপাট হয় মালামাল। এমনকি সাদাপাথর লুটপাটের হিড়িক পড়ে যায়। প্রায় ৩দিনে ৪শ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গা দোকানপাট আবারও মেরামত করছেন ব্যবসায়ীরা। ৫ আগষ্টের পরেও পর্যটনের স্থাপনায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। ৬ ও ৭ আগষ্ট রাতে হামলা করে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙ্গচুর করে স্থানীয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে দোকানপাট মেরামত করতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে পর্যটন রেকন্দ্রটি। এরকম অবস্থা সিলেটের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের। সংশ্লিষ্টরা নতুন করে সাজাচ্ছেন, দর্শনার্থী পর্যটকদের জন্য। যদিও সীমিত পরিসরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে, দ্রুত সেই সংখ্যা বাড়বে বলে প্রত্যাশা সকলের।
পটুয়াখালী থেকে মো: জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘ্যদিনের অচলবস্থা কাটিয়ে ৫ তারিখের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে কিছুটা স্বতি ফিরে আসায় সিমীত পরিসরে পর্যটক আসতে শুরু করেছেন পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়।
৫ তারিখের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। আগামী শুক্রবার ও শনিবারের জন্য কিছু কিছু হোটেলে বুকিং শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে কুয়াকাটার বিভিন্ন হোটেল -মোটেল, গেষ্ট হাউজের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে। তারা জানিয়েছেন আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজে না থাকায় জনমনে নিরাপত্তার বিষয়ে অনেকটা শংকা ছিল। এখন পুলিশ বাহিনী পর্যায়ক্রমে মাঠে কাজ করতে শুরু করার খবর প্রচার হওয়ায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসছে।
কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রথম পছন্দের কয়েকটি আবাসিক হোটেলের মধ্যে অন্যতম খান প্যালেসের ম্যানেজার মো: শাকুর জানান, তাদের হোটেলে ৫০ টি রুমের বিপরীতে ১৩০জনের থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে প্রচন্ড বর্ষার কারনে পর্যটক ছিল হাতে গোনা আর ১৫ তারিখের পর থেকে তাদের হোটেলে কোন বুকিং ছিল না। বিদুৎ বিল হোটেলের ৩০ জন স্টাফের বেতন এসবই মালিককে লোকসান দিয়ে দিতে হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কোন পর্যটক আসছেন না কুয়াকাটায় বলছিলেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশেনের সাধারন সম্পাদক মো. মোতালেব। তিনি আক্ষেপ করে বলছিলেন জুলাই মাসের ব্যবসায় ঘাটতি পূরণ করতে কয়মাস অপেক্ষা করতে হয়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। বর্তমানে কুয়াকাটায় ৩ শতাধিক হোটেল মোটেল, গেষ্ঠ হাউজ রয়েছে ,এর মধ্যে প্রথম সারির ২৫ টি। এসব হোটেল -মোটেলের রুমের ৫ ভাগ রুমও বুক হয়নি জুলাই মাসে। তারা আশা করছেন বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ,অচিরেই কুয়াকাটা ফিরবে তার পুরানো রূপে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা