ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
প্রশাসনে সচিবদের দুর্নীতি : ধরা পড়লে ওএসডি-চাকরিচ্যুতি

বিতর্কিত সচিবদের উপর আসছে ‘খড়গ’

Daily Inqilab পঞ্চায়েত হাবিব

১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম

পতিত শেখ হাসিনার পছন্দের সচিবরা এখনো বহাল তবিয়তে। অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের সময় তারা নির্বিঘ্নে কাজ করছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসিনা এবং দিল্লির তাবেদার সচিবদের দিয়ে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করা কঠিন। কারণ শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুলিশের চেয়ে এই সচিবরা এগিয়ে ছিলেন। পররাষ্ট্রসচিবসহ কমপক্ষে দুই ডজন সচিব দলবাজি করে শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার চেস্টা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
শুধু বিতর্কিত সচিবরাই নয় বিগত সরকারের আমলে সচিব থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পযায়ের সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। তবে সচিবদের দুর্নীতি ধরা পড়লে হয় ওএসডি না হয় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে দেশের সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিশনের প্রধানদের আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর উল্লেখ করে তাদের আজকের মধ্যেই অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এর পরে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাঠ প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে এই কর্মকর্তা ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বহু অভিযোগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসকল দুর্নীতি তদন্তের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠায়। তদন্তও হয় তার বিরুদ্ধে আসা কয়েকটি অভিযোগের। কিন্তু শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিবেদন কোন তদন্ত কর্মকর্তাই দিতে সাহস পাননি। গত ৭জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করে ১০ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট বানানোর আওয়ামী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা দায়িত্ব পালন করেছিল জননিরাপত্তা সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বর্তমানে সে (তিনি) স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে কর্মরত। সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।
গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির দাবি ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করেছিল জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ইলেকশন করে ১০ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট বানানোর আওয়ামী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা ছিল তখনকার জননিরাপত্তা সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনকে দিয়ে সে (তিনি) আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই এই মো. জাহাংগীর আলমকে আজকের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গত ৪ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সমস্ত সরকারি সচিবদের একটি বৈঠক জন্য সচিবদের তলব করা হয়। বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগ আলোচনায় নেয়া গয়। এসব উদ্বেগ নিরসনে এবং অনিয়ম রোধে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে বৈঠকটি করা হয়। এতে ৮৪ জন সচিবের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিলো,সততা, সুশাসন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন। সরকারি কর্মকর্তাদের অসদাচরণ এবং দুর্নীতি নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সরকারের সাম্প্রতিক সমালোচনার কারণে এই বৈঠকটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিগত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি এ জাতীয় দ্বিতীয় বৈঠক। প্রথম বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর তা ব্যাপক জনরোষের জন্ম দিয়েছে। তারই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিবদের বৈঠকের জন্য তলব সভা করা হয়েছিলো। শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য জনসম্মুখে আসার পর সরকার কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়া এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালতের আদেশ জারি করা সহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যা নিয়ে জাতীয় সংসদ এবং মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে।
দুর্নীতিবাজ সচিবদের তালিকায় রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে ব্যবসা ও দুর্নীতি কান্ডে জড়িত ছিলেন। এছাড়া মতিউর রহমানকে রক্ষা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমেরকে ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিলো। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের বিরুদ্ধে শত শত অনিয়ম ছিলো তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা হয়নি। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের ক্ষমতা ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতিবাজদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা-ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের থাকতে পারে না বলে নিজেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছেন। দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশের ১১ জন ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে, এমন তথ্য জানিয়েছলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয় নাই। তবে, তারা বলেছে যে, সে যেহেতু নিজেও স্যাংশনের কর্মকর্তা ছিল এক সময়, সুতরাং সে বলেছে যে, কোনো ব্যক্তিবিশেষের কথা বলে নাই, তবে বলেছে যে, স্যাংশন অ্যাজ এ টুল এগেইনস্ট করাপ্ট পিপল। এটার চিন্তা-ভাবনা আছে হয়ত। ১১ জন বাংলাদেশির ‘শর্ট লিস্ট’ করছে, এই রকম কোনো কিছু আলোচনায় এসেছে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “না। বাংলাদেশিদের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের জন্য কোনো কিছু না। ওরা বলেছে যে, এই যে বড় বড় প্রজেক্টস, ব্লু ডট আছে, ওটা পড়ে দেখতে হবে, ওইসিডি থেকে আছে, সেখানে ভবিষ্যতে ইনভেস্টমেন্ট বা এগুলো আসার ক্ষেত্রে ওই ধরনের প্রজেক্টকে হয়ত অগ্রাধিকার দেবে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের ব্যাপক পরিমাণে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি সাম্প্রতিক প্রকাশ পাওয়ার পরে জনসাধারণের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ জুন জাতীয় সংসদে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দেন। গত ১ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অর্থবছরের শুরু থেকেই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, দেশের সব মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সব কমিশনের প্রধানকে আজকের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সব কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে রয়েছেন। আজকের মধ্যেই সব ফ্যাসিস্ট আমলাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক আমলাদের নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। আরেক সমন্বয়ক সাদিক কায়েম বলেছেন, সব সচিব এবং দপ্তর, অধিদপ্তর ও কমিশন প্রধানকে আজকের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। না করলে প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা সরাতে সচিবালয় ঘেরাও হবে। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদের দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনকে দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম লীগ সন্ত্রাসীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তাই তাকে আজকের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৫ জুন সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রশান্ত কুমার রায় ২০১৬-১৭ সালের দিকে সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। মামলায় সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিদায়ী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনে এই কবিতাটি লিখে ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষনের ওপর গবেষণা করে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকও ২০২২ বাগিয়ে নিয়েছেন। বিসিএস ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এবার শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব হতে তোড়জোর। চট্টগ্রামের পটিয়ার এই কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এলাকার সূত্র ধরে ইতোমধ্যে তার দপ্তরে পৌঁছে গেছে। তিনি ছাড়াও বর্তমান সরকারের আরেকজন সচিব এই তালিকায় রয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টার পদে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই পদে নিয়োগ পেতে দুইজন কর্মকর্তা তোড়জোড় করছেন। এরা হলেন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন। আবু হেনা মোরশেদ জামানের পারসোনাল ডাটা শিট (পিডিএস) পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৯৩ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগদান করেছিলেন এই কর্মকর্তা। ১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রি আব্দুস সামাদ আজাদের সহকারী একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে কাজ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তাকে সড়ক ও রেলওয়ে বিভাগে বদলী করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ দায়িত্ব নিলে তার সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এই কর্মকর্তা। এরপর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তাকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পদায়ন করা হয়। এরপর একের পর এক পান গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পোষ্টিং। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন শেষে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক প্রশাসন পদায়ন করে আওয়ামীলীগ সরকার। এরপর ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছর ফরিদপুর ও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার পর ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর সচিব পদোন্নতি দিয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে ১ বছর দুই মাস কাজ করার পর তাকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বদলী করা হয়। এর দেড় বছর পর তাকে পদায়ন করা হয় স্থানীয় সরকার বিভাগে।
##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন
জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
আরও

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন-নাকে খত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন-নাকে খত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি

গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন

গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু

পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন

রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ  কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ  কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী

নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি  বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত

বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ

বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ

বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি

বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন

আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই  আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই  আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি

মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি

৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল

৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল