দেশের জন্য শহীদ হব যেতে হবে
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম
দেশকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবো তবু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজ যেতে হবে। জন্মভূমি দেশমায়ের মুক্তির জন্য গর্ভধারিণী মাকে কথা গুলো বলেছিলেন পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়। শহীদ মাহবুব হোসেন পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের আরিফপুর বেতেপাড়া মহল্লার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। মাহবুব শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। দুই ভাই দুইবোন। শহীদ মাহবুবের পরিবারের অপর ৪ জনও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। শহীদ মাহবুবের মা দিল আফরোজা বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়েতো। অনেক মেধাবী ছিল আমার মাহবুব। আমি তাকে অনেক যত্মে লালনপালন করেছি। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। আমরা অনেক ভাগ্যবান মহান আল্লাহ তাকে দেশের জন্য শহীদই মৃত্যু দান করেছেন। সে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। মা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু থেকে যত মিছিল হয়েছে সব মিছিলেই আমার ৪ সন্তান অংশগ্রহণ করেছে। মা দিল আফরোজা আরো বলেন, যেদিন আমার ছেলে শহীদ হয়, সেদিন সে সকাল সকাল খাওয়া দাওয়া শেষ করে জামাকাপড় পরে দ্রুত রেডি হয়ে যায়। আমি তাকে বললাম আজকে না গেলে হয় না? দেশের প্রয়োজনে শহীদ হবো তবুও আন্দোলনে যাব। এটা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আমার বুকের মানিক। এরপর দুপুরের দিকে শুনতে পাই আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে দ্রুত তাদের বিচার দেখতে চাই। বড় ভাই মাহাদী হাসান লিমন বলেন, সেদিন আমরা তিন ভাইবোন একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হই। অতর্কিতভাবে আমাদের পেছন থেকে গুলি করা হয়। তখন আমি আমার ছোট ভাইকে খুঁজতে থাকি। কিন্তু কোথাও তাকে পাইনি। একপর্যায়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছোট ভাইটির নিথর দেহ। যারা গুলি করেছে তারা সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারীরা জানায়, গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাফিক মোড় বর্তমান শহীদ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্ররা। এসময় পেছন থেকে জেলা যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালালে পুলিশ ও ছাত্ররা একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। দ্বিতীয় দফায় পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাইদ খানের গাড়ী থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাইদ খানকেও এলোপাতাড়ি গুলি করতে দেখা যায়। ওই দিন গুলিতে মারা যান মাহবুব। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী সহ মোট ৩ জন শহীদ হন। ঘটনায় পর গত শনিবার রাতে নিহত পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও
১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু
শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪