ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী দলীয় করণ, আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নানাবিধ জুলুম, শারীরিক নির্যাতন, লুটপাট, চাঁদাবাজীর রাজত্ব কায়েম করেছিল। খুনি হাসিনার দোসর দুর্নীতিবাজ ইফার ডিজি বশিরুল আলম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হামিদ জম্মাদ্দারসহ আওয়ামী সমর্থিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার আহবান জানিয়েছে ইফার জাতীয় জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতেৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতোমধ্যে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও শেখ হাসিনার দোসর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতিবাজ ডিজি ড. মুহাম্মদ বশিরুল আলম ও দুর্নীতিবাজ আওয়ামী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছেন। আওয়ামী লীগের দোসর ধর্ম সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দারের নির্দেশে বিতর্কিত ইফা ডিজি ড. বশিরুল আলম কোটা বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম উল্লেখ্য করে তা’প্রতিরোধে ইফার সাধারণ কর্মচারি ও আওয়ামী নামধারী সুবিধাভোগিদের মাধ্যমে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এবং স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড বহন করে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন করেছে। উক্ত আওয়ামী দোসর দুর্নীতিবাজ ডিজি বশিরুল আলম, বিতর্কিত ধর্ম সচিব আঃ হামিদ জমাদ্দারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবি জানিয়ে গত ৬ আগস্ট থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মিটিং মিছিল করে আসছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মান মর্যাদা রক্ষার্থে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে সহযোগীতার জন্য নির্যাতিত, নিপীড়িত, দক্ষ ও অধিকতর যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব স্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানানো হয়। কিন্তু, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতিবাজ ডিজি বশিরুল আলম এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত না করায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি এম.এ বারীর সভাপতিত্বে ইফার দুর্নীতিবার ডিজি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আ: হামিদ জমাদ্দারের অপসারণের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আওয়ামীমুক্ত দুর্নীতিমুক্ত করণের লক্ষ্যে দুর্নীতিবাজ ডিজি, ধর্ম সচিবসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান। অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হক, সহ সভাপতি মো. সাইদুর রহমান ফকির, মো. সুলতান উদ্দিন, মো. ওবায়দুর রহমান ও মো. আব্দুর রহমান আলম।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১২ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আখ্যায়িত করে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পত্র ইস্যুর পর ধর্ম সচিবের আঃ হামিদ জমাদ্দারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড গুলো বেরিয়ে আসছে একের পর এক।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ড. বশিরুল আলমের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রিুদ্ধে ৪ আগস্ট ইফা মানববন্দন কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। ইফার সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেককে জোর করে এবং হুমকি ধমকি দিয়ে মানববন্দন কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যানার এবং ফেস্টুন ইংরেজিতেও তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত করা হয়। ব্যানার এবং ফেস্টুনের বাংলা ইংরেজি শ্লোগানগুলো লিখে দেন ইফার গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব শফিউল আলম তালুকদার।
মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারী শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী (ইমাম, চিড়িয়াখানা রোড জামে মসজিদ) বলেন, গণশিক্ষার পিডির নির্দেশে আমি মানববন্ধনে অংশ নেই। পিডিকে নাকি ধর্মসচিব ও ডিজি নির্দেশ দিয়েছেন। তারা বলেছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ না করলে চাকুরি থাকবে না।

মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারী ভাষানটেক জোনের মডেল কেয়ারটেকার মো. মফিজ উদ্দীন বলেন, আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। না হলে চাকুরি থাকবে না । মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারী ভাষানটেক জোনের শিক্ষক মো. মহসিন তফাদার বলেন, গণশিক্ষা প্রকল্পের পিডির নির্দেশে তারা মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। পিডি বলেন, মানববন্ধন সফল করতে পারলে ধর্ম সচিব আঃ হামিদ জমাদ্দারের চাকরি এক বছর এক্সটেনশন হবে আর ইফা ডিজি অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব হতে পারবে।