আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্ব সিপিডি’র
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আনা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সামাজিক খাত বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে পুনর্গঠন করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে এ আহ্বান জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা বলেন, রাজস্ব আহরণের অপর্যাপ্ততা, সরকারি ব্যয় সংকুলানে ব্যর্থতা, এডিপি বাস্তবায়নে শ্লথগতি, ব্যাংকিং খাত থেকে বিগত সরকারের নেয়া উচ্চমাত্রায় ঋণ দেশের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছে। এ পরিস্থিতি অবসানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খেলাপি ঋণ, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সঙ্কট, রফতানি আয়ে ধীরগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহে মন্থরতা, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগে স্থবিরতার মতো সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে গুরুত্ব দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি। এছাড়া প্রশাসনিক শীর্ষ পর্যায়ে শূন্যস্থান পূরণ ও প্রশাসনিক শূন্যস্থান পূরণের জন্য সর্বজনস্বীকৃত ব্যক্তির অভাবের মতো বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানিতে ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা, টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক খাত পুনর্গঠনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, শ্রমবাজারের চাহিদা ও দক্ষতার অসামঞ্জস্যতা দূর করার তাগিদ দেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষাখাতের পুনর্গঠনের সঙ্গে কর্মসংস্থান, বিশেষত যুবকর্মসংস্থানের, বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রথমে বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসলেও পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাস্তায় নেমে আসে বিগত সরকারের সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া সাধারণ জনগণও। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার থেকে ছাত্র আন্দোলনের সূচনা হলেও, বিষয়টির সঙ্গে অর্থনীতি ও রাজনীতিও জড়িত হয়ে পড়েছিল। বিগত সময়ে যেভাবে দেশে সরকার পরিচালিত হয়েছে, তাতে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে বৈষম্যের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এর ফলে সরকারের সুবিধাভোগী একটি ক্ষুদ্র অংশ এবং দেশের বাদবাকি মানুষের মাঝে বিপুল পরিমাণ বৈষম্য তৈরি হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যে সব শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে তারা ও তাদের পরিবারও ছিল বৈষম্যের শিকার। এর পর তারা যখন রাস্তায় নামলো একে এক সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই আন্দোলনে সামিল হলো।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছিল বিগত সরকার। তবে এই প্রকল্পের নামে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি ও লুটপাটের হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাখাতে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয় হয়েছে। শিক্ষা খাতে দেয়া এত বরাদ্দ কোথায় গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া সরকারি আমলাদের বিগত সরকারের সময়ে দেয়া বিপুল সরকারি সুযোগ সুবিধা দেয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, ইউএনও, ডিসি আমলারা এত পাজেরো গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, আমাদের ভেবে দেখতে হবে, এত গাড়ির প্রয়োজন আছে কি না, এত অপচয়ের দরকার আছে কি না।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিডির ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম। আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ব্যক্তি খাত, সিভিল সোসাইটি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের গর্ব : সেনাপ্রধান
ব্যারিস্টার ফুয়াদের ছবি সম্পাদনা করে ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার
সৈয়দপুরে তালাবন্ধ ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
পাকিস্তান থেকে সরাসরি আসছে জাহাজ, আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ
হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের ও নিজের সর্বনাশ করেছে, বাপকে ডুবিয়েছে, দেশকে ডুবিয়েছে: ফজলুর রহমান
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের
স্বৈরশাসক হটানোর পর গণতন্ত্র পুনঃনির্মাণে শিক্ষার্থীরা
সার্চ কমিটি করে গ্রহণযোগ্যদের স্থানীয় সরকারে প্রশাসক নিয়োগ করার দাবি
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতে ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
গণহত্যার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জাতিসংঘকে দিতে নাগরিক কমিটির দাবি
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৮ ফিলিস্তিনি নিহত, পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ অব্যাহত
এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল
বড়দিনে ভারতকে ‘দুঃসংবাদ’ শোনালো অস্ট্রেলিয়া
প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে প্রাণ দিলেন প্রেমিকা
ব্রাজিলে সেতু ধস: নিহত ৪, নিখোঁজ ১০
যুদ্ধকালীন ইউক্রেনের ডাকটিকিট, সাহসিকতার ভাষায় দেশপ্রেম ও প্রতিবাদের প্রতীক
বিচ্ছেদ হতে না হতেই আবারও একসাথে তারকা জুটি বেন-লোপেজ
হাইতির হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত তিনজন
ছাত্রদলের কমিটি : ঢাকা কলেজের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ