চার হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১৬ জন আসামি
২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে রংপুর ক্যামিকেল লিমিটেডের অফিস সহকারি ফিরোজ তালুকদার ওরফে পলাশ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই দিনে আর তিন জন ব্যক্তিতে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১১ নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার ঢাকার পূথক চার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। আদালত চার মামলার বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শিক্ষানবিশ টেকনিশিয়ানকে হত্যা: শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে এলেম আল ফায়দি নামে এক শিক্ষানবিশ টেকনিশিয়ানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে বাদী হয়ে সামসুল আরেফিন নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী এই মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক কমিশনার ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, ওয়ারীর ডিসি ইকবাল হোসেন, ঢকা-৬ আসনের সাবেক এমপি আবু সাইদ খোকন, ঢাকা-৭ এর সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস, ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিক, জবি ছাত্রলীগের নেতা নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসেন রাজসহ প্রমুখ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই পুরান ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী মিছিল শুরু হয়। বৈষম্যমুক্ত একটি মানবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে শ্লোগান দিয়ে রাজপথে অবস্থান করে। আসামিরা গণভবনে বসে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের এবং আইন শৃংখলা বাহিনীকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য নির্দেশ দেয়। এজাহার নমনীয় আসামিসহ আরও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদী গ্রুপ হেলমেট পরে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর মাঠ স্তরের ৬০/৭০ জন স্বসশ্র পুলিশ একযোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে নিরীহ ছাত্র জনতার উপর এলোপাথারী গুলিবর্ষণ করে। এই গুলিতে এলেম আল ফায়দি নামে একজন শিক্ষানবিশ টেকনিশিয়ান সরকারি কবি নজরুল কলেজের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী মো. তৌহিদুল হক হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে তৌহিদের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তেজগাঁও থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, ওবায়দুল কাদের, আছাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হত ইনু, রাশেদ খান মেনন, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, সাদেক খান, শাহজাহান খান, গোলাম মারুফ মজুমদার (নিঝুম মজুমদার), মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট তেজগাঁও থানাধীন ফার্মগেট ফুটওভার ব্রীজের নিচে সড়কে গুলিতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী মো. তৌহিদুল হক।
চাকুরীজীবি রাসেল হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরা গোল চত্বরে গুলিতে রাসেল মিয়া হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রামপুরা থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিআইজি রিপন সরদার, সাবেক ডিবি প্রধান হারন-অর-রশীদ, সাবেক সিটিটিস প্রধান আসাদুজ্জামান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন-অর-রশীদ, ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইকবাল হোসেন, মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম, এডিসি সাব্বির রহমান, র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিন, রামপুরা থানার ওসি মসিউর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহম্মেদ শামীম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই দুপুর আড়ায়টায় আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাত আসামির গুলিতে রাসেল মিয়া মারা যান।
শেখ হাসিনা- প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর মিরপুরে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে রংপুর ক্যামিকেল লিমিটেডের অফিস সহকারি ফিরোজ তালুকদার ওরফে পলাশ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী রেশমা সুলতানা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও র্যাব পুলিশের বিপথগামী উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক শেক হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য সকল আইনজীবী তথা এমিকাস কিউরিদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। তার জাজমেন্ট আদালতের আকাঙ্খা উপেক্ষা করে দেশে অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র কায়েমপূর্বক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের যথেচ্ছভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আসামিরা যেনতেনভাবে গণমানুষের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে জাল ভোট, মৃত ব্যক্তির ভোট নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় গণ মানুষের স্বাভাবিক উপস্থিতি ব্যতীত কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন ও বাক স্বাধীনতা খর্ব করাসহ খুন, গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নিস্পেষণ অব্যাহত রাখে।কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তারা হত্যা, গুম, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দমন-পীড়ন করলে আন্দোলনকারীরা সারা বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে তাদের পাশে সার্বিক অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করে। এরই প্রেক্ষিতে হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নির্দেশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ কতিপয় বিপথগামী সদস্য, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী আন্দোলন দমনের জন্য ক্রাকডাউনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে। ১৯ জুলাই বিকেল ৬ টার দিকে ফিরোজ তালুকদার মিরপুর-১০ গোলচক্কর অতিক্রম করার সময় র্যাব থেকে হেলিপক্টার থেকে ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থী ফয়সালকে হত্যাচেষ্টায় নওফেলসহ আসামি ২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ মাদরাসার ছাত্র আবদুল্লাহ আল ফয়সালকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর আদালতে মামলাটি করা হয়। আসামিরা সবাই চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী-ক্যাডার।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদুল আলম, মোকতার হোসেন, শাহজাহান, মো. আরমান, সালাউদ্দিন, আবদুল মোনাফ, মো. ইসহাক, জসিম, মো. ইউনুস, নুরুল আবছার, মঞ্জুর আলম, মো. জুয়েল প্রমুখ।
বাদীর আইনজীবী ইমরানুল হক জানান, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আদালত গ্রহণ করে আগামী তিন দিনের মধ্যে বাকলিয়া থানায় এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অন্য শিক্ষার্থীদের মতো আবদুল্লাহ আল ফয়সাল নগরের বাকলিয়া নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকায় যান। সেখানে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্দেশে আসামিরা অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রামদা, কিরিচ নিয়ে ফয়সালসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে বাদীর বুক, পিঠ, কাঁধ ও চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। বাদীর এক চোখের অবস্থা এখনো গুরুতর।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী-মেয়রসহ ৩৬৬ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের এমপি, সাবেক দুই সিটি মেয়র, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নামধারী ৩৬৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বিএমপি’র কোতয়ালী থানায় বরিশাল মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
মামলার প্রধান আসামি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ছাড়াও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর।
মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, সৈয়দ শাসুদ্দোহা আবিদ, সামজিদুল কবির বাবু, মুন্না হাওলাদার, আউয়াল মোল্লা, খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, আনোয়ার হোসেন রয়েল, হুমায়ুন কবির, ইমরান মোল্লা, এনামুল হক বাহার, জয়নাল আবেদীন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, সালমা আক্তার শিলা ও আয়েশা তৌহিদ লুনাকেও আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে জিয়াউর রহমান বিপ্লব সদ্য সাবেক নগর পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকতা জিয়াউল আহসানের ছোট ভাই।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, প্রাপ্ত অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষদিকে গত ৪ আগস্ট বরিশাল মহানগরী জুড়ে গোলযোগের এক পর্যায়ে দুপুরের পরে নগরীর সদর রোডে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অফিসে হামলা চালিয়ে একদল দুর্বৃত্ত ভাঙচুর ও লুটপাটের আগুন ধরিয়ে দেয়।
খুলনায় খালেক, মন্নুজান, কামালসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডিএ বাবুল রানাসহ আওয়ামী লীগের ৭৫ নেতার নামে মামলা করেছে বিএনপি।
নগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ গতকাল বুধবার মহানগরীর খালিশপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ইলিয়াস শেখ।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিষ মৈত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ৭৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ জন অজ্ঞাত।
গাজীপুরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩৯ জনের নামে হত্যা মামলা
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নূর আলম (২২) নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেলহক, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১৩৯ জনের নামে এবং তাদের সহযোগী আওয়ামী লীগের অজ্ঞাতনামা আরোও ১০০/১৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় মামলাটি রুজু হয়।
মামলার বাদী হয়েছেন নিহত নূর আলমের পিতা মো. আমির আলী (৪৪)। বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকায়। তিনি তারগাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ১৮নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার ডাক্তার নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬ জনের নির্দেশ অনুযায়ী বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোবা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে গত ২০ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় অবস্থানরত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরীভাবে কিল ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করেছেন ও ধারালো দা দ্বারা কুপিয়ে খোরশেদ আলম রশিদ (১৯)সহ প্রায় ২৫/৩০ জন আন্দোলনকারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সশরীরে উপস্থিত থেকে তাদের হুকুমে ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধ অস্ত্রধারী এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে গুলি ছুড়িতে শুরু করে। ঐ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে বেলা সোয়া ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নূর আলম (২২) এর ডান চোখের ওপর অংশ দিয়ে ভিতরে গুলি ঢকে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে নূর আলম নিহত হয়।
ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে শোকাহত হয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোনো আইনি সহায়তা না নিয়ে তাৎক্ষণিক ছেলের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান এবং লাশ দাফনের সম্পন্ন করেন। ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের লোকজন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দেশের বিদ্যমান অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা এজাহার দিতে বিলম্ব হয়। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোলায় সাবেক এমপি মুকুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাবেক এমপি আলী আযম মুকুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দৌলতখান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটির বাদী দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মাস্টার। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যরঞ্জন খাসকেল মামলার বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক এমপি মুকুল ব্যতীত মামলাটির অন্য চার আসামি হলেন- দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, তার ছেলে মো. আকাশ আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আলম ও ভোলা জজ কোর্টের সাবেক পিপি মো. কিরন তালুকদারসহ অজ্ঞাত ৩০ জন।
ওসি জানান, বুধবার সকালে মামলাটির বাদী নিজে থানায় এসে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি মাসের ৩ আগস্ট উল্লেখিত আসামিরা একত্রিত হয়ে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাদীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি জানান, মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্ত চলাকালে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। মামলার বাদীকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আসামিরা বলছে, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
রূপগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা-গাজীসহ আসামি ১০৫
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশালয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ১০৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার নিহত রোমানের খালা রিনা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সংসদ সদস্য পুত্র গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, পিএস এমদাদুল হক দাদুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, ফিরোজ ভুঁইয়া, কামরুজ্জামান হীরা, এহসানুল হক কংকন, কামরুল হাসান তুহিন, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া দুলাল, সাকিবুল হোসেন খন্দকার, তোফাযয়েল আহাম্মেদ আলমাছ, জায়েদ আলী, নূরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, শেখ ফরিদ মাসুম, তানজির আহম্মেদ খান রিয়াজ, শমসের আলী খান, শাহাবুদ্দিন, জয়নাল, সেলিনা আক্তার রিতা, ফাহাদ আহাম্মেদ শাওন, শহিদুল ইসলাম আগুন, রবিন, স্বপন বেপারী, জামাল, সাইজুদ্দিন, নাজমূল, সোহেল, আলী, রাব্বি, রাজীব, উজ্জল, ফারুক ওরফে ফেন্সি ফারুক, কাবিলা, শাকিল, হেলাল, ফারুক প্রধান, আল আমিন, সায়েম, জামাল হোসেন কুট্টি ওরফে বোমা কুট্রি, সায়েম, সাব্বির নাম উলেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন রোমান মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কৃষকের ৫০০ কলাগাছ কেটে দিল যুবলীগ কর্মীরা
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ১০ পরিবহনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
নায়িকার গাড়ির চাপায় শ্রমিক নিহত
দোয়া চাওয়ার ১০ মিনিট পরেই সড়ক দুর্ঘটনায় ইমামের মৃত্যু
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের জামাত পড়ার সময় তিন রাকাত না পেলে কেরাত পড়া প্রসঙ্গে।
৩১ ডিসেম্বর কী হতে যাচ্ছে? যা জানা গেল
পটুয়াখালীতে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল
টোল প্লাজার দুর্ঘটনা সন্তান বেঁচে নেই, এখনও জানেন না বাবা-মা
নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
শিল্পাচার্য জয়নাল আবদিনের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী পালন
এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ইরানি ভারোত্তোলকের স্বর্ণ জয়
রহমত ২৩১*, শাহিদি ১৪১*, বুলাওয়েতে ঐতিহাসিক দিন
এইচ এম কামরুজ্জামান খান সারা জীবন আধিপত্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন
বন্দরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া ধ্বংসের পায়তারা করছে আ.লীগের দোসররা
ময়মনসিংহে আলোচিত ‘বালু খেকো’ আওয়ামী লীগ নেতা জামাল গ্রেপ্তার
বিজয় দিবস রাগবিতে চ্যাম্পিয়ন সেনাবাহিনী
কোরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব- মামুনুল হক
বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে খাদ্যপণ্যের দাম : বিশ্বব্যাংক
সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত
একইসময়ে রহস্যময় স্ট্যাটাস দিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন আসিফ-হাসনাত!