বগুড়ায় হিন্দু নির্যাতনের নেপথ্যে..
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন সংক্রান্ত রাজনীতি নতুন কিছু নয়। কথিত মৌলবাদী, জামায়াত শিবির বা বিএনপিকে টার্গেট করে এজন্য দায়ী করা কমন ব্যাপার। হিন্দু নির্যাতন বা মৌলবাদ জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলে ভারতের চোখ বন্ধ করা সমর্থনে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠান সেইসাথে কায়েম করেন পারিবারিক শাসন।
আওয়ামী লীগ ভারতের সমর্থনের কথা বলে হিন্দুদের মন গলিয়ে তাদের একচেটিয়া ভোট ব্যাংক বানিয়ে ফেলেন। গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যেমন কথিত হিন্দু নির্যাতনের ধোঁয়া তুলে বগুড়াসহ দেশব্যাপী হাজার হিন্দু যেমন রাজপথে মিছিল সমাবেশ করেন তেমনি শত শত বিশিষ্ট হিন্দু নেতৃত্ব হিন্দু নির্যাতন সংক্রান্ত প্রচারণার নেপথ্যের গোমর ফাঁস করে দেন। তারা এটা করেন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বা লেখালেখি এবং ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। বগুড়ার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গণেশ দাশ তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জেলার হিন্দু নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে সেসবের নেপথ্য কারন পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
তিনি যা লিখেছেন, বগুড়ায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন জায়গা জমি দখলের যে ঘটনাগুলো ঘটে, তার অধিকাংশ ঘটনার সাথেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জড়িত। গত শুক্রবার কাহালু থানার শিবা কলমা হিন্দু পাড়ায় ভ্যান চালক ফনিন্দ্রনাথের বাড়িতে চাঁদা নিতে যাওয়াদের মধ্যে গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়। ফনিন্দ্রনাথের মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে একেই গ্রামে চাঁদাবাজদের ডেকে এনেছিল বিপুল নামের এক হিন্দু যুবক।
গত বছরের জুন মাসে ওই গ্রামের এক হিন্দু যুবকের মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার হয়। আড়াই মাস আগে তাকে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। লাশ উদ্ধারের পর গ্রেফতার হয়েছিল ওই গ্রামের তিন হিন্দু যুবক। বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি পরিচয়ে প্রদীপ নামের এক ব্যক্তি হিন্দু লোকজনকে মারধর, চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী মোড়ে এক মাড়োয়ারি পরিবারকে দেশত্যাগ করে তার বাড়ি কম দামে কিনে নেয়ার সাথেও জড়িত এক হিন্দু ব্যবসায়ী। শহরের চেলোপাড়া থেকে গত ১৫ বছরে অসংখ্য হিন্দু পরিবার ভারতে চলে গেছে। তাদেরকে ভারতে যেতে সহযোগিতার নামে কম দামে বাড়ি কিনে নেয়ার সাথে জড়িত হিন্দু কয়েকজন ব্যক্তি। বগুড়া শহরের গালাপট্টিতে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ডিসি অফিসের অধীনে থাকা একটি বাড়ি লীজ নিয়ে বসবাস করেন ৭-৮ টি হিন্দু পরিবার। সেই বাড়িটি কয়েক বছর আগে দখল করার উদ্দেশ্যে ভুয়া দলিল তৈরী করে মামলা করার সাথে জড়িত ছিলেন শহরের প্রভাবশালী এক হিন্দু ব্যক্তি। এরকম অসংখ্য উদাহরণ বগুড়া শহরের রয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বেরোবিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে বোরো ক্ষেতে সুলসুলি ও মাজরা পোকার আক্রমণ, ধানের মরা শীষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক!

দলে পদ ফিরে না পেলে স্বেচ্ছায় জেলে যাবো: গাজী সালাউদ্দিন তানভীর

ফিজির প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৬ বাংলাদেশির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়-কালবৈশাখী ঝড়

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা ছাড়ছেন গোদাগাড়ীর কৃষি শ্রমিকেরা

অবরোধের কারণে গাজার স্বাস্থ্যখাতের পরিস্থিতি ভয়াবহ: ডাব্লিউএইচও

কিশোরগঞ্জে ইউপি সদস্যকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা

ফেসবুক বায়োতে ‘মেয়র’ পরিচয় যুক্ত করলেন ইশরাক

নরসিংদীর পলাশে পুকুরের পানিতে ভেসে উঠল স্কুল ছাত্রের মরদেহ

ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ

গলাচিপায় হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে আলু, বিপাকে কৃষক

বেড়ানোর কথা বলে নারী শিশু পাচারের চেষ্টা, ভারতীয় পাচারকারী আটক

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ. লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত

কাশ্মীর হামলার গোপন নথি ফাঁস! সরাসরি জড়িত ভারত, কি বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম?

গাজা সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান: আরএসএফ

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তা জোরদার, শুরু যৌথ টহল

মোদির কাশ্মীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ করলো আল-জাজিরা

মহেশপুর সীমান্তে আবারো বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত

আনোয়ারায় সিইউএফএল বাজারে আগুন, পুড়ল দুই দোকান