কিছুদিন আগেও আ’লীগ নেতা ও সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন নাছিমের ‘ডান হাত’ পরিচয়ে দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বছিলা এলাকার ত্রাস খোন্দকার জিল্লুর রহমান। গড়ে তুলেছিলেন কিশোর গ্যাং ও নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী।
জমি দখলে বাহিনী লেলিয়ে খুন করার পর এখন মামলায় প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সরকার পতনের সাথে সাথেই ভোল পাল্টান জিল্লুর। নিজেকে পরিচয় দেন ‘জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সভাপিত হিসেবে। অথচ জাতীয়তাবাদী সমবায় দল নামে বিএনপির কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনই নেই। এমন পচিয়ে কেউ প্রতারণা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মোহাম্মদপুর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীর অভিযোগ, রং বদলাতে ওস্তাদ জিল্লুর। ক্ষমতাসীনদের হাত করে বাহিনীর মাধ্যমে তিনি জারি রাখেন ত্রাসের রাজত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জিল্লুর বাহিনীর লোকজন বিল্লাল গাজীকে (২৮) নৃশংসভাবে খুন করে। কুপিয়ে হত্যার পর তাঁর শরীর থেকে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। জিল্লুর বাহিনীর সদস্য সন্ত্রাসী মিজান, সালমান, শুক্কুর, আমিরসহ চিহ্নিতরা এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নিহতের মা রফিকা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এক নম্বর আসামি করা হয় ইদ্রিস মিয়াকে (প্রকৃত নাম হাফিজ মোহম্মদ ইদ্রিস), যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর আত্মীয়। আওয়ামী লীগের রোষানলে ইদ্রিসের এক ভাই দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবন্দি। বাদী রফিকা বেগম বলেন, কাগজে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত নন। খুনিদের বাদ দিয়ে হাউজিং কোম্পানির লোকজন বিল্লালকে তাদের কর্মচারী উল্লেখ করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়েছে।
সূত্র জানায়, মামলা করার সময় জিল্লুর রহমান থানায় উপস্থিত হয়ে প্রভাব খাটান। বাদী ও নিহতের স্বজনদের থানা থেকে কৌশলে অন্যত্র সরিয়ে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করেন।
বিল্লাল গাজীর বোন জামাই বিপু মিজি বলেন, মামলার সময় লোকের মাধ্যমে আমাদের অন্যত্র নিয়ে যান জিল্লুর রহমান। পরে দেখেছি, তিনি পছন্দমতো আসামি করেছেন। হত্যাকারীদের নাম বাদ দিয়েছেন। আমরা এটি প্রত্যাহার করে আসল খুনিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ##########