ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ এএম


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামিক ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মুসলিম উম্মাহ যদি একত্রিত হতে পারে তাহলে নতুন পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। ইসরাইলের আগ্রাসন থেকে আল-আকসা উদ্ধার করতে সমর্থ হবে। মুসলিম বিশ্বে আমাদের সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। আমরা যদি এই সমস্ত সম্পদ যদি বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে মুসলিম বিশ্ব নতুন শক্তি নিয়ে জেগে উঠবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আল্লাহ রহমতস্বরূপ। তিনি ছিলেন মানবতার ও সমগ্র বিশ্বের নবী। তিনিই প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বেই তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিলো না। মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং আল্লাহ ভীতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড। ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে নারীদেরকে কোন সম্মান ও মর্যাদা ছিলো না, বরং তাদেরকে সকল অনিষ্টের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু রাসূল (সা.) ঘোষণা করলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তার এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া, নবী করিম (সা.) পৃথিবীতে প্রথম যুদ্ধনীতি ঘোষণা করে বলেন যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা যাবে না এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাতে ধর্মযাজকদেরক হত্যা করা যাবে না। উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.) যেটা বলেছেন সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি। তিনি সমগ্রজীবনে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়ণ করেছেন। আমরা যদি রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন আলোকিত ও মহিমান্বিত হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি বলেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারাবিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহানবী (সা.) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তার চারিত্রিক মাধুর্যে মূর্তিপূজারিরাও আকৃষ্ট হয়েছে এবং তিনি বিধর্মী কাফের, মুশরিক ও মুর্তিপূজারীদেরকে ইসলামের পতাকাতলে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান। ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীরমোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাঈল মিয়া, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ