আদানিকে আরো ২ হাজার কোটি টাকা দিলো বাংলাদেশ
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের আদানি গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদানি গ্রুপকে আরও ২ হাজার কোটি টাকার (প্রায় ১৭৩ মিলিয়ন ডলার) অর্থায়ন করেছে। গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার এ অর্থায়নের বিষয়ে একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) পেয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুতের জন্য আদানি গ্রুপের কাছে পূর্বের বকেয়া রয়েছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি পাওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিপিডিবি নতুন এ এলসিটি ইস্যু করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন এলসি বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে, যা আদানি গ্রুপকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। এ ছাড়া আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সমন্বিত ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে এবং সম্পূর্ণ উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানি করা হয়। এটি বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে।
এদিকে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে এবং এ দাবি পূরণ না হলে বন্ধ থাকা ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পুনরায় চালু করবে না বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ ও তেলের জন্য অর্থ প্রদান চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে হাসিনা সরকারের আমলে ২৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ এই বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির আওতায় প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। তবে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের ফলে এ অর্থ প্রদানে অসুবিধা হচ্ছে। আইএমএফের সঙ্গে পূর্বের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে, যা এই সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।
এর আগে বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আদানি গ্রুপ। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হলে সুর নরম করে আদানি গ্রুপ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার আলটিমেটামের বিষয়টিও অস্বীকার করে তারা। আদানি বলেছে যে ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়ার পুরোটা তারা ৭ নভেম্বরের মধ্যে চায়নি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের
সন্ত্রাসী হামলায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত, আহত ১০
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড