মুসলিম ঐ ব্যক্তি যার জবান ও হাত দিয়ে অন্যে কষ্ট পায় না
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রাসূল (সা.) এর উম্মত স্বীকার করলে পবিত্র কোরআন সুন্নাহর প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখতে হবে। খতিব বলেন, আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহকে আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো। রাসূল (সা.) সুন্নাতকে অনুসরণ করতে হবে। যারা হাদিসের ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি করে তারা পথভ্রষ্ট। হাদিসের সঠিক মর্ম উপলব্ধি করতে হবে। হাদিস হচ্ছে শরীয়তের দলিল। হাদিসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান থাকবে না। খতিব বলেন, মুসলিম ঐ ব্যক্তি যার যবান ও হাত দিয়ে অন্যে কষ্ট পায় না। খতিব বলেন, নবী করীম (সা.) তাকওয়ার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, হে মুমিনগণ আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা সঠিক কথা বলো। যবান ঠিক করলে অন্যান্য আমলও ঠিক হয়ে যাবে। নিজ যবানকে শরীয়তের হুকুমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং নবীর অনুসরণ করবে আল্লাহ তাকে পুরষ্কৃত করবেন। খতিব বলেন, যদি আল্লাহ ও আকেরাতের ওপর ঈমান থাকে তবে সঠিক কথা বলতে হবে। না হয় খামুস থাকতে হবে। ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনেও সত্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। ডাক্তার না হয়ে ডাক্তারি করা যাবে না, ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করা যাবে না। খতিব বলেন, আমার বক্তব্যকে কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রকাশ করছে। কোনো বক্তব্যে মাঝে মিশ্রণ ঘটিয়ে চালিয়ে দেয়া বা মিথ্যা বলা অনেক বড় অপরাধ। আল্লাহ বলেনে, তোমরা যবানকে নিয়ন্ত্রণ করো। না জানলে চুপ থাকো। তিনি বলেন, কোনো তথ্য আসলে বিচার করতে হবে তথ্যটা সঠিক কি না। সঠিক না হলে তা’ কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না। কোনো বিষয় সঠিক হলেও সব বিষয় বলা যাবে না। আমার হাত দিয়ে কলম দিয়ে যাতে অন্যের কষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ সবাইকে ছহি বুঝ দান করুন। আমিন।
মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ইসলামে ভ্রান্ত মতবাদের কোন স্থান নেই। ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাস পোষণকারী পথভ্রষ্ট গোমরাহ। ইসলামী আকিদা বিশ্বাস ও বিধানের অনুসরণেই উভয় জগতের শান্তি । এতে অন্য কোনও কিছুর মিশ্রণ জঘন্যতম অপরাধ। কারণ ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের মূল উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। আর বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, আইম্মা মুজতহিদীন, হক্কানী পীর মাশায়েখ ও উলামায়ে কেরাম। এর বাইরে ব্যক্তিগত কারও কোনো মতামত ইসলামী শরীয়তের বিধান হিসেবে পরিগণিত নয়। তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের চৌদ্দশত বৎসর পর এসে সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি না মানা, কুরআন না বুঝে পড়লে সওয়াব হয়না বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা পথ ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কিছুই না। সাহাবায়ে কেরামের সত্যের মাপকাঠি হওয়ার ব্যাপারে উম্মাহর ইজমা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কুরআন শরীফ বুঝ হোক না বুঝে হোক, পড়লে সওয়াব আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিষয়ে মতানৈক্য করা জাতির সাথে তামাশা ও প্রতারণার শামিল। জাতির এই ক্রান্তিকালে ইসলামী বিষয়ে জাতির রাহবার উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মধ্যেই জাতির কল্যাণ। কারণ আলিমগনই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়ারিশ বা উত্তরসূরী। ইসলাম সম্পর্কে তারাই অধিক ওয়াকিবহাল। আল্লাহ বলেন, আলিমগণই আল্লাহকে অধিক ভয় করে। (আল কুরআন)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আলিমগণ নবীদের ওয়ারিশ। (আল হাদিস)। আল্লাহ সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন। আমিন।
ঢাকা উত্তরা ৩ নং সেক্টরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আল- মাগফিরাহ এর খতিব মুফতি ওয়াহিদুল আলম গতকাল জুমার খুতবায় বলেন, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য যেমন ফরজ তেমনি ভাবে সন্তান-সন্তানাদিকেও ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা ফরজ। এই ফরজ দায়িত্ব পালন না করার কারণে সন্তানদের পক্ষ থেকে মা-বাবা দুনিয়াতে নানাবিধ অসম্মান দুঃখ-কষ্ট ও যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকে। এর চাইতে ভয়াবহ দুঃসংবাদ হলো সন্তানকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা না দেওয়ার কারণে সন্তানের সাথে মা-বাবাও কেয়ামতের দিন জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। অপরদিকে সন্তানকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা দেওয়া, হাফেজ এবং আলেম বানানোর কারণে কেয়ামতের দিন অতি সম্মানের সাথে মা-বাবার জান্নাতে যাবে ।মুসলিম জাতির ২ শতাংশ বাচ্চারা মাদরসায় পড়াশোনা করে বাকি ৯৮ শতাংশ স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে থাকে। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা না থাকার কারণে মুসলমানের সন্তানগুলো চিন্তা - চেতনায় এবং আচরণে- উচ্চারণে ইহুদি খ্রিস্টান ও অমুসলিম হয়ে যায়। নবী কারীম (সা.) বলেন দ্বীনি ইলম অর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তা’আলা বলেন হে ঈমানদারগণ তোমরা নিজেদেরকে এবং সন্তান-সন্তানাদী ও পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও (সূরা তাহরীম, আয়াত- ৬) । নবী কারীম (সা.) বলেন প্রতিটি মানুষ তার পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে অভিভাবক পরিবারের সদস্যদেরকে দ্বীনি শিক্ষা নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ শিক্ষার ব্যাপারে তাকে কিয়ামতে জিজ্ঞেসবাদ করা হবে( সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ইসলামী শিক্ষা অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আর আমাদের সন্তানদেরকেও ইসলামী ইসলামী শিক্ষায় সমৃদ্ধ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড
স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।
দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের