সাভারে দাফন করা মাহমুদুর রহমানই সিলেটের হারিস চৌধুরী
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়। বিএনপি সরকার আমলে হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে ছিলেন না তিনি।
ডিএনএ রিপোর্ট সম্পর্কে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কামারুন মুনিরা জানান, বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।
সিআইডি সূত্র জানা যায়, নমুনা পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট সাভার থানার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর সাভার থানায় হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য একটি জিডি হয়েছিল। সেই জিডির রেফারেন্সে ডিএনএ পরীক্ষা হয়।
হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম। হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া জানান, তিন দিন আগেই ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার যথাক্রমে ৩ ও ৭ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সদর থানার ওসিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ না করলে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাসিনার গণহত্যা মামলার দ্রুত তদন্ত চলছে
ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত পূর্বদিকের সহকারি সম্পাদক রেদোয়ান
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ
শীতের চাদরে ঢাকা সুন্দরগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত
কুয়েট পরিদর্শন করলেন বিআইটি, খুলনার প্রথম ডাইরেক্টর প্রফেসর এম এ হান্নান
তানজিদ ঝড়ে উড়ে গেল চট্টগ্রাম
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি সাংবাদিকদের
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রিজভীর
ফ্যাসিবাদ আর যেন না আসে সে শপথ ও অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে নেমেছি : এ্যানি
শ্যামনগরে পাইপগান,ককটেল ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ আটক দুই
নির্বাচন নিয়ে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পিরোজপুরে সাইকেল র্যালি
আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত
চাঁদপুর মেঘনায় অবৈধ বালুবহনকারী দুটি বাল্কডেসহ আটক ৮
ভিক্ষা না করার শপথ দিলেন ১৫ জন ভিক্ষুক
কুলাউড়ায় মাটি পাচারকালে ৩ ট্রাক আটক মুলহোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে
কুমিল্লায় নাশকতার মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
আটঘরিয়ায় স্কাউট ৯ম ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত