অভিযানের মধ্যেই বগুড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
বগুড়ার হাটবাজারে আগের মতই চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার। পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানের মধ্যেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মুদি ও সবজি বাজারে বিক্রেতারা আগের মতই পলিথিন ব্যাগে ভরে ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া শহরের প্রধান প্রধান কাঁচাবাজার সহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারে কোনো জিনিস কিনলেই পলিথিন ব্যাগেই দিচ্ছে বিক্রেতারা। মাছ, গোশত, সবজি কিংবা ড্রেসিং করা মুরগী আগের মতই পলিথিন ব্যাগে দেয়া হচ্ছে। ক্রেতারাও সেটাকেই তাদের জন্য স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর স্বাভাবিক কারণেই বেড়েছে পলিথিনের দাম। তবে সেই টাকা উসুল করা হচ্ছে জিনিসের দাম বেশি ধরে।
রাজা বাজারের ধুরন্ধর পলিথিনের দোকানি জানান, আমরা পলিথিন বিক্রি করিনা। অথচ তারা তাদের পরিচিত দোকানদারদের কাছে ঠিকই বিক্রি করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এখনো বগুড়ার অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো অভিযান করলেও কঠোর ও নিয়মিত অভিযান না থাকায় অবৈধ কারখানায় দিনের বদলে রাতের বেলায় পলিথিন তৈরি হচ্ছে।
ফুটপাথ ব্যবসায়ী নুরুল জানান, কলা, পেঁপে, পেয়ারা কিনলে কিসে দেব? ক্রেতারা ব্যাগ নিয়ে আসেনা। তাই পলিথিন ব্যাগেই দেই। রাজা বাজার থেকে ব্যাগ কিনি। আগে ছিল ২০০ টাকা কেজি, এখন নিষিদ্ধ। তাই দাম বেড়ে প্রতি পলিথিন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। তাই ব্যাগের দামটাও ধরে নিচ্ছি কলা, পেয়ারা, পেঁপের দামের মধ্যেই।
বগুড়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাহাথীর বিন মোহাম্মদ জানান, আমরা পলিথিন বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অভিযানে প্রায় দুই হাজার কেজি পলিথিন জব্দ এবং ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজা বাজারের জি এন্টারপ্রাইজ এর সত্বাধিকারী গোপাল আগরওয়ালার গোডাউন থেকে ১৪০০ কেজি পলিথিন জব্দ এবং তাকে ৫০ নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বগুড়া বিসিকে রাশেদুর রহমান রাশেদের মালিকানাধীন ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে তার ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, মজুদ ও বিপণনের বিরুদ্ধে পরিবেশ দফতরের অভিযান চলবে।
বিসিক শিল্প মালিক সমিতি বগুড়ার সভাপতি আজিজুর রহমান মিল্টন জানান, বিসিকের মধ্যে একটি এবং বিসিক এলাকা ৬ থেকে ৭টি পলিথিন কারখানা আছে। বিসিকের মাঝের কারখানা দিনের বেলায় বন্ধ থাকে তবে রাতে কি করে জানিনা। শুনেছি রাতে নাকি বিসিকের ভেতরে এবং বাইরের কারখানা চালু থাকে। পলিথিন তৈরীর কাঁচামাল আমদানী বন্ধ না করে বাইরে অভিযান চালিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টঙ্গীবাড়ীতে হল্যান্ডের ড্যানিসপো কোম্পানির বীজ আলুর গাছ পরিদর্শনে ইউএনও
রাউজানে বড়ই সহ হরেক রকমের বাগান করে সফল মালিক শায়েস্তা খাঁন
৪ দিনের রিমান্ডে চট্টগ্রামের সাবেক এমপি নদভী
তল্লাশি চলছে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া বিমানে
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন-৯ ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
গাজায় ৩ দিনে ঢুকেছে ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক : জাতিসংঘ
পুলিশের জন্য গোলাপি রঙের পোশাক চান সমন্বয়ক
ঢাবি এলাকায় গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এবার হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ডে পলক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুসের সঙ্গে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
আন্দোলনকারী মালয়েশিয়াগামীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ
গান গাইতে গিয়ে হাসপাতালে মোনালী ঠাকুর
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ককটেলসহ ২ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে মোংলা কোস্ট গার্ড
ট্রাম্পের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্প, এআই প্রযুক্তিতে বিপ্লব
এবার যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
মার্কিন রাজনীতিতে উত্তরসূরির জন্য রেখে যাওয়া চিঠিতে ট্রাম্পকে যে বার্তা দিলেন বাইডেন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
নাটোরে অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মৎস্য ঔষধ উদ্ধার