হারুনের দারুণ ‘তদন্ত’
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মাফিয়াতন্ত্র প্রলম্বিতকরণে বড় প্রাতিষ্ঠানিক দোসর ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটির নবযাত্রা সূচিত হলেও পরবর্তীতে দুদকের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ভারত সমর্থিত মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দিন সরকার আমলে দুদক ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে মামলা ঠোকে। বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে বেগম খালেদা জিয়া নাকি দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন! ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নিজের বিরুদ্ধে থাকা সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করে নেন। পক্ষান্তরে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাটির দেন চার্জশিট। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ‘তদন্ত’ শেষে চার্জশিট দাখিল করেন। এ সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে এই মর্মে বয়ান ছেড়ে দেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন! আর এই বয়ান মতোই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই বছর ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করে রায় হয়। ‘আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে’ মর্মে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। তারেক রহমানসহ অন্যদেরও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। রায়টি ঘোষণা করেন ঢাকার তৎকালীন ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান।
অর্থ আত্মসাতের জঘন্য বয়ান : এতিমের টাকা আত্মসাতের আষাঢ়ে গল্পকে হাসিনার জঘন্য মিথ্যা বয়ানে পরিণত করার কাজে যারাই ভূমিকা রেখেছেন শেখ হাসিনা তাদের কাউকেই অখুশি করেননি। বিচারক মো. আকতারুজ্জামানকে পুরস্কারস্বরূপ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি পদ। আদালতে দুদক, সরকার তথা হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল এবং হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খানকে দিয়েছেন বিপুল অর্থ। সেই সঙ্গে আইন পেশার আড়ালে যাচ্ছে তা-ই করার অবাধ লাইসেন্স। অন্যদিকে এজাহার দায়ের, ফরমায়েশি তদন্ত প্রতিবেদন এবং পরবর্তীতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী দুদকের উপ-পরিচালক মো. হারুনুর রশীদকে দুদকের মাধ্যমে দিয়েছেন বিপুল অর্থ। অনুসন্ধান-তদন্তের নামে নোটিশ বাণিজ্য, নিরপরাধ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়, সরকারি সম্পত্তি দখল, বাড়িওয়ালার পক্ষ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করে দেয়ার ঠিকাদারিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের লাইসেন্স। অলিখিত এ ‘লাইসেন্স’ হাতে পেয়ে হারুন দু’হাতে কামিয়েছেন অর্থ। গড়েছেন একাধিক বহুতল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ। বেশ-ভূষায় গোবেচারা, দীনহীন হারুন ভেতরে কতটা আওয়ামী লীগার এবং জিয়া পরিবার বিদ্বেষী-সেই প্রমাণ মেলে তার একটি বদলির আবেদনে।
২০০৯ সালের ৫ মে হারুনুর রশীদ ‘মানবিক কারণে’ একটি ‘বদলির আবেদন’ করেন। তাতে তিনি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, ‘১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এয়ার বাস এ-৩১০-৩০০ ক্রয়ে ১৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ‘তদন্ত’ করে চার্জশিটও দাখিল করি।’
নিজেকে সাচ্চা হাসিনাভক্ত ও আওয়ামী লীগার দাবি করে হারুন বলেন, ‘২০০১ সাবেক জোট সরকার ক্ষমতায় এসে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় আমাকে গোপালগঞ্জে বদলি করে। দীর্ঘ সময় আমি সেখানে কর্মরত ছিলাম।’
‘২০০৮ সালে মাত্র এক বছর সময়ের মধ্যে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘জিয়া অরফানেজ ফান্ড’র টাকা আত্মসাতের মামলা রুজু এবং তদন্ত সম্পন্ন করি। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) ও অর্থমন্ত্রী (এম সাইফুর রহমান)সহ অন্যদের বিরুদ্ধে ভৈরব সেতু প্রকল্পের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলার প্রস্তাব করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’ হারুনের এ আবেদনটি মঞ্জুর করেন হাসিনার গোলাম আমলা (তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান) গোলাম রহমান।
সামান্য অফিস সহায়ক পদে যোগদান করলেও অবসরকালে তিনি হয়ে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই তিনি অবসর-পূর্ব ছুটিতে যান। অবসরে গেলেও হাসিনা অনুগত দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সম্পূর্ণ আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে ‘মামলায় সহযোগিতা’র জন্য তাকে বরাদ্দ দেন বিশেষ ভাতা। অন্যান্য তদন্ত কর্মকর্তাদের যখন কক্ষের অভাবে বসার স্থান সঙ্কুলান হচ্ছিল নাÑ অবসরে যাওয়া হারুনের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি কক্ষ, দুটি আলমিরা এবং স্ট্যান্ডবাই গাড়ি। ‘ভাতা’র নামে হারুনকে দুদক থেকে দেয়া হয় লাখ লাখ টাকা।
সাবেক উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদের সহকর্মীরা জানান, হারুনকে দেখলে মনো হতো দুর্ভিক্ষপীড়িত। সদা শুকনো মুখ। একটি মাত্র শার্ট প্রতিদিন পরে আসতেন অফিসে। মূলত এটি ছিল তার মুখোশ। ভেতরে তিনি ছিলেন অঢেল সম্পদের মালিক। ৩৮ বছরের চাকরি জীবনের সোনালি অধ্যায়টি কেটেছে হাসিনা জমানায়। কারণ এ সময় তিনি হাসিনার আজন্ম শত্রু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ফরমায়েশি তদন্ত রিপোর্ট দেন। আদালতে দেন মিথ্যা সাক্ষী। চাকরিজীবনে কী কী অপরাধ করেছেন তা তিনি জানেন। এ কারণে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর লাপাত্তা হয়ে গেছেন কথিত ‘তদন্ত কর্মকর্তা’ হারুনুর রশীদও। তবে প্রতিবেদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হারুনের বিপুল অবৈধ সম্পদ।
বিপুল অবৈধ সম্পদ : হারুনুর রশীদ নিজেই দুর্নীতিবাজ হয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ‘দুর্নীতিবাজ’-এর তকমা দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখে তুলে দিয়েছেন মিথ্যা বয়ান। ফ্যাসিবাদের ‘ফুট সোলজার’ হারুন স্বভাবে মিনমিনে হলেও ভেতরে অত্যন্ত ধূর্ত। অধিকাংশ সম্পদই করেছেন ঢাকার বাইরে, ফরিদপুরে। নিজ জেলা মাদারিপুর, শিবচর থানাধীন বাখরের কান্দি হলেও ‘স্থায়ী ঠিকানা’ দেন ফরিদপুরের। ব্যবহৃত ঠিকানা ‘৭৭/১, বাদামতলী সড়ক, দক্ষিণ আলীপুর, ফরিদপুর পৌরসভা, ওয়ার্ড-৮, ফরিদপুর সদর’-এ পাওয়া গেছে একটি ছয়তলা বাড়ি। গাছ-গাছালিতে আচ্ছাদিত বাড়িটি চার শতক জমির ওপর নির্মিত। ফরিদপুর শহরের ৯/১, বাদামতলী, আলীপুরে রয়েছে একটি বহুতল ভবন। ফরিদপুর পৌরসভার নীলটুলি মহল্লার হোল্ডিং নং-০০২৩-০-এ রয়েছে একটি টিনশেড বাড়ি। ফরিদপুর সদর মুজিব সড়কে রয়েছে বহুতল ‘আল্লাহর দান’ সুপার মার্কেট। এটির নিচতলা ভাড়া দেয়া হয়েছে ‘হাজী বিরিয়ানি হাউজ’। একই এলাকায় ৩/১, মুজিব সড়কের ‘ফরিদপুর টাওয়ার’-এর মালিকও হারুনুর রশীদ। অর্পিত সম্পত্তি (সরকারি) দখল করে এ ভবন তোলা হয়েছে বলে জানা যায়। বহুতল এই ভবনটি ভাড়া দেয়া হয়েছে ‘ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’কে। এর বাইরে ফরিদপুরে রয়েছে তার বহু কৃষিজমি ও প্লট। ঢাকায়ও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ২ জুন হারুনুর রশীদ ঢাকায় জমি কেনার অনুমতি চান। এ প্রেক্ষিতে দুদক থেকে জানতে চাওয়া হয়, রাজধানীর কোন্ এলাকায়, কত টাকায়, কত পরিমাণ জমি তিনি ক্রয় করতে চান। ক্রয়কৃত সম্পদের মূল্য এবং লোকেশন গোপনের লক্ষ্যে হারুন তখন বিষয়টি চেপে যান। ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনেন গোপনে। তবে হারুনুর রশীদের আয়কর নথিতে (টিআইএন নং-৭৩১৭৭০৩৯০২০২) চাকরিলব্ধ অর্থ এবং মাদারিপুর পদ্মাবহুমুখী সেতু প্রকল্পের অধিগ্রহণলব্ধ অর্থের বাইরে অন্যান্য অর্থ এবং সম্পদের তথ্য গোপন করেন। গোপন করেন ব্যক্তিগত অনেক তথ্য। যেমন প্রেষণে নিয়োজিত হারুন কর্মস্থল ত্যাগের আদেশ প্রার্থনার একটি আবেদনে নিজেকে ‘একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। আবার একই নথিতে তিনি ‘আমার স্ত্রী ফরিদপুর শহরে চাকরিরত আছেন’ বলে জানান।
স্ত্রী খুরশিদা খানমের আয়কর নথিতেও (টিআইএন নং-০৯০-১০৪-২১৫২/সা-৫৮,ফরিদপুর) সম্পদের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। গোপন করা হয়েছে স্ত্রী এবং হারুনের বয়স। রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, হারুনুর রশীদের জন্ম ১৯৫৮ সালে। খুরশিদা খানমের জন্ম তারিখ ১৯৫৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ স্ত্রী হারুনের চেয়ে দুই বছরের সিনিয়র।
১৯৮৫ সালের পদোন্নতির পত্রে লেখা হয়েছে ‘স্থায়ী আত্মীকৃত পদে’ পদায়ন করা হয়। কিন্তু কোথা থেকে তিনি এলেন এবং কোন্ দফতর থেকে তাকে আত্মীকৃত করা হয়েছেন সেটির উল্লেখ নেই। ১৯৮৫ সালের ১৪ জানুয়ারি হাতে লেখা একটি ‘যোগদানপত্রে’ ফরিদপুর ডিএবি থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন ‘দুর্নীতি দমন সংস্থা’য় সহকারী পদে যোগদানের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে ‘পূর্বসূত্র’ হিসেবে ‘বিএসি স্মারক নং-১৫১৮৩ (৩৫), তারিখ : ২৬-১২-১৯৮৪’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় হারুনুর রশীদের কোনো নিয়োগপত্র নেই। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি দুদকে চাকরি করেন কোনো ধরনের সনদপত্র ছাড়া। অফিসে রক্ষিত নথিতে কোনো একাডেমিক সনদ না থাকায় ওই বছর হারুনের সনদপত্র চাওয়া হয়।
পদ্মাসেতুর অর্থ আত্মসাৎ : মাদারিপুর জেলাধীন শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি গ্রামে আব্দুর রহমান মাতবরের পুত্র হারুনুর রশীদ। মায়ের নাম-করিমুন্নেসা খানম। এ ঠিকানাকে ‘পিতৃভিটা’ দাবি করে ২০১১ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হারুন। ওই বছর ১৭ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প থেকে একদিনে ১১টি ক্ষতিপূরণ চেক গ্রহণ করেন তিনি। যার মোট মূল্য ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩২৪ টাকা। তবে অধিগ্রহণকৃত জমি তার পৈতৃক ছিল না বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি আশ্রয় নেন প্রতারণা ও জালিয়াতির। পদ্মাসেতু অধিগ্রহণের তথ্য জানতে পেরে হারুন প্রকল্প এলাকায় নামমাত্র মূল্যে কিছু জমি কেনেন। সেখানে ঘর তুলে দেন। পরবর্তীতে এ জমিতে অবস্থিত গাছগাছালি, বসতবাড়ি ছিলÑ মর্মে দাবি করে হাতিয়ে নেন অধিগ্রহণের অর্থ। শিবচর পাচ্চর ইউনিয়নের মোতালেব মিয়া জানান, হারুনকে এই এলাকার মানুষ কেউ চেনে না। অত্র ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আ: ছালাম মাতবরের সহযোগিতায় হারুনুর রশীদ ভূমি অধিগ্রহণের ভুয়া দাবিনামা দাখিল করে পদ্মাসেতু বহুমুখী সেতু প্রকল্পের টাকা নেন। পদ্মাসেতু বহুমুখী প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির বড় একটি খাত ছিল ভূমি অধিগ্রহণ।
পারিবারিক জীবনে হারুনুর রশীদ দুই পুত্র এক সন্তানের জনক। বড় ছেলে এ কে এম ফয়সাল হারুনএমবিবিএস ডাক্তার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। পুত্র ফুয়াদ হারুন এবং কন্যা ফাতেমাতুন তামান্নার পেশা সম্পর্কে জানা যায়নি।
বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির মামলা দায়ের, মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন এবং মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী হারুনুর রশিদ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসরের দুর্নীতি, বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন সম্পর্কে জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় রাশিয়া, চীনের প্রশংসায় এরদোগান
ইসলামী আন্দোলনের আমীর গণ বিপ্লবের মহানায়ক ছিলেন: মাও. জাফরী
ভিয়েতনামে পুরস্কার জিতলো আফসানা মিমির সিনেমা প্রকল্প ‘রেড লাইটস ব্লু অ্যাঞ্জেলস’
শিক্ষার্থীর উপর হামলার জের বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজে মানববন্ধন
ইউরোপের প্রথম এআই গায়ককে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আইন পাসে বাধা, জার্মানির সংসদে বিরোধীতা চরমে
রাজশাহী মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অচল করে দেয়ার হুশিয়ারী
চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার
‘ফ্যাসিবাদের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইরানে মানবাধিকার কর্মীর আত্মহত্যা
দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই- এ জেড এম জাহিদ
বগুড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু
শাহজাদপুরে আ.লীগের সাবেক ২ এমপি কবিতা ও চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের
আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার পাকিস্তানের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মাওলানা ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুনের অভিযোগ
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, বেড়েছে ১০০ টাকা ফি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
গফরগাঁওয়ে জনতার হাতে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক
শম্ভুর বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ
স্কুল থেকে ফেরার পথে তেলবাহী লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশু শিক্ষার্থীর
জামিন পেলেন সেই চার শিশুর বাবা জামাল মিয়া