সিঙ্গাপুর থেকে আওয়ামী অন্তর্ঘাতে অর্থ ঢালছেন
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রাজ্জাক (বগুড়ায় কালা রাজ্জাক নামে পরিচিত) বর্তমানে সিঙ্গাপুরে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, রাজ্জাক বুদ্ধিমান মানুষ। ‘জাস্টিস ফর জুলাই ২৪’ আন্দোলনের গতি প্রকৃতি বুঝতে পেরে শেখ হাসিনার আগেই পালিয়েছে। পুত্রদ্বয়কে আগেই আমেরিকায় পাঠিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে বসে ঢাকা ও বগুড়ায় পলাতক আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা এবং দেশ-বিদেশে চলমান অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অর্থের যোগানদাতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কালা রাজ্জাক।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দির নদী ভাঙা পরিবারের এক মেধাবী সন্তান এই আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় নেতা ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যখন বাকশালের সভাপতি ছিলেন তখন তিনি বাকশাল ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে তার ছাত্র জীবন শেষ করেন। কর্মজীবনে বাকশাল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর হাত ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন। বিএনপির ১৯৯১-৯৬ পিরিয়ডে কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা জাঙ্গীরকে ব্যবহার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন গডফাদার হিসেবে আর্বিভূত হন। টেন্ডারবাজি করে কামিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। পরে বাকশাল বিলুপ্ত করে সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগে ফিরে গেলে ম. রাজ্জাকও তার পথ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের আন্দোলনের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন দলের নেতাদের কাছে।
১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২৪ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুতপূর্ণ নেতা, মন্ত্রী পদবী ধারীদের আনেককেই তিনি অর্থের যোগদান দিয়ে চাঁদের হাটের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এদিকে দেশে আওয়ামী উন্নয়নের অংশ হিসেবে ফ্লাইওভার নির্মাণ কালচার শুরু হলে তিনি এর অংশীদার হিসেবে ফ্লাইওভার কাজের একটা অংশ পেয়ে যান। চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধ্বসে মানুষের মৃত্যুর খবরে তিনি সংবাদের শিরোনাম হন। সে সময়ও তিনি কানাডায় চলে যান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের দেশে ফেরেন। যখনই রাজনীতিতে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরী হয় তখনই নিরবে দেশ ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে এসে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। কালা রাজ্জাক সাম্প্রতিক প্রান্তিকের আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রাজনীতির লুটপাটের অন্যতম হোতা। পাবনার রূপপুর প্রকল্পের অনেক বড়ো বড়ো প্লটের কাজ করে তিনি বিপুল অর্থ কামিয়ে নেন। তথ্য পাওয়া যায়, পলায়নের পরও তিনি কৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে দেশের অভ্যন্তরের সকল অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে নিরবে অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে হিন্দু আস্ফালন এবং ইসকন কেন্দ্রিক আন্দোলনে তিনি অর্থের যোগান দেয়া সহ কলকাঠি নাড়ার কাজটিও করেন। দিল্লি ও কোলকাতায় অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে অনুপস্থিতি সত্বেও তার যোগ্য বিজনেস পার্টনাররা তার ব্যবসার দেখভাল করছেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বিএনপির সাথে লিয়াঁজো কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল হতে পারে না: ড. মোশাররফ
টিকটক ও ক্যাপকাটকে টক্কর দিতে মোক্ষম চাল মেটার!
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধের ঘোষণা
তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে হাসিনার মত স্বৈরাচার সরকার আর যাতে আসতে না পারে - ব্যারিস্টার মীর হেলাল
ফেরার সময় তিন ইসরাইলি বন্দীকে কী উপহার দিল হামাস?
মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে : আমিনুল হক
পিঠার নাম হৃদয়হরণ, মুখচাহনি
শেরপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে যুবদলের কম্বল বিতরণ
গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে চুরি হচ্ছে বাণিজ্যিক মিটার
রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে: মির্জা ফখরুল
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের বিশেষ নির্দেশনা শাহজালাল বিমানবন্দরের
দলে মেধাবীদের দেখতে চান তারেক রহমান
গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
শরণখোলায় হোলি কুরআন অ্যাওয়ার্ড ও হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
ইসরাইল ছাড়া অন্য কোন দেশের জাহাজে হামলা করবে না হুথিরা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভ কামনা জানালেন ড. ইউনূস
সুন্দরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিকলীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
শেরপুর সরকারি কলেজের ২১ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলো