বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহে বিশেষ বিধান বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন
২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ বাতিলে অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। মুজিব বর্ষ উদযাপনে চলতি বছরে বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেনন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে এবং গত ১৪ নভেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং ১০৩৭৮/২০২৪ এর আদেশ দ্বারা অবৈধ ঘোষণা করেছে। বিদ্যুৎ–জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ আইন ও মূল্যবৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতবিদ্যুৎ–জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ আইন ও মূল্যবৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিত। উপরিউক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় রেখে জনস্বার্থে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্রয় ও সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ রহিতকরণের নীতিগত ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে এবং গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং ১০৩৭৮/২০২৪ এর আদেশ দ্বারা অবৈধ ঘোষণা করেছে। উপরোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় রেখে জনস্বার্থে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্রয় ও সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ রহিতকরণের নীতিগত ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সরকার প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মুজিববর্ষের বাজেট বরাদ্দ বাতিল করলো অন্তর্বতী সরকার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বা মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেটি বাতিল করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী হিসেবে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারের দপ্তর ও সংস্থা থেকে ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের ত্রয়োদশ বৈঠকে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যয়িত অর্থের হিসাব উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সর্বমোট ১ হাজার ২৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা মোট ব্যয় সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদ অবহিত হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছর হতে এ সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর তারিখে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ এবং ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ একসাথে উদ্যাপনের প্রস্তাব অনুমোদন। প্রস্তবটি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সচিব বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস” এবং ৩০ ডিসেম্বর “জাতীয় প্রবাসী দিবস” পৃথকভাবে উদ্যাপন করা হয়। দিবস দু’টি উদ্যাপনের উদ্দেশ্য একইধরনের এবং ব্যবধান মাত্র ১২ দিন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দিবস দু’টি পৃথকভাবে উদ্যাপন করা হলে অনেক শ্রমঘন্টা এবং অতিরিক্ত সরকারি অর্থের প্রয়োজন হয়। দিবস দু’টি একসঙ্গে উদ্যাপন করা হলে শ্রমঘন্টা সাশ্রয়সহ সরকারি অর্থের ব্যয় সংকোচন করা সম্ভব হবে। বিষয় সমূহ বিবেচনায় “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস”এবং “জাতীয় প্রবাসী দিবস” একই দিনে অর্থাৎ প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর তারিখে উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ“আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস”এবং “জাতীয় প্রবাসী দিবস” একই দিনে অর্থ্যাৎ প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর তারিখে দিবস উদ্যাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সেইসাথে, সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে সমধর্মী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক দিবস উদ্যাপনকে প্রাধান্য দিয়ে সমধর্মী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ একই তারিখে একত্রে পালন করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশনা প্রদান করে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের
মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ
মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা
উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন
"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে
বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না জাবির শিক্ষার্থী রাচির
লাওসে বিষাক্ত মদের বিষক্রিয়ায় পর্যটকের মৃত্যু
বিদায় বেলা ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
ইউক্রেন যুদ্ধ,রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রতিযোগিতা!
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক আটকে বিক্ষোভে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা : চরম ভোগান্তি
সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ট্রাভেল পাস যেভাবে পাবেন
রাসিকের মাষ্টাররোলে নিয়োজিত ১৬১ কর্মীকে অব্যাহতি, ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ
সিরিয়ার পালমিরা শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত ৩৬, আহত ৫০
অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাবিত শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ কার্যকর হবে কি?
ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্থলমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিলেন বাইডেন
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
১২ বছর পর আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া