ডিম ছুড়ে মারলেন আইনজীবীরা

শহীদ জিয়া-বিদ্বেষী আওয়ামী বিচারপতি আশরাফুল কামাল

Daily Inqilab বিশেষ সংবাদদাতা

২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম


বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ‘জিয়া পরিবার-বিদ্বেষী’ হিসেবে পরিচিত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আশরাফুল কামালকে ডিম ছুড়ে মেরেছেন আইনজীবীরা।
নিজের দেয়া রায়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করায় গতকাল বুধবার এজলাসের ভেতর ডিম ছুড়ে মারেন আইনজীবীরা। যদিও ছোড়া ডিম তার গায়ের ওপর লাগেনি। ডিম ছোড়ার পর এজলাস ত্যাগ করেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরের পর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম চলছিল। এ সময় একদল আইনজীবী ‘বিজয় ৭১’ ভবনে অবস্থিত ৩২ নম্বর এজলাসে প্রবেশ করেন। তারা ডায়াসের সামনে গিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি একজন বিচারপতি হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে রায়ে আজেবাজে মন্তব্য করেছেন। আপনি এখনো যদি ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করেন তাহলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নেই। এক পর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্যে একজন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ করে ডিম ছুড়ে মারেন। তবে ডিমটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ডেস্কে লাগে। এ সময় আইনজীবীরা তুমুল হট্টগোল করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা মাহবুবুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক দিন আগে একটি মামলার রায় দেন এই কোর্ট। ওই বিষয়টিতে জিয়াউর রহমান প্রাসঙ্গিক না হলেও রায়ে এই বিচারপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল কয়েক দিন ধরে। গতকাল বুধবার এই বিচারপতি এজলাসে উঠলে কয়েকজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, আপনি এই চেয়ারে বসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। আপনার এই চেয়ারে বসার অধিকার নেই। এক পর্যায়ে তারা বিচারপতিকে দিকে ডিম ছুড়ে মারেন।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর যে ক’জন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি ওঠে তাতে নাম ছিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের। আওয়ামী দলকানা বিচারপতি হিসেবে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে তখন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের যে দলকানা ১২ বিচারপতিকে দীর্ঘ ছুটিতে পাঠানো হয় এর মধ্যে ছিলেন না তিনি। আওয়ামী জমানায় নিয়োগপ্রাপ্ত এ বিচারপতি ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ এবং ‘জিয়া পরিবার-বিদ্বেষী’ হিসেবে পরিচিত। এর প্রমাণ মেলে তার বিভিন্ন রায়ে। যেমনÑ ২০১৬ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল পর্যবেক্ষণের একাংশে বলেন, ‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন, তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি রুলস ভঙ্গ করেন? ভাবলেন না তার শপথের কথা। ভাবলেন না, তিনি দেশকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় চার নেতাকে রক্ষা করতে। জনগণ আশ্চর্য হয়ে দেখল মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের দোসর হয়ে তাদের রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করল। যাকে এক কথায় বলা যায় বন্দুক ঠেকিয়ে জনগণের প্রতিষ্ঠান দখল।’

রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি ডাকাতরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতদের যে নেতৃত্ব দেয় তাকে ডাকাত সর্দার বলে। ডাকাতি করার সময়ে ডাকাতরা বাড়িটি বা ঘরটি কিছু সময়ের জন্য অস্ত্রের মুখে দখল করে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গংরা দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোঁচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙে ডাকাতদের মতো অবৈধভাবে জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করেন। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সাংবিধানের সামান্যতম বিচ্যুতি রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা; সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা সংবিধানকে এক কথায় হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে ‘জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিয়ম একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে অসৎভাবে হত্যাকারীদের দোসর হয়ে জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের-বিরোধী তথা স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে পুনর্বাসন করেন। তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন (যে নাগরিকত্বকে আমাদের তথাকথিত জামায়াতি এবং স্বাধীনতা-বিরোধী মানসিকতার বিচারকরা বৈধ বলেন)। তিনি স্বাধীনতা-বিরোধী এবং মানবতা-বিরোধী অপরাধীদের এমপি করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেঈমানি করেন। এর পরও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে?’

‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের শুধু দোসরই হননি; বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত, এমপি ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরো জঘন্য যে কাজটি করেন তা হলোÑ তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে ইনডেমনিটি প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।’

ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুল কামাল ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। দুই বছর পর তৎকালীন আ.লীগ সরকারের সময় ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর স্থায়ী বিচারপতি নিযুক্ত হন। স্থায়ী হওয়ার পর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং রায়ের কারণে নানাভাবে আলোচনায় আসেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন একটি ডিভিশন বেঞ্চে আশরাফুল কামাল ছিলেন জুনিয়র জজ। ২০১৫ সালে হাইকোর্টের এ ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনের একটি বিধান বাতিল করেন। যা ২০১৫ সালে সংস্থাটির কমিশনারদের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। ওই বেঞ্চে থাকা বিচারপতি আশরাফুল কামাল ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। যা মায়ার পক্ষে যায় বলে প্রচারণা রয়েছে।

তবে ২০১৬ সালের মার্চ মাসের একটি রায়। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বৃহত্তর বেঞ্চ ১৯৮৮ সালে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা একটি রিট নাকচ করে দেন।
গুগল থেকে রাজস্ব আদায়ের নির্দেশনা যে বেঞ্চ থেকে দেয়া হয় সেটিতে ছিলেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

২০১৮ সালের অক্টোবরে বিচারপতি আশরাফুল কামাল বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল-বিএনপির রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দায়ের করা গায়েবি মামলার বিষয়ে রিট হয়। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চটি আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া গায়েবি মামলাকে কেন অবৈধ, সংবিধান পরিপন্থী ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। নিজের অংশে বিচারপতি আশরাফুল কামাল গায়েবি মামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ‘গায়েবি মামলা’গুলোকে কাল্পনিক বলা যাবে না। মামলাগুলোর সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে
টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩
যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত চেয়েছে সরকার
আরও

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি: দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি: দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ

মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ

আজহারীর মাহফিলের আগের রাতেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ

আজহারীর মাহফিলের আগের রাতেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে

পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক

পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক

ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব

ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপির

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপির

মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ

মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ

ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল

টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল

নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার

নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার

টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান

টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান

অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন

অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন

সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স

সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স

বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

আখাউড়া কালন্দি খালে বইবে জলধারা

আখাউড়া কালন্দি খালে বইবে জলধারা

টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩

টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩

৩৩ জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল

৩৩ জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল

যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল

যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল

আল-শারা ও শেখ মোহাম্মদের  ঐতিহাসিক টেলি-আলোচনা

আল-শারা ও শেখ মোহাম্মদের ঐতিহাসিক টেলি-আলোচনা