শৈত্যপ্রবাহ ডিসেম্বর-জানুয়ারি জুড়ে

ক্রমেই বাড়ছে কুয়াশার বিস্তার : জানুয়ারিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা নামতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রিতে : নভেম্বরে ৮৬ শতাংশই অনাবৃষ্টি

শৈত্যপ্রবাহ ডিসেম্বর-জানুয়ারি জুড়ে

শফিউল আলম

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম

চলতি ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ) ও আগামী জানুয়ারি’২৫ইং (পৌষ-মাঘ) পরপর দুই মাস জুড়ে দেশে মৃদু থেকে মাঝারি এবং তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরমধ্যে এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। তবে এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিক থাকতে পারে। চলতি ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে এক থেকে ২টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সময়ে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে। আগামী জানুয়ারি’২৫ইং মাসে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময়ে তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি ডিসেম্বর মাসে দেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ক্রমেই বাড়ছে কুয়াশার বিস্তার।
গতকাল রোববার আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় উপরোক্ত পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানের জন্য আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম।

সভায় পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় এক থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসে দেশে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গেল নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ) মাসে সারা দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮৬ শতাংশই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে গত অক্টোবর মাসে দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে গড় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে এক দশমিক ৩ ডিগ্রি সে. এবং শূন্য দশমিক ৭ সেলসিয়াস বেশিই ছিল। গত মাসে সারা দেশে সার্বিকভাবে গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সে. বেশি ছিল। গত মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ৩৫ ডিগ্রি সে. (১ নভেম্বর)।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’ ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে কেটে যাওয়ার পর দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই হ্রাসের দিকে রয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সর্ব-উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সে.। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’র প্রভাব কেটে যাওয়ার ফলে দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ থেকে সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে। ##

বিভাগ : জাতীয়