দ্বিতীয় চার্জশিট ছিল বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ঢাকার তৎকালিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। ফরমায়েশী এ রায় ঘোষণার পুরষ্কারস্বরূপ শেখ হাসিনা ওই বিচারককে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। হাইকোর্ট তার সেই ‘ফরমায়েশী’ রায়কেই বাতিল ঘোষণা করেন। বাতিল রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, এ মামলায় কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন না। ২৫ জন সাক্ষীর কেউই স্বীকার করেন নি যে, আমি গ্রেনেড ছুড়েছি বা ছুড়তে দেখেছি। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট আরো বলেন, অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ২৫ জন পরোক্ষ সাক্ষীর জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে বিচারিক আদালত এ রায় দিয়েছিলেন। ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দির একটি আরেকটিকে সমর্থন করেনি। কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী ছিল না। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো প্রমাণযোগ্য বা আইনগত মূল্য নেই, কারণ জীবদ্দশায় তিনি তার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে গেছেন। এ স্বীকারোক্তি জোর করে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। তা ছাড়া মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিটি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা যথাযথ পরীক্ষা এবং গ্রহণ করা হয়নি।
আসামিপক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে আদালত বলেন, কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিকে সাজা দেয়া যায় না। আর দ্বিতীয়বার দেয়া চার্জশিট ছিলো অতি মাত্রায় বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দ্বিতীয় অভিযোগপত্রটি আমলে নেয়ার ক্ষেত্রে আইন অনুসরণ করা হয়নি। তাছাড়া প্রথম অভিযোগপত্রটিও গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ ওই অভিযোগপত্রটিও মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। যা তিনি পরে প্রত্যাহার হরে নিয়েছিলেন। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া ২৫ জন সাক্ষীর কেউই বলেন নি যে, আমি গ্রেনেড ছুড়েছি বা ছুড়তে দেখেছি। ফলে প্রকৃত খুনি কে সেটির প্রমাণিত হয়নি। ফলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না।
আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হাইকোর্ট তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এ মামলায় সাক্ষীদের পরস্পর কেউ দেখেছেন বা কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন– এ ধরণের কোনো এভিডেন্স নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে তা টর্চার করে নেয়া হয়েছে।
এদিকে হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে-মর্মে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন. আমি মনে করি আপিল হওয়া উচিৎ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া, দোয়া চাইলেন দেশবাসীর কাছে
মধ্যরাতে অনশনে যোগ দিলেন জবির অর্ধশতাধিক ছাত্রী
রিয়ালকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সা
গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে
৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?
মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,
আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!
সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ