জানুয়ারিতেই পাঠ্যবই পাবে শিক্ষার্থীরা
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যবই উৎসব হবে না। তবে বছরের প্রথম দিনই পাঠ্যবই হাতে তুলে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। বছরের প্রথম দিন সব বই শিক্ষার্থীদের দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ এখনও কিছু বই ছাপতে দেওয়া হয়নি। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান মিডিয়াকে বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। বই উৎসব করে অর্থ অপচয় করা হবে না।
দেশে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহের শুরু থেকে প্রত্যেকবার বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করে বই বিতরণ করা হতো। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই উৎসব করেই তুলে দেওয়া হয়। তবে এবার নতুন বছরে পাঠ্যবই উৎসব অনুষ্ঠান হবে না। তবে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ শুরু করা হবে।
এনসিটিবি জানায়, জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছ দেওয়া হবে। এ বছর সময়মত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও নভেম্বর মাসে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় সরকার। বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ডিপিএম পদ্ধতিতে (টেন্ডার ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) এক কোটি পাঠ্যবই দ্রুত ছাপতে আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দেওয়া হয়।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান মিডিয়াকে বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই চলে যাবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মূল পাঁচটি বই আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই দিয়ে দিতে পারবো। এতে ৭৫ শতাংশ বইয়ের জোগান সম্ভব হবে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে। আমাদের পরিকল্পনা হলো, ৯০ শতাংশ বই ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে আসা। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাবে। মাধ্যমিকের এক কোটি বই ছাপানোর জন্য সরাসরি আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দিয়েছি সরাসরি ডিপিএম পদ্ধতিতে (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যাটার), যাতে বই ছাপার প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয়।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই ছাপিয়ে শিক্ষার্থী পর্যায়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের পাঠ্যবই ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপা শেষে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনসিটিবি জানায়, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। এর মধ্যে মাদ্রাসার এবতেদায়ি এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখের মতো এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ২০ লাখের মতো। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে (২০১৩ সাল থেকে পাঠ্যবই) ফেরত যাওয়ায় মাধ্যমিকের বইয়ের সংখ্যা এবার বেশি। কারণ স্থগিত হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীকে ১৪টি করে বই পড়তে হতো। আর ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২২টি করে এবং নবম-দশম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩৩টি করে বই ছাপতে হতো। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের পড়তে হতো ১৪টি করে পাঠ্যবই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রুয়েটের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কালীগঞ্জে ছাত্রদল সভাপতি মবিন খানের স্মরণ সভা
একমাত্র সঞ্জয়ই দোষী, সাজা ঘোষণা সোমবার
চাঁদাবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে: ডা. শফিকুর রহমান
শুল্ক ও কর বৃদ্ধি যেভাবে প্রভাব ফেলবে সিগারেটের বাজারে
বায়ুদূষণের প্রভাবে দেশে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
যেকোনো জাতির জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে মুখ্য বিষয়: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
তরুণদের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম বিপিএল: আর্থার
ইরানের প্রেসিডেন্টের সালামের উত্তর দিলেন পুতিন
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল
সিএমজেএফ টকে ডিএসই চেয়ারম্যান জুনের মধ্যে গতি ফিরে পাবে শেয়ারবাজার
আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি গ্রাহক গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার ঐক্য ফেডারেশনের
চিকিৎসা নীতিশাস্ত্র গবেষণায় মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম ইরান
জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশের
এনবিআরের সেই মতিউর রিমান্ড শেষে কারাগারে
ডিবি হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ডা. সাবরিনা
হাকিমপুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ কর্মী সম্মেলন
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে : আমির খসরু
ইনকিলাবের কবির হোসেন কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত