‘সিরিয়ায় নির্বাচনের জন্য লাগতে পারে চার বছর’

ইনকিলাব ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

চলতি ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, সিরিয়ার নতুন ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারা প্রথমবারের মতো নির্বাচনী সময়সীমা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সিরিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করতে প্রায় চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আল-শারারা রোববার সউদী আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত চ্যানেল আল-আরাবিয়াতে এক সাক্ষাৎকারে জানান, একটি নতুন সংবিধান তৈরি করতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশের জনগণের সংখ্যা নির্ধারণে একটি নতুন জনগণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যা নির্বাচনের সময়সীমা বাড়াবে। তিনি বললেন, “যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে একটি ব্যাপক জনগণনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।” এছাড়া,আল-শারা আশাবাদী যে সিরিয়ায় আগামী এক বছরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, এবং হায়াত তাহরির আল-শাম (ঐঞঝ), যেটি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী, তা একটি জাতীয় সংলাপ সম্মেলনে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। শারা তার সরকারের পক্ষ থেকে সিরিয়ার শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শারা আরও জানান, সিরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক থাকবে। সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক এবং দেশের ভিতরে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি নিয়ে আলোচনা হবে। সিরিয়ার নতুন সরকার আশা করছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন।

আহমেদ আল-শারা ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের একটি দল চলতি মাসে দামেস্ক সফর করেছেন। ওই সময় তারা হায়াত তাহরির আল-শামের এই নেতাকে বাস্তববাদী হিসাবে আখ্যা দেন। একই সঙ্গে এইচটিএসের এই নেতার মাথার দাম ওয়াশিংটন যে ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিল, সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান। সিরিয়ার নতুন সরকার আশাবাদী যে, তারা দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে এবং এটি আর কোনো দেশের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে না।। তথ্যসূত্র : রয়টার্স।

বিভাগ : জাতীয়