ফরিদপুর অঞ্চলের মাটি খেকোদের ভয়ঙ্কর থাবা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
ফরিদপুর অঞ্চলের মাটি খেকোদের ভয়ংকর থাবা ফসলি জমিতে। অর্থকারী ফসল ভয়াবহ হুমকির মুখে। পাট, পেঁয়াজ, রসুনের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর অঞ্চলের অর্থকারী ফসলের বিক্রি অর্থ নির্ভর এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
বিশেষ করে ফরিদপুরের সদর থানা, রাজবাড়ীর সদর থানা এবং শিবচর উপজেলার ৫৫ শতাংশ মানুষ পাট, পেঁয়াজ, রসুন, উৎপাদন করে তারা যুগের পর যুগ সারা বছরই তাদের সংসারের বাৎসরিক খরচ, ছেলে-মেয়েদের ভরণ পোষণ চলে। চাষিদের ঘরে এক দেড়শ’ মণ পাট, পেঁয়াজ, রসুন ঘরের মাচায় বা কাচারি ঘরের চাঙে রেখে দেন। বছর শেষে যখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়ে তখন তারা বাড়িত কিছু পয়সা নতুন বছর তাদের ক্ষেতে নতুন ফসল আবাদ করার জন্য চাষের সব খরচের যোগান এখান থেকেই খরচ করেন। পাশাপাশি বছরের শেষে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই তিন মাস ঘরের চাল-ডাল কেনার টাকার যোগান দিতে পারেন কৃষক-চাষিরা।
কতিপয় মুনাফালোভী মাটির ব্যবসায়ী, বর্তমানে ঐ সকল আবাদি জমি চাষিদের অতিরিক্ত লোড দেখিয়ে ফসলি মাটির উর্বর ভূমির শক্তি সঞ্চার করা সয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটের ভাটায়। এতে মাটি ব্যবসায়ীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও অবুঝ ও বোকা কৃষক বা চাষিরা ঠকছে সামান্য লাভের আশায়। একদিকে অসহায় ও অভাবি চাষি ও গ্রামের মানুষকে ভুলবাল বুঝিয়ে এবং নানান প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রিতে উৎসাহী করছে এবং পড়ের মাটি পড়ে কাছে বিক্রি করে নিজেরাও লাভবান হচ্ছেন।
পাশাপাশি অন্যের ফসলের জমির উপর দিয়ে ট্রাক ও ট্রলি ভরে মাটি বিক্রি করার কারণে পাশের লোকের ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। এই মাটি বিক্রির টানা ব্যবসায় নামছেন ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এবং ভাটা মালিকরা। সাথে যোগ হয়েছে সাবেক হাইব্রিড আওয়ামী লীগ এবং ১৭ বছরের না খাওয়া বিএনপি। এই গংরা একসাথে মাঠে পরস্পর ভাগযোগে খাবার চক্রান্তে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রলি গাড়ি ও ড্রাম ট্রাকের সাহায্যে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই ফসিল মাটি আবার কোথায় নিচ্ছেন ফসলসহ মাটি।
দুই যুগ ধরে ফরিদপুর অঞ্চলের ফসলি জমি কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি সুবিধাবাদী মহল। এর মধ্যে ফরিদপুর সদর, সালথা ও নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, মাদারীপুরের শিবচর, ডাসা, কালকিনি, উপজেলার বেশিরভাগ খাল-বিল, নদী-নালা ও হাজার বিঘা পতিত জমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী মাটিখেকোরা।
সকলের চোখের সামনে এই অনৈতিক কারবার চললেও প্রতিবাদ করার কোনো লোক নাই। ঐ সকল ভাটা মালিক কাম মাটি খেকোরা এ যাবৎ ভাটায় মাটি বিক্রি এবং গ্রাম থেকে মাটি নিয়ে শহরের বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করলেও এখন ঐ মাটি খেকোরা এখন আর এক জায়গায় থেমে নাই। আগে নদীর পাড়, পতিত জমি, অনাবাদি জমি, ময়লাযুক্ত পুকুরের মাটি কেটে বিক্রি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে এই মাটিখেকোরা এখন ঢুকে পড়ছে এই অঞ্চলের কালো মানিক ফলানো পেঁয়াজের ক্ষেত ও সাদা সোনা (রসুন) ফলানোর ক্ষেত এবং সোনালী আঁশ ফলানো পাট ক্ষেতের ধ্বংসের মহাযজ্ঞে।
বর্তমানে তারা হানা দিয়েছেন পাট-গম-পেঁয়াজ ও ধানের জমিতেও। তারা খননযন্ত্র (ভেকু মেশিন) দিয়ে তিন ফসলি জমির উর্বর মাটির ওপর থেকে এক থেকে দেড় হাত (টপ সয়েল) তুলে নিয়ে অবৈধ ট্রলি গাড়িতে করে ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করছেন। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তাদের।
এতে জেলা ও উপজেলার গ্রামগঞ্জের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাটির উর্বর মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ সরাসরি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে ভাটা মালিকদের কাছে। একদিকে জমির উর্বরতা হারিয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে দিন যাচ্ছে আর জেলা উপজেলার মানচিত্র থেকে ফসলের মাঠ সংকুলান হয়ে, ছোট হয়ে আসছে।
সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের চরাঞ্চল, রাজবাড়ী চরাঞ্চল, শরীয়তপুরের চরাঞ্চল, মাদারীপুরের চরাঞ্চল এবং সালথা ও নগরকান্দার কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে প্রতিবেদনকালে দেখা যায়, শতশত বিঘা পতিত জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিন ফসলি জমিতেও খনন করা হয়েছে পুকুর। কোনো কোনো জমির উর্বর অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির এসব মাটি কেটে ট্রলি গাড়ি ও ড্রাম ট্রাকের সাহায্যে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সড়কগুলোয় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতশত ফিটনেসবিহীন অবৈধ ট্রলি গাড়ি। এসব গাড়ির অবাধে চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ট্রলিতে বহন করা মাটি সড়কের ওপরে পড়ে থাকছে। বৃষ্টি হলেই সড়ক ভিজে পিচ্ছিল হয়ে তৈরি হচ্ছে মরণফাঁদ। আবার অনেক সড়কের পিচঢালাইও উঠে যাচ্ছে। ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। প্রতিদিন ছোট খাটো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
জেলা উপজেলার স্থানীয়রা ইনকিলাবকে বলছেন, ফসলি জমি ধ্বংসের জন্য শুধু মাটি ব্যবসায়ীরাই দায়ী নয়, জমির মালিকরাও দায়ী। কারণ মাটিখেকোদের নগদ টাকার লোভে পড়ে তারাও নগদ টাকার মুখ দেখে জমির মালিকরা লোভ সামলাতে না পেরে নিজেরা ফসলের মাঠকে মরণফাঁদে পরিণত করছেন। নগদ টাকা গুছিয়ে দেয়ার পিছনে ব্রোকার হিসেবে কাজ করছেন একশ্রেণির মাতুব্বর টাইপের দালাল। এই সুযোগে কৌশলে জমির মালিকদের নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কিনে নেন মাটি ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর পূর্বপাড়া খালের ব্রিজ এলাকায় নবা সিকদারের বাড়ির পাশে ও একই এলাকার হাসান সিকদারের জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে শাহজাহান মেম্বার ও মুরাদ, যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামে অবুঝ, সাধুহাটি গ্রামে রিপন ফকির ও কাবুল, গট্টি ইউনিয়নের দোহারগট্টি গ্রামে মাহমুদ, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী বাতাগ্রাম গ্রামে গৌরঙ্গ মালো ও ওবায়দুর এবং আটঘর ইউনিয়নের জয়কাইল গ্রামে জামাল হোসেন নামে ৯ জন মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অবাধে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
অভিযোগ উঠছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র এসব মাটিখেকোদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মাটি বাণিজ্য করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। যে কারণে মাটি কাটা ও বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। গ্রামের লোক ভাবছেন মাটি লুট বা বিক্রির পিছনে হাত আছে। আবার কেউ কেউ ভাবছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা মিলেমিশে অনৈতিক অর্থ ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন।
এই বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাফী বিন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে বছরজুড়েই অবৈধ মাটি ও বালু কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়। তারপরেও দেখা যায় আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি চক্র মাটি কেটে বিক্রি করছেন। দিনে অভিযান চালালেও, রাতে বেলা কাটছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফসলি জমি রক্ষায় জমির মালিকদেরও সচেতন হতে হবে। তারা লোভে পড়ে মাটি বিক্রি করছেন। যে কারণে আজ ফসলি জমি ধ্বংসের পথে। এ ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া জরুরি।’
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাটি কাটার খবর পেলেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। তবে একটি চক্র রাতের আধারে মাটি কাটছে বলে জানতে পেরেছি। যেসব জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে, খোঁজ-খবর নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হবে।
অপরদিকে, মাদারীপুর উপজেলার শিবচরের প্রত্যন্ত অঞ্চল, আঁড়িয়াল খাঁ, শিবচর কুতুবপুর, কাঠালবাড়ি, গাবতলা, বন্দরখোলা, শরীয়তপুরের চরাঞ্চল, সদর থানার প্রত্যন্ত এলাকা, ফরিদপুর ভাঙ্গা উপজেলায় কালামৃধা, তারাইল, বগাইল, চান্ডা, পাতরাইল, উওরাইল, সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চল, পদ্মার পাড়, পিয়াজখালি, চরমানাইর, চরচাদপুর, কৃষ্ণনগর, যাত্রাবাড়ী, শয়তানখালি, চরভদ্রাসনের পদ্মারপাড়, আকটেরচর, ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচড়, নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের অর্ধশত পয়েন্ট দিনে রাতে ফসলি জমির মাটির বিক্রি হিড়িক চলছে। সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা সালথা, নগরকান্দা, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিচর, অম্বিকাপুর, ঈশানগোপালপুর এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের।
এখানকার ভাটা মালিকরা যেমন বেপরোয়া তেমনি বেপরোয়া মাটি ব্যবসায়ীরা। তবে যে সব জমির মালিকরা ফসিল জমির মাটি বিক্রি করছেন, তারা নিজেরাই নিজের পায়ে কুরাল মারছেন।
ফরিদপুর অঞ্চলের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মো. আশরাফ আলী ইনকিলাবকে বলেন, এই ভাবে যদি ফসিল জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হয় তা হলে, অদুর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অর্থকারী ফসল ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে।
বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও এনজিও পরিচালক সুরেশ হালদার ইনকিলাবকে বলেন, মানুষের যেমন জীবন আছে তেমনি পরিবেশ, মাটি পানির ও নিজস্ব একটি সও্বা শক্তি আছে। জীবন্ত প্রাণের ওপর আঘাত করলে যেমন মানুষ দুর্বল হয়ে যায়, তেমনি ফসল ফলানো যায় এমন মাঠেরও ওপর থেকে শক্তির যোগানো সয়েল কেটে নিলে মাটির উর্বর ভূমির শক্তি সঞ্চার কমে যায়।
এই অঞ্চলের ফসলি রক্ষায় সমাজ, ভূমির এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ছে। অন্যথায় ফরিদপুর অঞ্চলের মাটি খেকোদের ভয়ংকর থাবায় ফসলি জমিতে সোনার ফসল ফলানোর যেমন হুমকির মুখে পড়বে, তেমনি অর্থকারী ফসল ও বেঁচে থাকার অর্থনীতিও হুমকির মুখে পড়বে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রেকর্ড ৫,৬৩৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা সোনালী ব্যাংকের
১৪৮ চিকিৎসককে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি
৭ উইকেট ছেলেকে দিলেন তাসকিন
প্রধান উপদেষ্টার রাজবাড়ী সফর স্থগিত
ভিসা সত্যায়নের বেড়াজালে বিপুল সংখ্যক সউদীগামী কর্মী বায়রা নেতৃবৃন্দের সাথে বিএমইটির ডিজি
মোবাইলের ব্যাককভারে প্রিন্ট করা ছবি লাগানো প্রসঙ্গে
প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় গায়ক আরমান মালিক
সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের উদ্দেশে পত্র দিয়ে তথ্য উপদেষ্টার অনন্য দৃষ্টান্ত
ফুলপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৫ পরিবহনকে জরিমানা
গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতায় উৎসবের আমেজ
সাইবার আক্রমণ: আসিফ-সাদিক-হান্নানের ফেসবুক আইডি সচল
গোয়ালন্দে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ উপহার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২৩৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ