গলায় বিধে থাকা দুই ছররা গুলি নিয়ে যন্ত্রণায় ভুগছেন নাহিদুল
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৫ এএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর অন্যতম ছিলো যাত্রাবাড়ির রায়েরবাগ। পুলিশ বেশি মারমুখি ছিলো এখানে। আর এ স্পটেই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন পার্ক পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম। গত ১৯ জুলাই বিকালে রায়েরবাগ মোড়েই গুলিবিদ্ধ হন ২০ বছরের এ যুবক। এর মাত্র একদিন আগে তার আপন খালাতো ভাই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তোফায়েলও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন একই স্পটে। অপর খালাতো ভাই মাদরাসা শিক্ষার্থী মোনায়েল আহমেদ ইমরান একদিনের ব্যবধানে একই স্পটে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানাধীন জির-া গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলামের পুত্র ভুক্তভোগী নাহিদুল ইসলাম। ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের এ শিক্ষার্থী জানান, মাতুয়াইলের একটি মেস বাসায় থেকে তিনি লেখাপড়া করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি সক্রিয় ছিলেন। গত ১৯ জুলাই কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগের স্পটে তিনি অবস্থান নেন। ওইদিন সকাল থেকে কয়েকশ’ আন্দোলনকারী রায়েরবাগের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। উদ্দেশ্য ছিলো কদমতলী থানা থেকে যাতে পুলিশ বের হতে না পারে। বিকাল ৪টার দিকে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ ছিলো খুবই মারমুখী। এ সময় পুলিশের এপিসি গাড়ি থেকে বেপরোয়াভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে তার মাথা, মুখ, গলাসহ শরীরে ত্রিশটি গুলি বিদ্ধ হয় নাহিদুল। তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। সহআন্দোলনকারীরা তাকে উদ্ধার করে কাজলার স্থানীয় সালমান নামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। এ সময় শরীরে বিদ্ধ অনেকগুলো ছররা গুলি বের করা হয়। আন্দোলন চলার কারণে তিনি অসুস্থ থাকলেও আর কোথাও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নেয়ার সুযোগ পাননি। কারণ ওই সময় বেশিরভাগ হাসপাতালে পাহারা বসিয়েছিলো আ’লীগের দোসররা। যাতে করে আন্দোলনকারীদের কেউ যাতে চিকিৎসা করাতে না পারেন। দেশ স্বাধীনের পর গত ১৮ অক্টোবর তাকে ভর্তি করা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। সেখানে মাথায় বিদ্ধ থাকা দু’টি গুলি বের করা হয়। কিন্তু এখনো তার শরীরে রয়ে গেছে ৭টি গুলি। এর মধ্যে গলায় দু’টি গুলি থাকায় তিনি শক্ত খাবার খেতে পারেন না।
নাহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, তার বাবা সামান্য একজন হোটেল কর্মচারী। ৯ ভাই-বোনের যৌথ সংসার। এর মধ্যে ৪ ভাই-বোন লেখাপড়া করেন। সংসারে হাল ধরার মতো বিকল্প কেউ নেই। আর্থিক অভাব-অনাটনের মধ্যেই চলছে তাদের দিন। এরই মধ্যে চিকিৎসার পেছনে তার পরিবারকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়েছে।
জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা পাননি নাহিদুলের পরিবার। নাহিদ বলেন, এ সময়ে তার একটি কর্মসংস্থান দরকার জরুরি ভিত্তিতে। পাশাপাশি গলা থেকে গুলি বের করা জরুরি। অন্যথায় থেমে যেতে পারে তার জীবনের গতি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সউদী আরব গমনেচ্ছু চালকদের দক্ষতা যাচাই করবে বিআরটিসি
ভারত কী উদ্বাস্তু হিসেবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে : প্রশ্ন রিজভীর
হাসিনাকে ফেরাতে চিঠি: দিল্লির উত্তর না এলে পাঠানো হবে তাগিদপত্র
শেষ ওভারে ৩০ রান তুলে রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক সোহান
শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে: খেলাফত মজলিস
শরীয়তপুরে জাজিরা থানার ওসির অস্বাভাবিক মৃত্যু
গোয়ালন্দে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের কবলে অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি
হাসপাতালের তত্তাবধায়কের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় মিমাংশা
করের ওপর কর চাপিয়ে জনসমর্থন হারাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার : রিজভী
ভুঁইফোড় সংগঠন তৈরি ও অন্য দলের নেতাকর্মীদের যোগদান বন্ধ: বিএনপি
ঈশ্বরদী ইপিজেডে কর্মকর্তার অমানুষিক মারধরে শ্রমিকের মৃত্যু
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
মানিকগঞ্জে খান বাহাদুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
চাদের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলা নিহত ১৯
কাউখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার জরিমানা
কালীগঞ্জে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব
আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে: প্রেস সচিব
ভাঙ্গায় ডাক্তারের ফাঁকা বাড়িতে মিললো কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ