গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বরের ঘটনা। পাঁচ বছর পর সউদী আরব থেকে দেশে ফেরেন সিলেটের সাত্তার আলী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে তাকে চারজন মিলে জিম্মি করে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তার কাছে থাকা বাংলাদেশি দশ লাখ টাকা সমমূল্যের ৩০ হাজার রিয়াল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তিনি চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
দিগি¦দিক কিছু বুঝতে না পেরে তিনি বিমানবন্দর থানায় যান। সেখানে তিনি জিডি করেন। জিডিতে তিনি পুরো ঘটনা উল্লেখ করেন। কিন্তু ঘটনার দু-দিন পার হলেও জড়িত ছিনতাইকারী গ্রেফতার কিংবা ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার হয়নি। ভুক্তভোগী সাত্তার আলী বলেন, কষ্টের টাকা নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমি সউদী আরব থেকে দেশে ফিরেছি। ঘরে আমার তিনটা সন্তান। আমার কষ্টের রোজগারের টাকা এভাবে দেশে ফিরতেই ছিনতাই হয়ে যাবে ভাবিনি।

শুধু প্রবাস থেকে দেশে ফেরা সাত্তার আলী নন, খোদ দিনে-দুপরে ঢাকা শহরে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস থেকে ছিনতাইকারীরা আরও যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বস্ব কেড়ে নিতে মারমুখী হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। গত পাঁচ মাসে ঢাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ গেছে ৭ জনের। গত চার মাসে ছিনতাই-অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৬৪ ‘ছিনতাইকারী’কে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। শুধু ছিনতাই নয় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রকাশ্যে ঘটছে চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনা। মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতেও ডাকাতি বেড়েছে। ছিনতাই হচ্ছে মালবাহী ট্রাকও। মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র মতে, গেল বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই মাসে সারা দেশে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে ৫২২টি। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ২৫ হাজার ৪৫৬টি।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মনকাশাইর নামক স্থানে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় আহত হন গাড়ির চালকসহ একজন সাংবাদিক। এদিকে, ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাগবাড়ী, পাঁচরুখি, পুরিন্দা, ছনপাড়া এলাকায় আশংকাজনক হারে মালবাহী ট্রাক ছিনতাইয়রে ঘটনা বেড়ে গেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি টিসিবির চিনিবাহী ট্রাক ছিনতাই এবং ১৮ টন রড ভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অবশ্য পুলিশ ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি ছিনতাইয়ের সাথে স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, দিনমজুর, প্রবাসী সবাই। কয়েকজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার শঙ্কায় আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি। শিপমেন্টের জন্য লাখ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে আমাদের কাভার্ড ভ্যান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করে। ভয়ে থাকি না জানি কখন কোন অঘটন ঘটে যায়। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষেরও একই চিন্তা। মতিঝিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানুষ যদি নিরাপদে চলাচল করতে না পারে তাহলে তারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে কেমনে?

গত দুই মাসের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, শাহজাহানপুর, হাজারীবাগ, চকবাজার, শাহ আলী, এমনকি গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মূলত সন্ধ্যা নামার পর বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। এসব ঘটনায় প্রায়শই গুরুতর আহত এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ভুক্তভোগী ও নগরবাসী প্রশ্ন তুলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা নিয়ে। অন্যদিকে ছিনতাই রোধে পুলিশ নানা পদক্ষেপের কথা জানালেও কার্যত ছিনতাই কমেনি।

ডিএমপি ও পুলিশের তথ্যমতে, রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। পুলিশের দেওয়া তথ্য শুধু মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু ছিনতাইয়ের প্রকৃত ঘটনা অনেক বেশি। যার বেশিরভাগই থানায় নথিভুক্ত হচ্ছে না। অধিকাংশ ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করছেন না, কেউ কেউ হারানো বলে জিডি করছেন। যারা শারীরিকভাবে জখম, মারধর কিংবা নিহতের মতো ঘটনা ঘটছে, কেবল সেসব ক্ষেত্রে হচ্ছে মামলা বা অভিযোগপত্র জমা পড়ছে। গত ১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছিনতাইয়ের শিকার হন রবিউল মিল্টন নামে এক যুবক। অজ্ঞাতনামা ৫ জনের একটি দল আদাবর এলাকা থেকে তার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় চাপাতির চ্যাপ্টা পাশ দিয়ে তার মাথায় দুটি, চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে বাম পায়ের পেছনে হাঁটুর উপরে এবং ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে। ছিনতাইকারীরা পরে ৮ নম্বর গলি থেকে আরও একজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করার পর কয়েকজন তাদের ধাওয়া দিলে একজনের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। একই দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদ এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার শিকার হন হাফেজ কামরুল হাসান। ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে চায়। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারী ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকে আঘাত করে। কামরুল হাসান ফ্লাইওভারের ওপর লুটিয়ে পড়লে ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে মারা যান কামরুল। এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় যানজটে স্থবির সড়কে চাপাতি হাতে ঘুরছে তিন যুবক। একপর্যায়ে একটি প্রাইভেটকারের জানালা দিয়ে ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।

পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২৫টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। এ সময় একজন ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে সুনির্দিষ্ট করে ছিনতাইজনিত কোনো জিডির তথ্য নেই পুলিশের কাছে। যদিও এই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর সংখ্যাই বেশি। ৫ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন সাতজন। পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, এ বছরের আগস্ট মাসে পুলিশি কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। এখনও পুলিশি কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশকে আরও সক্রিয় ও বিট পুলিশিংকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে। গত চারমাসে ঢাকায় ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ১২৫টি। আর ডাকাতির মামলা ২২টি। গত সেপ্টেম্বরে ছিনতাই মামলা হয়েছে ১৭টি, ডাকাতি ৫, অক্টোবরে ছিনতাই ৩৩টি, ডাকাতি ৬, নভেম্বরে ছিনতাই ৩৮টি, ডাকাতি ২ এবং ডিসেম্বরে ছিনতাই মামলা ৩৭, ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৯। ছিনতাইয়ের মামলার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকায় মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, হাতিরঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় এসব মামলা রুজু হয়।

ছিনতাইয়ের কবলে সাংবাদিকরাও
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঢাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে প্রাণ রক্ষার্থে খুইয়েছেন ক্যামেরা, মোবাইল, টাকা আর ব্যাগ। হয়েছেন জখমও। গত ১৬ ডিসেম্বর ছুটির দিন সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মফিজুল ইসলাম সাদিক। তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করলেও মোবাইল উদ্ধার হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিবুল হক পার্থও ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতের শিকার হন। গত ২২ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডসংলগ্ন লেকের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পার্থ জানান, আমি সকালবেলা অফিসে যাওয়ার পথে তিনজন যুবক সরাসরি এসে আমাকে হামলা করে। তাদের একজন আমার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এলাকা মতিঝিলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে কর্মস্থল দৈনিক ইনকিলাব থেকে ফেরার পথে মতিঝিলে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, তারা মোবাইল ফোন টার্গেট করে আমার ওপর হামলা করে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় হাত ও পায়ে জখম হয়। পুলিশ এখনও সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি। গত ৩ ডিসেম্বর বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জে ইউ জুবায়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইকারীরা চাপাতি ও পিস্তল ঠেকিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ অর্থসহ তার মানিব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। চাপাতির কোপে পায়ে আঘাত পেয়েছেন তিনি। রামপুরা টেলিভিশন ভবনের পেছনে বনশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গত ১৩ নভেম্বর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের বসিলা রোডের তিন রাস্তার মোড়ে দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক মো. নাঈমুর রহমান ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় তার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা, ব্যাটারি এবং সনির মেমোরিকার্ডসহ একটি নিকন ডি-৮৫০ ক্যামেরা, একটি নিকন ২৪-১২০ এমএম ক্যামেরার লেন্স, একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ১৬ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে তিনজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ক্যামেরাও উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ ও থানায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৮৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, অক্টোবরে ৯১, নভেম্বরে ১৪৮ ও সর্বশেষ ডিসেম্বরে রেকর্ড ৫৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএমপির এই পরিসংখ্যানই বলছে পুলিশ কতটা তৎপর হয়েছে। সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকছেন পুলিশ সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ, জনবহুল ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকায় ডিবি পুলিশ কাজ করছে। আবাসিক এলাকার অলিগলিতে টহলে থাকছে থানাপুলিশ।

এ প্রসঙ্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম নাজমুস সাকিব বলেন, ৫ আগস্টের বড় প্রভাব পুলিশের ওপরে পড়েছে। ভেঙে পড়া মনোবল ও চেইন অব কমান্ড এখনো শক্ত হয়নি। আর বড় সমস্যা পুলিশের গণহারে ঘন ঘন পোস্টিং। এতে করে সোর্সনির্ভর পুলিশিংয়ে বড় সমস্যা হয়। তিনি বলেন, মামলা-মোকদ্দমার হয়রানির ভয় থেকে ভুক্তভোগী অনেকেই পুলিশ কেস বা মামলায় জড়াতে চান না। ফলে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে জামিন পেয়ে আবারও ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়ছে ছিনতাইকারীরা। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ছিনতাইকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। আবার গ্রেপ্তার হলেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীতে ছিনতাই রোধে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেষ রাতে সাধারণত ছিনতাই হয়, সেজন্য শেষ রাতে যেন টহলটা বাড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ছিনতাইপ্রবণ এলাকা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসে পেট্রোলগুলোর লোকেশন নেওয়া হচ্ছে এবং তারা সজাগ আছে কি না সেটিও তদারকি করা হচ্ছে।