বোরো আবাদের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ এএম
দেশে পুরো দমে চলছে রোরো আবাদ। হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোরে কৃষক জমি তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তবে এরই মধ্যে দেশের প্রায় সর্বত্রই সারের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। সঙ্কটে র অজুহাতে বাড়ানো হয়েছে সারের দাম। এতে কৃষকের বাড়তি খরচ যোগান দিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। আমদানীকারকের সিন্ডিকেটের কারণে সারের এই কৃত্তিম সংকট বলে দাবি করছেন ডিলার ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানীকারকের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিলারদের সার সরবরহ করতে গড়িমসি করছে। এতে করে ডিলারদের সার পেতে কখোনো কখোনো ১৫ থেকে ২৫ দিন সময় বেশি লাগছে। ফলে তৃণমূলে সার সরবরাহে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে সারের কৃত্তিম সংকট। আর এতে বাজারে সারের দামও বেড়ে যাচ্ছে।
কয়েক জেলার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত দামে ইউরিয়া সার ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা থাকলেও ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নন-ইউরিয়ার মধ্যে টিএসপি সার মিলছে না। মিললেও দাম নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি। তারা বলছেন, গত বছর এপ্রিলে একদফা সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এরপর এখন সেই দামেও সার না পাওয়ায় প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ বাড়ছে বোরোসহ বিভিন্ন রবিশস্য উৎপাদনে।
তবে সরকার বলছে এখন মজুত কম হলেও সার আমদানি প্রক্রিয়া চলমান। আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই। ক্রমাগত সার আসবে। সারের কোনো সংকট হবে না। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তি ও উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরাত থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনছে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও ৩০ হাজার টন ফসফেট সার রয়েছে। এসব সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ৩৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। গতমাসে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক ৩ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সারের মজুতের তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, চলতি মৌসুমে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সারের যে চাহিদা, সে পরিমাণ সার নেই। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নন-ইউরিয়া হিসেবে পরিচিত টিএসপি সারের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত (চার মাস) চাহিদা তিন লাখ ৬১ হাজার টন, যেখানে মজুত আছে এক লাখ দুই হাজার টন। চাহিদার সাত লাখ ৪৪ হাজার টন ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের বিপরীতে মজুত এক লাখ ৩৯ হাজার টন এবং চার লাখ ১৩ হাজার টন এমওপির বিপরীতে মজুত দুই লাখ ২৯ হাজার টন। সারের এই ঘাটতিকে পুঁজি করে আমদানিকারক সিন্ডিকেট বাজারে সারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের কারণে নওয়াপাড়া বাজারের সার ব্যবসায়ীরা এবং সারাদেশের সারের ডিলারা মারাত্মকভাবে ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্ত এবং খুবই দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে। আর তার একটিমাত্র কারণ হচ্ছে, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট বর্তমান সময়েও বহলতবিয়াতে চলমান রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া গ্রুপ। তারা বিভিন্ন নামে সরকারের ভর্তুকির সার আমদানী করে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি করে তার মধ্যে অন্যমত সাইফুল্লাহ পাকোয়া, সাইফুল্লাহ গাল্ফ, ফায়াজ ট্রেডিং, দীপা এন্টার প্রাইজ, সুফলা ট্রেডিং কর্পোরেশন। এসব নামে সরকারি সারগুলো বরাদ্দ হয়ে থাকে। আর এই সারাগুলো দেশের বৃহত্তম মোকাম নওয়াপাড়া বন্দর থেকে ডিলাররা উত্তোলন করে তাদের মোকামে নিয়ে যায়। এতে করে তাদের খরচ ও সময় কম লাগে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রেডার্স বর্তমানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিলারদের সার সরবরহ করতে গড়িমসি করছে। এতে করে ডিলারদের সার পেতে কখোনো কখোনো ১৫ থেকে ২৫ দিন সময় বেশি লাগছে। উক্ত আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ডিলারদের কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে সার সরবরহ করছেনা। তারা বলছে, সার নিতে হলে ডিলারকে অবশ্যই নওয়াপাড়ায় এসে কাগজপত্র দিয়ে মাল তুলে নিয়ে যেতে হবে। এতে করে ডিলাররা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষি অফিসার ডিলারকে দ্রুত মাল উত্তোলনের জন্য চাপ দিচ্ছে এতে করে ডিলাররা খুব চাপে থাকছে।
এদিকে, ডিলারদের মাল উত্তলনে দেরি হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে হয়রানির নতুন নাটক সাজিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে উক্ত আমদানীকারক প্রতিণ্ঠান। তারা ১২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করে দিয়েছে তাদেরকে প্রতিনিধি ও ট্রান্সপোর্ট করার জন্য। শুধু এই ১২ জন মাল উত্তোলন করতে পারবে। এই প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- মেসার্স এ এম ট্রেডার্স, মেসার্স মান্নান এন্ড ব্রাদার্স, মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বি কে ট্রেডার্স, মেসার্স জামান ব্রাদার্স, মেসার্স রাশেদ ট্রেডিং, মেসার্স নওগাঁ ট্রেনিং, মেসার্স বান্ধব ট্রেডার্স, মেসার্স নেওয়াজ ট্রেডার্স, মেসার্স দিশা ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স রহমাহ ট্রান্সপোর্ট, মেসার্স মাহিন এন্টারপ্রাইজ। এতে করে বাকি সব ব্যবসায়িকরা পড়েছে বিপাকে। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান যাদের নিয়োগ দিয়েছে তারা সবাই তাদের আত্মীয়-স্বজন। মূলত সরকারি (জি টু জি) ও বেসরকারি দুই ভাবেই সার আমদানীকরেন নওয়াপাড়া ট্রেডার্স। আর সে কারনেই একছত্র আধিপত্তের মাধ্যমে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
নওয়াপাড়া মোকামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াপাড়া টেডার্স একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। এমনটি চলতে থাকলে দেশের বৃহত্তম এই মোকামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়বে অস্তিত্ব সংকটে। এছাড়া এতো হয়রানির মধ্যে ডিলাররাও সার উত্তলনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। ডিলার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আরো বলছেন, নওয়াপাড়ায় আরো আমদানীকারক রয়েছে তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া সার উত্তলন করা যাচ্ছে। শুধু মাত্র নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের কাছ থেকে ভর্তুকির সরকারি সার উত্তলনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, নোয়াপাড়া গ্রুপ জিটুজি ভিত্তিতে আমদানীকৃত সকল প্রকার সারের শিপিং এবং পরিবহন কাজ পরিচালনা করে চলছে। যার কারণে সকল সার ডিলাররা নোয়াপাড়া গ্রুপের কাছে জিম্মি থাকে। এই গ্রুপ নিজেদের মত সারের সঙ্কট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর সদর উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ডিলার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ভর্তুকির মাল তুলতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই অসুবিধার শুধুমাত্র আমদানি করার প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া ট্রেডার্স এর বরাদ্দকৃত মাল উত্তোলনের ক্ষেত্রে। ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিলারদের কে মানুষই মনে করে না। ইতিপূর্বে প্রতিনিধির মাধ্যমে কাগজ পাঠালে মাল উত্তোলন করা যেত। এখন আর সেটি করা যাচ্ছে না। এখন মাল তুলতে হলে ডিলারের নিজস্ব প্রতিনিধি নওয়াপাড়া মোকামে যেয়ে মাল তুলতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন নওয়াপাড়ায় অপেক্ষা করতে হয়, নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ওই ডিলার জানান, ডিসেম্বর মাসের মাল উত্তোলনের জন্য ১২ ডিসেম্বর টাকা পাঠিয়েছি। সেই মাল পেয়েছি জানুয়ারির ২ তারিখে। এমনকি তারা নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমে মাল নিতে বাধ্য করছে। অন্য কোন আমদানিকারকের ক্ষেত্রে এমন বাধার সম্মুখীন হতে হয় না।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) রাজশাহী, নাটোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ডিলারা সারের সঙ্কটের বিষয়ে জানান, সরকারি ভর্তুকির সার আমদানিকারকের মাধ্যমে নিজস্ব মোকামে নিয়ে আসি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সত্যায়িত কাগজ দিয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের অন্যতম বৃহত্তম মোকাম নওয়াপাড়া থেকে আমরা এই ভর্তুকির মাল উত্তোলন করে থাকি। তবে আমদানি করা প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া ট্রেডার্স এর নিজস্ব সিন্ডিকেটের কারণে মাল পেতে মাস পেরিয়ে যায়। টাকা জমা দেওয়ার ১৫-২০ দিন পরে মাল হাতে পৌঁছায়। অথচ প্রতিনিধির মাধ্যমে দুই-তিন দিনের মধ্যে ইতিপূর্বে মাল উত্তোলন করেছি। ডিসেম্বর মাসের বরাদ্দের সার উত্তরণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর টাকা পরিষোধ করলেও সেই মাল পেয়েছি ১ জানুয়ারি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের কারণে ডিলারদের মাল পেতে দেরি হচ্ছে এই ধরনের অভিযোগ এর আগে কখনো পাই নাই। তবে লিখিত অভিযোগ অথবা মৌখিকভাবেও যদি এমনটি পই তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সারের কৃত্তিম সংকটের বিষয়ে দেশের বৃহত্তর সার আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রোডার্সে‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: ফাইজুর রহমান বকুল বলেছেন, আমি দেশের বাইরে আছি। হাসপাতালে আছি। এখন কিছু বলতে পারবোনা। যা বলার রিয়াজ সাহেব (বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের নির্বহী সচিব) বলবে।
ডিলারদের হয়রানি ও আমদানীকারকদের সিন্ডিকেটের বিষয়ে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের নির্বহী সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারের যে বিপনন পদ্ধতি তাতে বলা আছে যে কোনো জেলা থেকে ডিলার অথবা ডিলারের প্রতিনিধি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারি আসবে সার নেয়ার জন্য। এর আগে যে প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপোর্ট কোরতো তাকেই নির্ধারণ করতো সার উত্তোলনের জন্য। মূল বিষয় হলো আরো বেশি আস্থাশীল ও ট্রান্সপারেন্ট হওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমদানীকাররা যদি কোনো ট্রান্সপোর্টকে নির্ধারণ করে দেন এটা অন্যায়, এটা করার কোনো সুযোগ নেই। ডিলার যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট করাতে পারবে এতে কোনো অসুবিধা নেই। যথাযথ ভাবে টাকা জমা দেয়ার দুই দিনের মধ্যে ডিলাররা মাল পেতে বাধ্য।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত লড়াই
টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবছেন কিয়ার স্টারমার
আগুনে পুড়ল ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ, চলছে লুটপাট
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল, প্রবল বাতাসে পরিস্থিতি ভয়াবহ
কাতারের আমিরের উদ্দেশে ফেসবুকে যা লিখলেন তারেক রহমান
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি, মানবিক বিপর্যয় অব্যাহত
নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
শেখ হাসিনার সাথে হত্যা মামলায় জড়িত পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল আটক
বেরোবিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদি চিত্রায়ন অনুষ্ঠানে চেয়ার ভাঙচুর-মারামারি, অনুষ্ঠান স্থগিত
কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর টিপু কক্সবাজারে খুন
লক্ষ্মীপুরে বিদেশি পিস্তলসহ গৃহবধূ আটক
ফটিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা!
৭ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
ম্যাচের আগে হঠাৎ বরখাস্ত এভারটন কোচ
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই