‘অল ওয়েদার সড়ক’ এখন গলার কাঁটা
২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম এই সড়কটি প্রকৃতিকে বিনাশ করেছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এসব অঞ্চলের বৃষ্টির পানি আগে দ্রুত নেমে যেত এই হাওর দিয়ে। এখন হাওরের প্রতিবন্ধকতার কারণে পানিবদ্ধতা, বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এভাবে প্রকৃতিকে হত্যা করে উন্নয়নের নামে মস্করা করার নজির নেই। হাওর বা প্রকৃতিকে তার নিজেরে মতো করে থাকতে দিতে হয়; এখনই সময় এসব প্রকৃতিবিরোধী উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা। কিশোরগঞ্জবাসীও কোন দিন চায়নি প্রকৃতিবিরোধী হাওর বিনাশ করে এমন প্রহসন। অথচ কিশোরগঞ্জ এমনই একটি জেলা থেকে রাত ৮টার পর কোনো জরুরি প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার কথা কল্পনাও করা যায় না; কিন্তু কিশোরগঞ্জবাসীর মনের আশা ছিল এখনও আছে। দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা কিশোরগঞ্জের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে পরিবহন যোগাযোগ থাকবে। যা এখনও কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য স্বপ্ন। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই ভঙ্গুর যে অন্য জেলার মানুষ না দেখলে বিশ^াসই করতে চাইবে না। অথচ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ছড়ানো হাওর ধ্বংস করে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ফস্টিনষ্টি সড়ক। যা কেবলমাত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণে প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য বেষ্টিত হাওরের বুকের উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ‘অল ওয়েদার সড়ক।’ অথচ কিশোরগঞ্জ শহরের বুকের উপর দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদীটি কখনো সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের নজরে আসেনি।
আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত ও পরিবারের ইচ্ছা পূরণ করতে এই সড়ক নির্মাণে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তবে, প্রকল্পটির পরিবেশগত প্রভাব ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এখনও জনমনে প্রশ্নœ রয়েছে। বিভিন্ন মহল বলছেন; পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আবদুল হামিদের এই বিলাস সড়কটি দিয়ে অল্পকিছু মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করে না। নেই সরকারের কোন রাজস্ব আয়।
প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি আর কিছু আমলার অতি উৎসাহে এ প্রকল্প দেশের অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর বড় ধরনের আঘাত করেছে। বাংলাদেশের জন্য এমন আত্মঘাতী প্রকল্প বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। হাওর হচ্ছে দেশের হৃৎপিন্ড। অথচ একটি পরিবারের খায়েশ পূরণে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন ব্যক্তি তার প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের হৃৎপিন্ড হাওরকে ধ্বংস করে গেছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা অপচয় ও পরিবেশবিদদের সব আপত্তি ও উদ্বেগকে উপেক্ষা করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের স্বেচ্ছাচারিতায় নির্মিত এই ‘অল ওয়েদার সড়ক’ হাওরের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে করেছে বিপন্ন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে এই সড়ক নির্মাণ করেন। যা আজ কিশোরগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা। শুধু কিশোরগঞ্জবাসী কেন আজকের অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এটিকে এখন গলার কাঁটা হিসেবে দেখছেন।
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামকে যুক্ত করেছে এই সড়ক। প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পালনে ১লা বৈশাখে সৌন্দর্যের নামে আলপনা এঁকে দ্বিতীয় দফায় পরিবেশের ক্ষতি করা হয়েছে। রঙের রাসায়নিক পদার্থ বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে গিয়ে মিশেছে হাওরের পানিতে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে হাওরের মৎস্য সম্পদ ও জলজ উদ্ভিদের।
আবদুল হামিদের ইচ্ছা পূরণ করতে আত্মঘাতী প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরের ব্যাপক ক্ষতির পর কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণে পাঁচ হাজার ৬৫১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে যায় হাসিনার সরকার। প্রকল্পটি সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য লাভজনক হবে দেখিয়ে এ সড়কের সমীক্ষা চালাতেও সেতু বিভাগ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অলওয়েদার সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার চার বছর পরও অল্প কিছু মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো যান চলাচল করে না। চব্বিশের ৫ আগস্ট হাসিনার দেশ পলায়নের আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যরা গাড়ির বহর নিয়ে এ সড়ক ব্যবহার করে এলাকায় যেতেন। এছাড়া এখনও তেমন কোনো মোটরগাড়ি চলতে দেখা যায় না। এই বৈশাখে সড়কের উপর ধান শুকাচ্ছে হাওরের কৃষকরা।
আবদুল হামিদ ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়েন। এর ঠিক তিন মাস পূর্বে ১৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ২০২৪ সনের ২১ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের হাওরের ইটনা উপজেলা এলাকা পরিদর্শন শেষে ইটনা উপজেলা পরিষদে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিতান্তই এক পরিবারের বিলাস ভ্রমণের চিন্তা মাথায় রেখে জাতীয় স্বার্থবিরোধী পাঁচ হাজার কোটি টাকার দ্বিতীয় প্রকল্পটি আর না চালানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। এসব প্রকল্প বিগত সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
সড়কটি নির্মাণের পর সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা প্রতি বছর আগাম বন্যায় ডুবে যাচ্ছে। পরিবেশবিদরা জীববৈচিত্র্যের বিপন্নতা, মাছের উৎপাদন কমে যাওয়া ও জলজ উদ্ভিদের ক্ষতির জন্য সড়কটি দায়ী বলে মনে করছেন। তারা বলেন, জলাভূমির স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ব্যাহত হয়েছে যার ফলে কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল ইনকিলাবকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের হাওরের ‘অল-ওয়েদার সড়ক’ নির্মাণের ফলে কিছু পরিবেশগত (অর্থনৈতিক) অসুবিধা তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো হাওরের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে, বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে। মাছের প্রজনন ও চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। জলাভূমির স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জীববৈচিত্র্যর ওপর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে হাওরের বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হতে পারে। পরিযায়ী পাখিদের অভ্যাসগত স্থান সংকুচিত হতে পারে। স্থানীয় মাছের প্রজাতি হ্রাস পেতে পারে, কারণ পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ পরিবর্তিত হবে। ভূমি ও মাটির পরিবর্তন, সড়ক নির্মাণের ফলে পলি জমার ধরণ পরিবর্তিত হতে পারে। হাওরের স্বাভাবিক জলধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে, যা বন্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কৃষি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতিসহ বর্ষায় হাওরের পানির স্তর পরিবর্তিত হলে ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন প্রভাবিত হতে পারে। মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, কারণ মাছের প্রজনন ও স্বাধীন ভাবে চলাচল ব্যাহত হবে। কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ নতুন সড়কের কারণে যানবাহনের চলাচল বাড়বে, যা কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি করবে। জলাভূমি সংকুচিত হলে প্রাকৃতিক কার্বন স্টোরেজ কমতে পারে, যা জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সর্বোপরি মানবিক ও সামাজিক প্রভাবের কারণে স্থানীয় মানুষদের জীবন ও জীবিকা ধরন বদলাতে পারে, বিশেষ করে যারা মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। পর্যটন বাড়লে হাওরের পরিবেশের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। এই সমস্যাগুলো নিরসনে পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, যাতে হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে।’
আবদুল হামিদের উপর ভর করে গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ডানহাত নামে সবার কাছে পরিচিত। আর সারাদেশবাসী তাকে চিনে ‘ভাতের হোটেলের হারুন’ হিসেবে। ২০১১ সালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুককে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মারধর করে পতিত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হৃদয়ে স্থান করে নেন পুলিশের বহু বিতর্কিত পুলিশের এ কর্মকর্তা।
হাওরে আবদুল হামিদ সড়ক তৈরির পর মিঠামইনের হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একর জমিতে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’। এলাকাবাসীর দাবি, এ রিসোর্টে বিপুল অর্থের বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ পরিবারের। হারুনের রিসোর্ট এলাকার মাঝে রয়েছে বিশাল আয়তনের একটি দিঘী। এর মাঝখানে হেলিপ্যাড। বিগত সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী, সচিব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রিসোর্টটিতে বেড়াতে এসেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, ডিবির হারুন এ রিসোর্ট তৈরি করতে গিয়ে কিছু জমি খরিদ করলেও বেশিরভাগ জমিই পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক দখল করেছেন। কয়েকজনের কাছ থেকে বায়না করে পুরো টাকা না দিয়েই সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কথা বলে জমি দলিল করে নিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, হাওর এলাকায় হারূনের পরিবারের অল্প পরিমাণ জমি ছিল। তার পিতা আব্দুল হাশেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার ও হাওরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ছাত্রলীগের নেতা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে পুলিশে চাকরি বাগিয়ে নেন হারুন। হারুনের বাবার মুক্তিযুদ্ধে অংশ কোন প্রমাণ নেই। তবে তার এক দাদা (বাবার চাচা) ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লাকে রাজাকার হিসেবে জানেন এলাকাবাসী।
এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে ইনকিলাবের কথা হলে তারা জানায়; আগে ধানে তেমন একটা বেশি চিটা হতো না; কিন্তু এ বাঁধ নির্মাণের পর থেকে ধানের চিটা বেশি হচ্ছে। বাধেঁর কারণে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি ধানক্ষেতগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকার কারণে ধানের শীষে চিটা ধরে যাচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার ব্যক্তিগত শখ পুরণ করতে গিয়ে আমাদের কিশোরগঞ্জের হাওর ও রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করেছে; হাওরের উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণের ফলে গোটা হাওর অঞ্চলের প্রাণবৈচিত্র্য বিপন্ন হয়েছে। আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস দুটো যার একটি হলো বোরো উৎপাদন ও বর্ষায় মাছ। যা থেকে আমরা নিজেদের চাহিদা পুরণ করে সারা দেশের চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। শুধুমাত্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়ের জোরে আমাদের হারওরবাসীর ব্যাপক ক্ষতি করে গেল।
গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার ‘সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯: হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হাওরে অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাওরে ‘অল ওয়েদার’ সড়ক নির্মাণ করাটা ছিল অন্যায়। এটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরো বলেন, ‘মিঠামইনে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, সেটাকে বলা হচ্ছে অল ওয়েদার সড়ক। কারণটা কী? পরে জানলাম, সব ঋতুতে এই সড়ক সহনশীল। অথচ এই রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে ওই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করে সড়কটা করা অন্যায় হয়েছে। আমি মনে করি, এই সড়ক নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার হওয়া দরকার।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল ইনকিলাবকে বলেন, ‘হাওরের অলওয়েদার সড়কটি রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ মহল একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ায় আমারা আদেশপ্রাপ্ত হয়ে কাজটি করে দিয়েছি মাত্র। এ সড়ক থেকে কোনো সরকারি রাজস্ব আয় নেই, যদি টোল বক্স বসানো যায় তবে হয়তো সরকারি রাজস্ব পাওয়া যেতে পারে। উপদেষ্টা আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাওরের অলওয়েদার সড়কটির পরিবেশগত নানা দিক নিয়ে নতুন করে একটি স্টাডি (পর্যবেক্ষণ) করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কিশোরগঞ্জের অলওয়েদার সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে মনিকো লিমিটেড, স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, স্পেকট্রা এমবিএল লিমিটেড ও স্পেকট্রা আরবিএল লিমিটেড।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

এনগিডিকে নিয়েই ফাইনালের দ. আফ্রিকা দল

মিরাজের লক্ষ্য শীর্ষস্থান

একা একা ফরজ নামাজ পড়ার পর সামনে জামাত পাওয়া প্রসঙ্গে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলে নিহত, মা আহত

মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আটক

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শুচিতার পদত্যাগে আমরন অনশনে শিক্ষার্থীরা- মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার আজিম সিকদার গ্রেফতার

ছাগলনাইয়ায় মাকে কুপিয়ে জখম, ছেলেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা

নোয়াখালীতে মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

মঙ্গলের মাটির তলায় তরল পানির সন্ধান

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে পতিত সরকারের করা চুক্তি স্থগিত করুন : পীর সাহেব চরমোনাই

শুল্ক যুদ্ধ থেকে কেন ‘পিছু হটলেন’ ট্রাম্প?

মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বড়বাবুর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

পুলিশ কিলার ফোর্স নয়, বড়জোর শটগান থাকতে পারে : আইজিপি

পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ যশোরের এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত করতে হবে -এ্যাডঃ আসলাম মিয়া

আশুলিয়ায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ

বাংলাবাজারে দোকানে আগুন