বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনে সক্ষম হয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪৮ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ (সোমবার) সকালে আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করে। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধভাবে সরকার গ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে সম্মুক ধারণা ছিল কি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফা সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। এক দিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন সকলের নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্বপালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালছি। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ভূমিহীন মানুষদের আমরা বিনামূল্যে ২ কাঠা জমি ও ঘর তৈরি করে জীবন জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছি। নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের জীবন যেন উন্নত সমৃদ্ধশালী হয়, প্রত্যেকের সন্তান লেখাপড়া শিখবে, আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি শিখবে, তারা নিজেরা উপার্জন করবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। আমাদের জনগোষ্ঠীকে স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হামলার পর ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনার ভিডিও প্রকাশ ইরানের
আকার এবং স্থান বিবেচনায় ইসরাইলের আক্রমণ খুবই নগণ্য
যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : প্রধানমন্ত্রী
ইরানে ইসরায়েলি হামলা, লাফিয়ে বাড়ল তেল ও স্বর্ণের দাম
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর উড়িয়ে দিল ইরান
তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ শ্রীপুরে
ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া
কলাপাড়ায় এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ছাত্রলীগ নেতার পর এবার একই নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল
চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে পালাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ৪জন আহত
লাল গালিচা, ডুবুরি আর একলা সন্ন্যাসী - ভারতের নির্বাচনের ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১১ বিজিপি সদস্য
ঝটিকা সফরে বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রিটেন নয়, এখন আমেরিকাই প্রিন্স হ্যারির ‘বাড়ি’! নথি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান নিহত
তারাকান্দায় আঞ্চলিক সড়কগুলো যখন মৃত্যুফাঁদ
বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে বার্লিনের ব্যালে কোম্পানি
চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক অংশিদারিত্বের ভাল দৃষ্টান্ত: ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট
চাঁদপুরে ব্যবস্থাপক নিখোঁজের ঘটনায় পূবালী ব্যাংকের আট কর্মকর্তা বদলি