পাকিস্তান সরকার নির্বাচনে হারের ‘আতঙ্কে রয়েছে’: ইমরান খান
০৯ মার্চ ২০২৩, ১১:৩০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, পাকিস্তান সরকার তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পথ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। গত মঙ্গলবার লাহোরে ইমরান খানের একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় পুলিশের অভিযানে তার কয়েক ডজন সমর্থককে গ্রেফতার ও আহত হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনসমাবেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার জন্য পুলিশ তার সমর্থকদের উপর টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করার পরে, পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী শহরটিতে ইমরান খান তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর একটি সমাবেশ বন্ধ করে দেন। মঙ্গলবার তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘সরকার এবং তার সমর্থকরা নির্বাচন নিয়ে ভীত কারণ গত আট মাসে এখন পর্যন্ত ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে আমার দল ৩০টিতে জয়লাভ করেছে।’ ‘তারা আমাকে গ্রেফতার করতে চায় বা অযোগ্য ঘোষণা করতে চায় কারণ তারা ভয় পায় যে আমার দল পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয়,’ তিনি লাহোরে তার বাসভবন থেকে বলেছিলেন।
পিটিআই-এর ৩০ এপ্রিল নির্ধারিত প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রচার শুরু করার জন্য একটি সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ‘কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে’ শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে অনুষ্ঠানটি নিষিদ্ধ করেছিল বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে। ‘পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ করে অনুমতি কেড়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশের ভারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিতে আসা লোকজনকে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং জলকামান দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল,’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন।
ইমরান খান দাবি করেছেন যে, তার দলীয় সমর্থক আলী বিলালকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে। আল জাজিরা দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি এবং পুলিশ এখনও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ গুল বিরোধী সমর্থকদের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নকে ‘অপ্রয়োজনীয় এবং নৃশংস’ বলে অভিহিত করেছেন।
পিটিআই কর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেয়ার জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ইসলামাবাদ থেকে গুল বলেন, ‘এমন সব ইঙ্গিত রয়েছে যে ফেডারেল সরকার পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।’ পাঞ্জাবের পাশাপাশি প্রতিবেশী খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ৩০ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রদেশ দুইটিতে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই বসবাস করে। দুটি প্রদেশেই ইমরান খানের দল পিটিআই ক্ষমতায় ছিল। তবে অক্টোবরে নির্ধারিত পাকিস্তানের আগাম জাতীয় নির্বাচন জোরদার করার জন্য ইমরান খান দুই প্রদেশেই সরকার ভেঙে দেন। সূত্র : আল-জাজিরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জিতেও ইউরোপা লীগ থেকে বিদায় লিভারপুলের
আমিরের ফেরার ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত
নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল
অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারতের সহায়তা নিয়েই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করেছে : রহুল কবির রিজভী
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
ভারতে আজ থেকে ৭ দফার লোকসভা নির্বাচন
বাংলাদেশ-আমিরাত কুটনৈতিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত -স্বাধীনতা বার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল
শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন
রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, খোলা তেল কমেছে ২ টাকা
বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় : ওবায়দুল কাদের
ফরিদপুরে মাত্র ১ হাজার টাকার লোভে ভ্যানচালক খুন?
বান্দরবানে আটক ৫৩ জন কেএনএফ সদস্যদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পিএসসি’র সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
রাজশাহীতে সাবেক প্রেমিকার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে অশ্লীল ছবি প্রকাশের দায়ে কলেজ ছাত্রের কারাদন্ড
এবার ডিপফেকের শিকার আমির খান, ভিডিও ভাইরাল
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
ময়মনসিংহে দুইদিনে চার খুন, জনমনে চাঞ্চল্য