উত্তাল ক্যাম্পাস শান্ত, রাবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বহিরাগত নিষিদ্ধ ও ক্লাস-পরীক্ষা চালু

Daily Inqilab রাবি সংবাদদাতা

১৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৩ এএম

স্থানীয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস শান্ত হয়েছে ঘটনার তৃতীয় দিন সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে।
এদিন সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা খুব একটা লক্ষ করা যায়নি। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের রাখা গাছের গুঁড়ি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে ছোট যানবাহনগুলো চলাচল শুরু করেছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়া স্থগিত হওয়া ক্লাস-পরীক্ষা মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক গতিতে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুর ১টায় এক প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভিসি বলেন, মঙ্গলবার থেকে ক্লাস পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে। সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুইদিন ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছিলাম। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে সকল বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড সাথে নিয়ে থাকার জন্য বলা গেল।
তিনি আরো বলেন, বাস কন্ডাক্টারের সাথে শিক্ষার্থীদের যে ঝামেলা বেঁধেছিলো তাতে স্থানীয়রা না জড়ালে এমন সংঘর্ষ সংগঠিত হতো না। কিন্তু কতিপয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে জড়িয়ে পড়ায় এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেল। এ ঘটনায় আমার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারও উন্নত চিকিৎসা লাগলে আমরা তার ব্যবস্থা করবো। তাদের সকল চিকিৎসা ভার আমরা বহন করছি।
ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের মানিব্যাগ, সেলফোন থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। শুধু সাংবাদিক কেন, ক্যাম্পাসে যেকোনো ব্যক্তির ওপর হামলা আমাদের কাম্য নয়।
মূল ঘটনার সূত্রপাত ও আমার শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দুইজন সদস্য বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত পরবর্তীতে আমরা বিষদভাবে আপনাদের জানাতে পারবো।


বিভাগ : জাতীয়


আরও পড়ুন