কমছে সরকারি ব্যয়, কমবে ভর্তুকি
১৪ মার্চ ২০২৩, ১১:১০ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহসা কমছে না। এ আশঙ্কা করছে সরকার। এ কারণে আরও কৃচ্ছ্রতার পথে হাঁটবে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি ব্যয় কমাতে নতুন করে র্নিদেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় স্পষ্ট বলেছে, নতুন করে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি কেনা যাবে না। শুধু গাড়ি নয়, এমন কি জলযান, আকাশযান কেনা যাবে না। একই সঙ্গে সেসব প্রকল্প বিশেষ কোনো গুরত্বপূর্ণ নয় সেগুলোর অর্থ ছাড় আপাত স্থগিত থাকবে।
এদিকে আগামী বাজেটে ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের জন্য আগামীতে আর ভর্তুকি দেওয়া হবে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর জন্য আগামীতে আরও কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে আপ্যায়ন ব্যয় থেকে শুরু করে ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরতে বলা হয়েছে। আগামী নতুন অর্থবছরেও এসব খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। বিদ্যুৎ খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা রয়েছে তার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। এমনকি পেট্রোল-গ্যাসের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ রয়েছে তার ৮০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না।
আগামী অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ কমে আসবে বলে আভাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আকার ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে রাখা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ভর্তুকি খাতে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা রাখার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখন কমে আসবে। ভর্তুকি কমানোর ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকতা জানান, আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি দল সফরকালে ভর্তুকির বিষয়টি বেশ গুরত্ব পায়। আর সেই প্রতিশ্রুতি পালনে সরকার ভর্তুকি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ভর্তুকি কমানোর জন্য সরকারের সামনে যেসব খাত রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
ভর্তুকি কমানোর জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, যেসব শর্তে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে তার মধ্যে ভর্তুকি কমানোর বিষয়টি গুরত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে।
জানা গেছে, সরকার আগামী জুন মাসের আগেই আরও এক বা দুই দফা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ প্রণোদনা ও ঋণ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বছর শেষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে এর পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে।
চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতে, যার পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বরাদ্দ এ খাতে ভর্তুকি ছিল ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এলএনজি খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য খাতে ভর্তুকি রয়েছে ৫ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ভর্তুকি রয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। টিসিবি ও অন্যান্য খাতে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। নগদ ঋণ খাতে এবার ভর্তুকি রয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।
প্রতি বছরই ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ ছিল ৪৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে ছিল ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু আগামী অর্থবছর এর পরিমাণ কমবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক