রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমির উদ্দিন সরকারের ২৭ লাখ টাকা জমা
১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম

আদালতের নির্দেশে সাবেক স্পিকার ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দিয়েছেন।
চালানের মাধ্যমে সানালী ব্যাংকের সুপ্রীম কোর্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার এ টাকা জমা দেওয়া হয়। গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় তাকে রাষ্ট্রীয় খাতে টাকা জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
মঙ্গলবার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন,‘প্রথমে জরিমানা খাদে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে অন্যান্য আদায় খাত করা হয়েছে। আমরা আজ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যান্য আদায় খাদে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দিয়েছি।’
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়। এ টাকা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।
এরআগে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারি পরিচালক এস এম খবীর উদ্দিন বাদি হয়ে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করেন।
এসব মামলায় অন্য তিন আসামি হলেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
মামলায় জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন সময়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।
এরপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন।
পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গঠিত একক বেঞ্চ। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

হান্নান মাসউদের পথসভায় বিএনপির হামলার অভিযোগ

চৌদ্দগ্রাম বিএনপিকে শান্ত ও সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান ড. নয়ন বাংগালির

ইমনের সেঞ্চুরিতে শীর্ষস্থান অটুট আবাহনীর

সাব্বির-শুক্কুরের জোড়া শতকে ম্লান ইমরুলের সেঞ্চুরি

চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

নতুন প্রজন্মের এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম মেটাল ডিজাইনের স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স

৮ মাস হলেও জুলাই গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই

প্রাক্-বাজেট আলোচনা করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ ই আর এফের

গাজীপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ক্লাবের ইফতার অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচাদের দোসরদের কোনো চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন

যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি

সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ তৈরীতে যুবদলের কর্মীরা একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করবে : জিএস সুমন

অনির্বাচিত সরকার বেশী দিন ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয় --আফরোজা খান রিতা

বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্ত নিয়ে বিভ্রান্তির আশঙ্কা ব্রিটিশ এমপিদের

৯ এপ্রিল থেকে ভিসা ফি বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

ফের রদবদল পুলিশে, দুই ডিআইজিসহ ১৯ কর্মকর্তা বদলি

আশুলিয়ায় ছাত্রদলের উদ্যোগে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১০ ফেরাউনকে একত্রে করলেও হাসিনার মতো জুলুমবাজ হবে না: হাসনাত

আমার অফিসই আপনাদের অফিস : ডিসি উত্তরা

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হলেন রেজাউল মাকছুদ জাহেদী