রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমির উদ্দিন সরকারের ২৭ লাখ টাকা জমা
১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম

আদালতের নির্দেশে সাবেক স্পিকার ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দিয়েছেন।
চালানের মাধ্যমে সানালী ব্যাংকের সুপ্রীম কোর্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার এ টাকা জমা দেওয়া হয়। গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় তাকে রাষ্ট্রীয় খাতে টাকা জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
মঙ্গলবার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন,‘প্রথমে জরিমানা খাদে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে অন্যান্য আদায় খাত করা হয়েছে। আমরা আজ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যান্য আদায় খাদে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দিয়েছি।’
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়। এ টাকা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।
এরআগে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারি পরিচালক এস এম খবীর উদ্দিন বাদি হয়ে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করেন।
এসব মামলায় অন্য তিন আসামি হলেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
মামলায় জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন সময়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।
এরপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন।
পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গঠিত একক বেঞ্চ। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।
বিভাগ : জাতীয়
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান

গিলগিট-বালতিস্তানকে গমের মূল্য যৌক্তিক করতে বলেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার

ঈদে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার

পাকিস্তানে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে টিটিপি: সেনাপ্রধান

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিকে নিয়ে এক টেবিলে মির্জা ফখরুলের ইফতার

যারা চট্টগ্রাম বন্দরকে একসময় কাউন্ট করতো না, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে এখন বিনিয়োগ করতে চায় : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চীনের আধুনিকায়ন বিশ্ব উন্নয়নে নতুন পথ দেখিয়েছে

গ্রাহকের দেওয়া টিপ দ্বিগুণ করে রাইডারকে দেবে ফুডপ্যান্ডা

ডলারের দাম বেড়েছে, রপ্তানিতে মিলবে ১০৫ টাকা

শিপার্স কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচকে গ্রেপ্তার করলো রাশিয়া

মারা গেলেন আত্মহত্যা চেষ্টা করা শেকৃবির সেই ছাত্রী

কাল খুলছে মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন

আমিরাতে রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হাতেনাতে ধরতে পারলে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাসের জেল

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি কুবি সাংবাদিক সমিতির

সাংবাদিক হয়রানি ও আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশের উদ্বেগ

মতলবে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

আল্লামা শিব্বীর আহমদের দাফন সম্পন্ন

ইসরাইলে দূতাবাস স্থাপন করেছে আজারবাইজান

কোটালীপাড়ায় অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে তিনতলা ভবন নির্মানের চেষ্টা