ভারত-রাশিয়া থেকে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে পারে ইন্দোনেশিয়া
১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৪১ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০৭ পিএম

চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার কাছে কমপক্ষে ২০ কোটি ডলার মূল্যের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করার জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন করার আশা করছে ভারত-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা সংস্থা ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মোস অ্যারোস্পেস হচ্ছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ, যারা ফিলিপাইনের কাছে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের উপক‚ল-ভিত্তিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বিক্রি করে গত বছর তাদের প্রথম বিদেশী চুক্তি সম্পন্ন করেছে। কোম্পানিটি ইন্দোনেশিয়ার সাথে দীর্ঘ আলোচনায় রয়েছে, তবে সম্ভাব্য চুক্তির আকার এবং টাইমলাইন সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ব্রাহ্মোস অ্যারোস্পেস সিইও অতুল ডি রানে বলেছেন যে, তারা এটি জাকার্তার সাথে ২০ থেকে ৩৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে যার অধীনে এটি উপক‚ল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং যার একটি সংস্করণ যুদ্ধজাহাজে স্থাপন করা যেতে পারে।
‘জাকার্তায় এখন আমাদের একটি দল আছে,’ রানে একটি সাক্ষাতকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী অত্যন্ত আগ্রহী।’ বুধবার ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রবোও সুবিয়ান্তোর একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
দক্ষিণ চীন সাগর এবং আশেপাশের কিছু এলাকায় চীনের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন অস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা জেনসের তথ্য অনুসারে। নতুন অস্ত্র অর্জনে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ ২০২১ সালে প্রায় ২৮ শতাংশের তুলনায় এবং ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯ শতাংশ হয়েছে, যেখানে ফিলিপাইন ২০২১ সালে ২৯ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪০ শতাংশ হয়েছে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গড় থেকে অনেক বেশি।
ব্রহ্মোস ১৯৯৮ সালে ভারতের রাষ্ট্র-চালিত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং রাশিয়ার এনপিও ম্যাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ হিসাবে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলি ব্রহ্মোসের উৎপাদন বা পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করেনি, বলেছেন রানে। যদিও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এখনও রাশিয়ার প্রযুক্তি এবং কাঁচামালের উপর নির্ভর করে, রানে বলেছিলেন যে, উদ্যোগের শুরুতে স্থানীয় ইনপুটের পরিমাণ ১৫ থেকে ৭০ শতাংশ হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশে কমবে প্রবৃদ্ধি, বাড়বে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে শীর্ষে সউদী

দাঁত ভাঙ্গা জবাব চীনের

সেনাবাহিনীতে আরও রোবট নিয়োগ করছে রাশিয়া

ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভ

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে টেকসই অর্থনীতির ধারণা উপস্থাপন জামায়াতের

বাংলাদেশে সউদী আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সউদী রাষ্ট্রদূত

ট্রাম্প ও ওবামার মধ্যে জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে?

জাতিসংঘ-ওআইসির নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এনপিপির

তানজির ফাহিম জুম্মার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিকিউরিটি গার্ড আহত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দায় লেজিসলেটিভ অ্যাসোসিয়েশন

পহেলা বৈশাখে ব্যাপক নিরাপত্তার পরিকল্পনা ডিএমপি কমিশনার

ডাকাতির পর হত্যা : ১০ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আশুলিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার মানববন্ধন

সড়কের মৃত্যুদূত মোটরসাইকেল

দায়ের করলেন ‘গোপন অভিযোগ’ দুদকে হঠাৎ হাসনাত-সারজিস

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি : সালাহ উদ্দিন আহমেদ

গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির আহ্বান ইউজিসির