সাভারে নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে চিরনিদ্রায় শায়িত জাফরুল্লাহ চৌধুরী
১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। হাজারো কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর অশ্রু জলে শেষ বিদায় নিলেন দেশের এই কিংবদন্তি। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইসএ মাঠে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পঞ্চম এবং শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর বিকেল ৩টায় নিজ হাতে গড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সূচনা ভবনের সামনে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজা ও দাফনে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফ্রিজিং ভ্যানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লাশ পৌঁছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে লাশ সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়। জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তার লাশের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিক চৌধুরী বলেন, আমার মরহুম বাবার সঙ্গে কারও কোনো লেনদেন যদি থেকে থাকে কিংবা কেউ কিছু পেয়ে থাকলে তারা যেন আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা মেডিকেল সায়েন্সের কল্যাণে দেহ দান করে যেতে চেয়েছিলেন। আমরা বাবার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলাম। আমরা প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তারা বাবাকে অনেক শ্রদ্ধা করেন। তারা বলেছেন আমার বাবার শরীরে কেউ ছুরি চালাতে পারবে না। শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তারা বলেছেন। এমন সময়ও আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়েছি। এর আগে ধানমন্ডির বাসভবনে প্রথম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দ্বিতীয়, শহীদ মিনারে তৃতীয় ও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জানা গেছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অসদাচরণের দায়ে নিষিদ্ধ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড
কমলনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে রাজধানীতে শিশুসহ দগ্ধ ৫
রাঙামাটির লংগদুতে জলপাই চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
রাজবাড়ীতে জাতীয় পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে র্যালি-শোভাযাত্রা
চিকিৎসক নার্স ও সহায়ক জনবলের অভাবে ব্যাহত চিকিৎসা সেবা
২০২৫ সাল হবে হাসিনা ও আ.লীগ নেতাদের অপরাধের বিচারের বছর: চিফ প্রসিকিউটর
বগুড়ায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্র দলের বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল, সমাবেশ ও রক্তদান কর্মসূচি
লালমোহন পৌরসভার সার্ভিস এসোসিয়েশনের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতি
মতলবে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
নানা আয়োজনে দুমকীতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু
২০২৪ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বছর : উপদেষ্টা আসিফ
আশুলিয়ার বিভিন্ন স্কুলে নতুন বই পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা
ইবিতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : শিক্ষা উপদেষ্টা
মঞ্চে আসছে নবরসের নতুন নাটক ‘সাতকাহন’