দুপুরে বঙ্গভবন ছাড়বেন আবদুল হামিদ
২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ পিএম
বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের শেষ কার্যদিবস ছিল রোববার। তিনি আজ সকালে বঙ্গভবনে এক শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে দুই মেয়াদে দেশের সর্বোচ্চ পদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। বঙ্গভবনের ৫২ বছরের ইতিহাসে এটি বিরল দৃষ্টান্ত।
আজ সোমবার দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন আবদুল হামিদ। দুপুরের পর থেকে আবদুল হামিদ আর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না।
মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মোঃ শাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হবেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ তাঁর পরিবার নিয়ে নাগরিক জীবনে গণমানুষের কাতারে সামিল হবেন।
আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসা ‘প্রেসিডেন্ট লজে’ থাকবেন। সেখানে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ সোমবার দুপুরে বঙ্গভবন ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন সকালে নতুন প্রেসিডেন্টকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত চৌকস অশ্বারোহী দল বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করবে।
বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবন গেট থেকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাবেন। মাঝখান দিয়ে খোলা জিপে করে প্রেসিডেন্ট যাবেন। তাঁর খোলা জিপে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে তাঁকে বিদায় জানানো হবে। সেখান থেকে তাঁকে শেষবারের মতো মোটর শোভাযাত্রায় নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান আবেদিন।
টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন কাটিয়ে অবসরে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
এর আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোঃ জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব নেন তিনি। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন।
পরে আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
প্রেসিডেন্ট হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
আবদুল হামিদ নবম সংসদে স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সাতবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। (বাসস)
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ