বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে: নসরুল হামিদ
২০ মে ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম | আপডেট: ২০ মে ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অভিযোগ করে বলেছেন, অনেক বড় বড় কারখানা রয়েছে যারা একটা গ্যাস লাইনের অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে তারা তাদের কারখানায় আরও একটি অবৈধ বাইপাস লাইন করে গ্যাস নিচ্ছেন। তাদের এ অনৈতিক কাজের কারণে অন্যরা গ্যাস পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা এই অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাই। তবে আমরা চাই কারখানা হোক। শিল্প গড়ে উঠলে অর্থনীতি বড় হবে।
শনিবার (২০ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জ্বালানি নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডার ডায়ালগে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, এফআইসিসিআই সভাপতি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।
নসরুল হামিদ বলেন, অনেক গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলন বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়। বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি গ্যাসকূপ খনন সময় সাপেক্ষ, এখানে প্রতিটি কূপ সার্ভে করতে ৯ থেকে ২১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। এমন ১০টি কূপের মধ্যে ৩ থেকে ৪টি কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে অনেক অর্থ চলে যায়। এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। প্রথমদিকে দেশীয় গ্যাসের কোনো মূল্য দেওয়া হতো না, কিন্তু এখানেও বড় খরচ হয়। আমরা আসার পর একটি মিনিমাম দাম নির্ধারণ করে দেই।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। আগে দেশীয় গ্যাস দিয়ে সার তৈরি করা হতো, তখন শিল্পখাতে এত বেশি গ্যাসের চাহিদা ছিল না। সার উৎপাদনের পর গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি খাতে গ্যাসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে, দেশে ইন্ডাস্ট্রিও হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কারখানা হওয়ায় সেখানে গ্যাস সংযোগ দিতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে দেশে ২ হাজার ৯০৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস খরচ হচ্ছে। মোট গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ খাতে। এছাড়া শিল্পখাতে ব্যবহার হচ্ছে ১৮ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৭ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৬ শতাংশ, সিএনজিতে ৩ শতাংশ এবং কমার্শিয়াল অ্যান্ড চা খাতে এক শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে।
1 Attached Images
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার
১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার