জনগণের সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে :মুখপাত্র ডোজারিক
২২ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৯ এএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৮:২২ এএম
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে সমর্থন করে সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেছেন, বাংলাদেশের জাতিসংঘ টিমের প্রতি মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় যে, যদি কোনো সদস্য রাষ্ট্র কোনো প্রতিনিধির বক্তব্যে মনে করে তাদের এ ইস্যুতে কিছু বলার আছে তাহলে তাকে ডেকে আলোচনা করতে পারে। তবে আমাদের বাংলাদেশে টিম যা করছে তাতে জাতিসংঘের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
এছাড়া বিরোধী দল বিএনপির দেশব্যাপি সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসুচীতে পুলিশি হামলায় নিহত এবং হাজারো বিক্ষোভকারী আহত হওয়া প্রসঙ্গে এই মুখপাত্র বলেন, “জনগণের কথা বলার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার থাকতে হবে। কর্তৃপক্ষকে জনগণের সে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। “
শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
ব্রিফ্রিংয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান, "ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট পোস্ট করায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসকে তলব করেছে দেশটির সরকার। বিরোধী দলগুলো এই উপনির্বাচন বয়কট করেছে। হামলার ঘটনায় শুধু জাতিসংঘ নয় বরং যুক্তরাষ্ট্র ও
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১২টি দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত? একটি সদস্য রাষ্ট্র কেনো জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে এভাবে তলব করবে? উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট পোস্ট করায় এভাবে তলব করা যায়?"
জবাবে ডোজারিক বলেন, "এখানে দুটি বিষয় লক্ষনীয় । প্রথমত, বাংলাদেশে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলে যারা কাজ করছেন তাদের সকলের ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিবের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যদি কোনো সদস্য রাষ্ট্র কোনো প্রতিনিধির বক্তব্য শোনার পর মনে করে তাদের এ ইস্যুতে কিছু বলার আছে তাহলে তাকে ডেকে বলতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়, যা একটি নিয়মের অংশ বলা যায়। সদস্য রাষ্ট্র যদি মনে করে কোনো প্রতিনিধির বক্তব্য তারা সন্তুষ্ট নয় তাহলে তারা দ্বিমত পোষণ করতেই পারে।
কিন্তু বাংলাদেশে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের কাজে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।"
অপর এক প্রশ্নে এই সংবাদদাতা জানতে চান, "আগামী জানুয়ারিত অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে লাখো মানুষ শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। এই বিক্ষোভে বিরোধী দলের দুই জন কর্মী নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে হাজারো মানুষ। এই পোডিয়াম থেকে আপনি বারবার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আহবান জানিয়েছেন। আপনি কী মনে করেন বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব?"
জবাবে ডোজারিক বলেন, “আমি মনে করি জনগণের কথা বলার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে।জনগণের সে অধিকার নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য। এবিষয়ে এর আগেও আমরা আলোকপাত করেছি । নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই আমি এখনই কোনো অনুমান করতে চাইনা।"
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক