বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে : যুক্তরাষ্ট্র
২৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৭ এএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৭ এএম
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে এক প্রতিবেদনে ওই আশঙ্কা স্থান পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালের ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গতকাল বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচনের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন অনিয়ম, সহিংসতা ও ভয়ভীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, সরকারের কিছু পদক্ষেপের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের ঋণ নেওয়া, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গ প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের কারণ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের মধ্যে কৌশলগত অবস্থান এবং বড় শ্রমশক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, সীমিত অর্থায়নের উপকরণ, আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব, শ্রম আইনের শিথিল প্রয়োগ এবং দুর্নীতি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। এই সীমাবদ্ধতা কমাতে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে।
তবে বাংলাদেশ এখনো তার বিদেশি বিনিয়োগ নীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, শ্রম, মেধা সম্পত্তি অধিকার (আইপিআর) এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু সেগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। গত এক দশকে অগ্নিনির্বাপণ ও নিরাপত্তার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে শ্রমিকদের স্বাধীনতা ও দর-কষাকষির অধিকার সীমিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশগত অনেক সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। কিন্তু এর পরও ঢাকা বায়ুদূষণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহরগুলোর অন্যতম।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ ওভারের থ্রিলারে কিউইদের নাটকীয় জয়
দফতর পুনর্বণ্টনের পর কে পেলেন কোনটি
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা বন্ধ করেছে কাতার
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না ইইউ
ইয়েমেনের রাজধানীতে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর অভিযান
আড়াই হাজার লিটার বুকের দুধ দান করে বিশ্বরেকর্ড
পরাজয় নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরে উত্তাপ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
দলীয় পদে শামা ওবায়েদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
পরকীয়ার জন্য স্বামী আত্মঘাতী হলে দায় স্ত্রীর নয় : আদালত
ফের রাজপথে
মার্কিন-মেক্সিকো চুক্তি
বিশ্ব সেরা স্কুল
দুঃসংবাদ
৮৮ হাজার টাকা জরিমানা, ৯৩৬ কেজি পলিথিন জব্দ
তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সিলেটে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিমের মতবিনিময়
শহীদ নুর হোসেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান
সিলেটের বন্ধ থাকা সকল পাথর কোয়ারী খুলে দিতে হবে: চরমোনাইর পীর
সাইবার বুলিং বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে : নাহিদ ইসলাম
ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বন্ধুত্ব কতটা মুখে আর কতটা কাজে!