বাংলাদেশ চায়নার দিকে ঝুঁকছে কী না জানতে চাইলেন মার্কিন কংগ্রেম্যান কেইস ও রিচার্ড
১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
বাংলাদেশ চায়নার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে কী না -জানতে চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেম্যান এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক। জবাবে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা চীনের ঋণের ফাঁদে যাচ্ছি না।’
রোববার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় সফররত মার্কিন দুই কংগ্রেম্যান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। সাংবাদিকরা জানতে চান-ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিক সমস্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় চীনের প্রসঙ্গ এসেছে কি না? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’ওদের কাছে বিভিন্ন লোকজন বলছেন, বাংলাদেশ একটা ভংয়কর জায়গা। এরা চায়নার খপ্পরে পড়ে গেছে। চায়নার গোলাম হয়ে গেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর এখানে (বাংলাদেশ) একটা ভয়ংকর জায়গা, এখানে অশান্তি! পুলিশ সব মানুষকে ধরে মেরে ফেলছে। যখন-তখন রাস্তা-ঘাটে লোক মরছে। এ ধরনের একটা ধারণা হয়ে গেছে। ওই ভয় আরকি।’ ড. মোমেন আরও বলেন, চীন নিয়ে ওরা (কংগ্রেসমস্যানরা) বলেছে, তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছ। আমরা বলেছি, চীনের ঋণের ফাঁদে যাচ্ছি না। আমরা চীন থেকে ঋণ নিয়েছি, সেটা এক পার্সেন্টের মতো। এটা কোনো বড় ইস্যু না। বলেছি, মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা অবাধ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনার বিষয়ে মোমেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যে আউটলুক তৈরি করেছি, সেটা বলেছি। আমরা চাই, ফ্রি, ফেয়ার, ইনক্লুসিভ ও সিকিউর ইন্দো-প্যাসিফিক চাই। ফ্রি নেভিগেশন চাই। সবাই সমৃদ্ধ হবে, এমন ইন্দো-প্যাসিফিক আমরা চাই।
রোহিঙ্গাদের নিতে আগ্রহী না যুক্তরাষ্ট্র
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে গত বছর ৬২ জন রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নেওয়ার বিষয়ে দেশটির আগ্রহ নেই বলে জানিযেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের কাজ-কর্ম নাই। তোমরা এদের (রোহিঙ্গাদের) তোমাদের দেশে কাজ-কর্ম দিয়ে দাও। ট্রেনিং দাও। আমি বললাম, দুনিয়াতে আমরা সবচেয়ে বেশি ঘনবসতির দেশ। আমাদের লোকেদের কর্মসংস্থানের দেশের বাইরে পাঠাতে হচ্ছে। ওরা (রোহিঙ্গারা) দেশে ফেরত যাক। আমাদের অগ্রাধিকারও প্রত্যাবাসন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তোমরা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছ, রোহিঙ্গাদের কিছু লোক নিয়ে যাবা, ৬২ নিয়েছে। তোমরা চিন্তা করতে পার, আরও লোক নেওয়ার। ওরা (কংগ্রেস্যানরা) বলেছে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এটা নিয়ে আগ্রহী না। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৬২ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল