ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টসকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে সিপিডির দাবি
৩০ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪০ পিএম
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টসকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বুধবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা : অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখনো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) আওতায় ১৮৮৭টি কারখানা মনিটরিংয়ের মধ্যে রয়েছে। আর নিরাপদ হিসেবে ৩৫০টি কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) আওতায় ৬৫৯টি কারখানা মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসিসি ও আরসিসির মনিটরিংয়ে রয়েছে। কিন্তু ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো মনিটরিংয়ের আওতায় নেই। কীভাবে এই কারখানাগুলোকে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে চোখ রাখা উচিত।
তিনি বলেন, ৮৫৬টি কারখানাগুলোতে কাজ চলছে, রপ্তানিও হচ্ছে। এরা সবাই কাজই করছে, তাহলে ওই কারখানাগুলো মনিটরিং কে করবে? এই সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা মোট কারখানার ২২-২৩ শতাংশ। যা ভবিষ্যতে ৩০ শতাংশ হতে পারে। কারখানাগুলোকে তদারকির মধ্যে আনতে হবে। কোনো কারখানা অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে থাকতে পারবে না। কেননা এসব কারখানায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার কে নেবে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ওই কারখানার দায়ভার নেবে না। আমরা চাই সব কারখানা যেন কোনো না কোনো সংগঠনের সঙ্গে দায়বদ্ধতায় থাকে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) যে কাজগুলো করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাদের কার্যক্রমের আরও স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতার মধ্যে আনারও দাবি জানিয়েছে সিপিডি।
সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের দশ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই বিপর্যয় পরবর্তী এক দশকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । বিশেষ করে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা তদারকির ক্ষেত্রে শক্তিশালী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
ইতোমধ্যে, বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অ্যাকর্ড আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানসহ অন্যান্য পোশাক সরবরাহকারী দেশগুলোতে প্রোগ্রামটি পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকিতে এই বিশেষ অগ্রগতির পরেও অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পরে নতুন উদ্যোগগুলোর অর্জন ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনাগুলো তদারকির দায়িত্বে থাকা দেশীয় সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তা ধারাবাহিকভাবে পালন করছে কি না, তা সম্প্রতি দেশে পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কিছুটা বেড়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা তদারকির বর্তমান প্রক্রিয়াকে নতুন করে পর্যালোচনা করা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?
রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান
প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত
মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার
যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি
মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?
খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক
জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি
৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী
মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা
রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর
মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ
‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি
বিমানের এই কর্মকা- সহ্য করার মতো নয় -সিলেট সুধীজন
বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে নিত্যপণ্য কেনাকাটার ধুম