জনগণ এই সরকারকে আর কোনো নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে দেবে না : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। কেয়ারটেকার ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে সরকার পরিবর্তনের একটা নিয়ম ছিলো। সেটাকে নানা ষড়যন্ত্র করে বাদ দিয়ে এখন নিজেদের দলীয় পছন্দের লোক দিয়ে আওয়ামী সরকার আরও একটি পাতানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, যার ফলে আজকে দেশে একটা অরাজকতা বিশৃঙ্খলা চলছে। গোটা জাতি আজ এক অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত। এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের ভোট ও ভাতে অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজপথে আসতে হবে। দেশের জনগণ এই সরকারকে আর কোন নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে দিবেনা। আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো এই চাওয়া পূরণে এখনই সময় কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ও এক দফার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার। তাই ক্ষমতাসীন জালেম সরকারের বিরুদ্ধে এবং মাজলুমের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে নিজেদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা দিয়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সহযোগী সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। সম্মেলনে আরও বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর যথাক্রমে আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার পরেও এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ইসলাম বিমূখ করে সাজানো হয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যে শিক্ষা কারিকুলাম চলছে সেখানে আল কুরআন শেখার জন্য নাম মাত্র ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। আবার ইসলামের সামান্য কিছু বিষয় পাঠ্য বইয়ে থাকলেও সেগুলো অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে মুছে দিয়ে নিজেদের মন গড়া গল্প যুক্ত করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা) এবং তার সাহাবাদের স্বর্ণালী জীবন-যাপন আজকের মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা জানতে পারছে না। অথচ নৃত্য, গান, পৌত্তলিকতা ও পূজা এসব শিক্ষার্থীদের শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে দিবো না। মুসলিম ঘরে জন্ম নেওয়া আমাদের ছেলে মেয়েরা নাস্তিক হয়ে বেড়ে উঠবে এটা হতে পারে না। ইসলাম বিরোধী শিক্ষা বন্ধে প্রয়োজনে গণআন্দোলন গড়ে তুলে জনহগণ রাস্তায় নেমে আসবে। অবিলম্বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রণয়ন করতে হবে।

এরপরও মুসলিমদের বিধানের কিছু শিক্ষায় থাকলেও সে সব বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে ছাত্র মনে ইসলামকে জানার আগ্রহ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে ইত্যাদি হারাম বিধানকে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেখানো শুরু হয়েছে। যার ফলে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশ হওয়ার পরেও এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্ধকার নেমে এসেছে।

মাওলানা এটিএম মাসুম বলেন, আল্লাহর দ্বীনের কাজ, মানুষকে হেদায়াতের পথে নিয়ে আসার এ কাজ আঞ্জাম দিতে আমাদেরকে অত্যন্ত কঠিন সবরের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এটা যেন তেন ভাবে করা যায় না। হৃদয়ে ভালোবাসা ও ইখলাসের সাথে একাজ করে যেতে হবে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আল্লাহর জমিনে তাঁরই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় জামায়াতের সহযোগীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি
সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর
আরও

আরও পড়ুন

নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত

নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত

এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি

এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি

সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান

সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা

বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা

সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী

‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী

বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন

বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন

মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব

মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব

গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ

ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ

বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে

সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর

আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি

আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু