মানুষ এ সরকারের প্রতি চড়ম বিক্ষুব্ধ: মান্না
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ পিএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ পিএম
সরকার নিজের নিরাপত্তার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে, আমরা এই আইন বাতিল চাই। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন : বাকস্বাধীনতা হরণের নয়া হাতিয়ার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, কারো কোনো মতামত না নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে। এটি ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’। ফ্যাসিবাদী সরকার সাংবাদিক ও দেশের জনগণকে ভয়ে রাখতে এ আইন প্রণয়ন করছে। আমরা এই আইন বাতিল চাই।
বক্তারা বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার যে পাপ করেছে সেটি হিসাব করলে ১০ কোটি মামলা হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ এ সরকারের প্রতি চড়ম বিক্ষুব্ধ, এই সরকার ফোর টোয়েন্টি সরকার, এর চেয়ে প্রতারক সরকার কই আছে, যারা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে। বানিয়ে বানিয়ে কথা বলতে বলতে সরকার এখন জনগণকে ভয় পায়। জনগণ সরকারের পতন চায়।
তিনি বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, ডিজিটাল আইন বা সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইন থাকবে না। এমনকি কোনো বিশেষ ক্ষমতার আইনও থাকবে না, বাতিল করব।
মান্না বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে কার জন্য। এটা তো জনগণের জন্য করা হচ্ছে না, করা হচ্ছে সরকারের নিরাপত্তার জন্য। এ সরকারের পতন ঘটানোর জন্যই তো কাজ করছি। এ সরকার যাতে ক্ষমতায় না থাকতে পারে সেজন্য আন্দোলন করছি।
আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের দালাল-চামচাদের ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এতগুলো বছর জনগণের দুর্ভোগের কারণে হয়েছে, তাদের আমি বলতে চাই, তাদের আমি কেয়ার করি না। প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী-এমপি এদের কাউকেও কেয়ার করি না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এক বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে, সরকার যাবে না। কেউ একজন রিট করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করতে বলা হলো। কিন্তু তারপর কোর্ট (উচ্চ আদালত) সেই তদন্ত বন্ধ করে দিল। আমি সেই আদালতকে দেখতে চাই। এ কথা যদি আদালত অবমাননা হয়, তাহলে করলাম। কিন্তু কোনোভাবে এটা হতে পারে না। একটা দুর্নীতি মামলার তদন্ত হোক, সেটা বন্ধ করতে পারে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, উচ্চ আদালত এখন সরকারের দমন নিপীড়নের হাতিয়ার। এই হাতিয়ারকে ঠিক রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ১৭ কোটি মানুষকে অপমান করেছেন। তার জন্য বর্তমান সরকার যে পরিমাণ পাপ করেছে তাতে সরকারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি মামলা হওয়া উচিত। কিন্তু কোন আদালতে মামলা করবে মানুষ, যাওয়ার জন্য কি জায়গা আছে সেখানে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। ফ্যাসিবাদী তত্ত্বকে টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল আইন করেছে। আমরা এই ডিজিটাল আইন বা সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে এ আইন বাতিল করব।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক