চৌহালীতে থামছেই না নদীভাঙন
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যমুনার আগ্রাসন চলছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায়। এ দীর্ঘ সময়ে নদী ভাঙনে ২১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলাটির অধিকাংশ এলাকায় গিলে খেয়েছে যমুনা নদী। অনেক আগেই বিলীন হয়েছে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। চৌহালী উপজেলার বাকি অংশটুকু ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে আসছেন নদী তীরবর্তী মানুষরা। তবে এখনো নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে ভাঙন।
এ বছরও বর্ষা মৌসুমে দফায় দফায় যমুনার পানি বাড়া ও কমার সঙ্গে সমান তালে চলছে নদী ভাঙনও। সম্প্রতি উমারপুর ইউনিয়নের উমারপুর, খাষ পুখুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ, চরবিনানই, চর সলিমাবাদ, ভ‚তের মোড় এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনে ৫০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অসংখ্য গাছপালা, ৪০টি দোকান, ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শত শত বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছেন ভাঙন কবলিতরা। অপরদিকে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে চৌবাড়িয়া বিএম কলেজ, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পয়লা দাখিল মাদরাসা, ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, এতিমখানা, শত বছরের কবরস্থানসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চৌহালীর খাষপুখুরিয়া থেকে চরসলিমাবাদ পর্যন্ত নদী তীর সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এ প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। তবে উদ্বোধনের তিন মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে নতুন করে আমরা গৃহহীন হয়েছি। যখন ভাঙন তীব্র হয় অল্প কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে চলে যায় আর খবর থাকে না। সময় মতো কাজ শুরু করলে নতুন করে শত শত ঘরবাড়ি আর বিলীন হতো না।
চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিন বছর আগে পৈত্রিক ভিটেবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়। নদী আবারও বর্তমান বাড়ির কাছে চলে এসেছে। এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাঘুটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম মোল্লা বলেন, দেওয়ানগঞ্জ, চরসলিমাবাদ ভ‚তের মোড়ের ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চৌহালীতে দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন রয়েছে। বন্যার পানি বাড়ার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি, পানি কমে গেলে অক্টোবরে কাজ শুরু করা হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ