বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারী আচরণ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত : টাইমস অব ইন্ডিয়া
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারী ধারা নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। এটা তার স্বার্থের পাশাপাশি নয়াদিল্লিরও ক্ষতি করবে।বাংলাদেশে নির্বাচন আসন্ন। কিন্তু বিরোধী দলের অনেক নেতাকে জেলে পাঠানো হচ্ছে। একটি বড় দলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থি দল জামায়াতে ইসলামিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে আগের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের দমনপীড়নের জেরে প্রায় ১৩৯ জন সিনিয়র বিরোধী নেতা ও কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বিএনপির। অবশ্যই, বিরোধীরা কিছু সহিংস বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে ৭ই জানুয়ারি একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে বাধ্য করা। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের দাবিতে রাস্তায় নামে বিএনপি।
তবে যা উদ্বেগ বাড়ায়, তা হলো- এর আগে বিরোধীদের দখলে থাকা জায়গাগুলোতে শূন্যতা। মূলধারার বিরোধী দলগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উগ্রপন্থিদের পথ করে দেয়া। এটা বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ উভয়ের জন্যই খারাপ। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের যোগ দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই অস্থির দলত্যাগীরা ভেতর থেকে আওয়ামী নেতৃত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
তারপর আছে মার্কিন ফ্যাক্টর। ওয়াশিংটন স্পষ্টতই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদের অভিযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং চীনের সঙ্গে তার বৃহত্তর কৌশলগত দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশকে। এর সঙ্গে আছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা তিন মাসের আমদানির জন্য নামমাত্র যথেষ্ট। সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৯.৬ ভাগ ছুঁয়েছে। তাই শেখ হাসিনার ওপর বহুবিধ চাপ তৈরি হচ্ছে।
বিরোধী দলের যে অবস্থান থাকা উচিত, তাদেরকে সেই স্থান না দিলে, উগ্রপন্থিদের যে অবস্থান বর্তমানে নেই- তারা সেই অবস্থান তৈরি করে নেবে। ভারতের জন্য এটা ভয়ঙ্কর খবর। একটি উগ্রবাদী বাংলাদেশি এস্টাবলিশমেন্ট পাকিস্তানকে রাজনৈতিক খেলায় ফিরিয়ে আনতে পারে। নিজের এবং শেখ হাসিনার স্বার্থেই তাকে নয়া দিল্লির বলা উচিত পথ পরিবর্তন করতে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর
ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় পবিত্র নদীতে স্নানের মহোৎসব , আধ্যাত্মিকতার মহাযজ্ঞ
কলাপাড়ায় বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদকের বাসায় চুরি
কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল
রাজউক উত্তরা জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিষিদ্ধ সংগঠন সহ-সভাপতি সজল ১ দিনের রিমান্ডে
কুলাউড়ায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ট্রাম্পের শপথের আগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার
টেকনাফের কৃতিসন্তান সাইফুল্লাহকে পুলিশের এআইজি পদে পদায়ন
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেল ফরিদপুরের চার আলেম
টিকটক কিনছেন না মাস্ক, জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা
সাতক্ষীরায় নববধূকে নির্যাতন করে হত্যা! স্বামী আটক
ফরিদপুরে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় বাড়ির কেয়ারটেকারকে হত্যা : গ্রেপ্তার ৩
হাজীগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
৪৩ বছর বয়সে ক্রিকেটে ফিরছেন অ্যান্ডারসন
ইসরায়েলে হুথি গোষ্ঠীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ জন আহত
সিংগাইরে ট্রাক ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১
মুজিবনগরে ১৮ টি স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
শেরপুর সীমান্তে অপরাধপ্রবণতা বন্ধে বিজিবির জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
জ্যাক স্মিথের প্রতিবেদনে ট্রাম্পের ২০২০ নির্বাচনে কারচুপির প্রচেষ্টা প্রকাশ