নদী রক্ষা করতে না পারলে, দেশ রক্ষা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোতে দূষণ বাড়ছে। তাই বিভিন্ন স্থানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও জানান।
আজ সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে করা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ সরকারের লক্ষ্য ছিল, নদী রক্ষা ও নাব্যতা বজায় রাখা এবং দূষণ থেকে রক্ষা করা। সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পলিমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। নদী ড্রেজিং করতে হবে এবং নাব্যতাও বজায় রাখতে হবে। ভাঙন রোধ করতে এবং নদী ড্রেজিংও করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠছে, সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে ফেলা হচ্ছে। স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে ফেলায় দূষণ বাড়ছে। দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুর্গন্ধ আসা খুবই বেদনাদায়ক। আমরা যাই করি না কেন, প্রথমে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখতে হবে।
রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নদী শাসনের নামে এক সময় উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। তবে একটি নদীর গভীরতা বিবেচনা করতে হবে, এবং আমাদের অবশ্যই নদীর পাশে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে; যাতে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়।
পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন,
ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব শহরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে, পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, অতীতে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি। পাকিস্তান আমলেও এটি ঘটেনি এবং এমনকি ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা, যারা অস্ত্র নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে এসেছিল, তারাও দেশের সামগ্রিক সমন্বিত এবং পরিকল্পিত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি। ফলস্বরূপ পরিবেশগত সমস্যাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এবং নদীগুলো দখল করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান