ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

কর আরও কমেছে জমি-ফ্ল্যাট বিক্রিতে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম

 

 

জমি বা ফ্ল্যাটসহ ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে জমি নিবন্ধন উৎস কর আরও কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ৩০ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ইস্যু করে কর কমানো হয়। সোমবার (৪ নভেম্বর) ‍এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন- ২০২৩– এর ৩৪৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন আদেশ অনুযায়ী– ঢাকা জেলার গুলশান, বনানী, মতিঝিল ও তেজগাঁও থানার অন্তর্গত সব মৌজার জমিকে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির আওতাভুক্ত মৌজার জমি নিবন্ধনে উৎস কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৬-১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। ওই শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎস কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে।

ঢাকার ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল থানা, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, বংশাল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজার জমিকে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির আওতাভুক্ত জমি নিবন্ধনে উৎস কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৪, ১০ ও ১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। ওই শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎস কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৩ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের তিন নম্বর সারণীতে ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, চকবাজার থানা, লালবাগ থানা, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া থানার অন্তর্গত সব জমিকে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির আওতাভুক্ত জমি নিবন্ধনে উৎস কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। ওই শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎস কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১.৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা জেলার খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা থানা, পল্লবী থানা, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর মডেল, দারুস সালাম থানা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর থানা, গাজীপুর, জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানার অন্তর্গত সব মৌজার জমিকে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির আওতাভুক্ত জমি নিবন্ধনে উৎস কর দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১.৫ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। ওই শ্রেণির জমি নিবন্ধনে উৎস কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালী থানা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, ফতুল্লা, সিদ্দিরগঞ্জ, বন্দর থানা ও গাজীপুরে টঙ্গীসহ কয়েকটি এলাকার সব মৌজার জমিকে ক, খ, গ, ঘ ও ঙ শ্রেণির আওতাভুক্ত জমি নিবন্ধনে উৎস কর দলিল মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার, ১ লাখ ও ৩ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা হবে।

এ চার শ্রেণির বাইরে দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, চকবাজার, বান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, বায়েজিদ ও সদরঘাট থানার অন্তর্গত সব মৌজা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে সব মৌজার জমি নিবন্ধনে উৎস কর ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ ও ৮০ হাজার এবং ২ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর উৎসে কর বিধিমালায় জমি নিবন্ধনের সর্বোচ্চ করহার ২০ লাখ থেকে কমিয়ে ১৫ লাখ টাকা বা দলিল মূল্যের ৮ ও ৬ শতাংশের ওপর দুইটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় চূড়ান্ত করে দেয় সরকার। জমি বিক্রির সময় চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ কর অথবা এলাকাভেদে কাঠাপ্রতি ন্যূনতম কর নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে ফ্ল্যাট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা বা চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ— যেটি বেশি, সেটি কর হিসেবে দিতে হবে। এর পাশাপাশি জমি বা সম্পত্তির বিক্রিতে পাওয়া লাভের টাকায় বাড়তি করের বিধান রাখা হয়েছিল নতুন আয়কর আইনে।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত