অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম
আজ চিত্রশিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৫১ সালের আজকের দিনে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান বাঙালি চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক এবং লেখক। তাকে ভারতীয় উপমহাদেশে চিত্রশিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো ছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭১ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার দাদা গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩য় ভাই। তার পিতামহ ও পিতা উভয়েই ছিলেন চিত্রশিল্পী। সেই সুবাদে শৈশবেই চিত্রকলার আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৮৮১ সালে সংস্কৃত অধ্যয়নের মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১৮৮১ থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত অবনীন্দ্রনাথ সংস্কৃত কলেজে ছাত্র ছিলেন। ১৮৯০ সালে গড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খামখেয়ালি সভার সভ্য হয়ে তিনি কবিতা পাঠ এবং নাটক করেন। তিনি ১৮৯৬ সালে কলকাতা আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই মর্যাদা লাভ করেন। ১৯১১ সালে রাজা ৫ম জর্জ ও রানি মেরি ভারত ভ্রমণে এলে আর্ট গ্যালারি পরিদর্শনের সময় তাদেরকে ওরিয়েন্টাল আর্ট সম্পর্কে বোঝাবার দায়িত্ব তিনি পান। তিনি বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন। তার এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে চিত্রশিল্পের বিপ্লব ঘটে।
১৯১৩ সালে লন্ডনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে "সি আই ই" উপাধী লাভ করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে "ডক্টর অফ লিটারেচার" ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৫১ সালের ৫ ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
গল্প, কবিতা, চিঠিপত্র, শিল্প আলোচনা, যাত্রাপালা, পুঁথি, স্মৃতিকথা সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত রচনা সংখ্যা প্রায় তিনশত সত্তরটি। তবে তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে আনুমানিক ২৬টির সন্ধান পাওয়া যায়। তার সন্ধানপ্রাপ্ত গ্রন্থাবলীর মধ্যে আছে- শকুন্তলা (১৮৯৫), ক্ষীরের পুতুল (১৮৯৬), রাজকাহিনী (১৯০৯), ভারত শিল্প (১৯০৯), ভূত পত্রীর দেশ (১৯১৫), নালক (১৯১৬), বাংলার ব্রত (১৯১৯), খাজাঞ্জির খাতা (১৯২১), প্রিয় দর্শিকা (১৯২১), চিত্রাক্ষর (১৯২৯), বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী (১৯২৯), বুড়ো আংলা (১৯৪১), জোড়াসাঁকোর ধারে (১৯৪৪), সহজ চিত্র শিক্ষা (১৯৪৬), ভারত শিল্পের ষড়ঙ্গ (১৯৪৭), আলোর ফুলকি (১৯৪৭), ভারত শিল্পে মূর্তি (১৯৪৭), মাসি (১৯৫৪), একে তিন তিনে এক (১৯৫৪), শিল্পায়ন (১৯৫৫), মারুতির পুঁথি (১৯৫৬), রং বেরং (১৯৫৮) প্রভৃতি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত