ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সিলেটে শহর রক্ষা বাঁধ হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৮ পিএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৮ পিএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গত ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে হবে। আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখতে চাই না। এজন্য শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর আগে এখানে এসেছিলেন তখন আমার বড়ভাই (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাকে শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছিলেন। আর আপনারা ভোট দিয়েছেন বলে তিনি জনগণের জন্য কাজ করেছ্নে। আমিও আমার বড়ভাইয়ের মতো কাজ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা মহা আনন্দিত। আমাদের দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহেনাকে আমি অভিনন্দন জানাই। তাদের জন্য দোয়া করি। এই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছু কুলাঙ্গারদের কারণে তার স্বপ্নের অনেক কাজ করতে পারেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সিলেটে শহর রক্ষা বাঁধ হবে। সিলেটে রেলওয়ের উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রকল্প উন্নয়ন কমিটিতে গেছে।

ড. মোমেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহেনাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীর প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি সিলেটের উন্নয়নে সবসময় নজর রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণে গত ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো সুরমা-কুশিয়ারা নদীর খনন কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে সিলেটে শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হবে। সিলেটে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্প ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ সরকার গঠনের পরপরই আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের কাজটিও শুরু হবে।

জনসভায় উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। গত কয়েক বছরে এটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে। নারীর ক্ষমতায়নের ফলে এখন নারীরা জজ, সচিব, রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী-পুলিশ ও অন্যান্য শীর্ষপদে আসীন হচ্ছেন। আগে বিভিন্ন সার্টিফিকেট-কাগজাদিতে আমাদের শুধু পিতার নামই লেখা হতো। প্রধানমন্ত্রী পিতার নামের সঙ্গে মায়ের নাম অর্ন্তভুক্ত করে নারী জাতিকে সম্মান জানিয়েছেন।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও অধ্যাপক জাকির হোসেনের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সুদীপ রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ডাক্তার মুশফিক আহমেদ চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নান এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লার অন্ধকার জগত: উত্থান-মৃত্যু

জাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লার অন্ধকার জগত: উত্থান-মৃত্যু

ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের নীরবতার দিন শেষ : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের নীরবতার দিন শেষ : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

তারাকান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

তারাকান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

জরিপ এবং প্রজেক্ট প্রোফাইলেই আটকে আছে নাটোর পৌরসভার ৩২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন

জরিপ এবং প্রজেক্ট প্রোফাইলেই আটকে আছে নাটোর পৌরসভার ৩২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন

বৃষ্টি থামলেও কমেনি দুর্ভোগ, নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

বৃষ্টি থামলেও কমেনি দুর্ভোগ, নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম

চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন

সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর গাছের নিচে মিললো যুবকের মরদেহ

সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর গাছের নিচে মিললো যুবকের মরদেহ

নগরকান্দায় সড়কে প্রাণ গেল দুই কলেজ শিক্ষার্থীর

নগরকান্দায় সড়কে প্রাণ গেল দুই কলেজ শিক্ষার্থীর

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৩ রোহিঙ্গাসহ ১০ জন আটক

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৩ রোহিঙ্গাসহ ১০ জন আটক

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর এবার মজুরি ২৫,০০০ টাকা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর এবার মজুরি ২৫,০০০ টাকা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এমডি শূন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হ য ব র ল

এমডি শূন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হ য ব র ল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা