ঢাকা   বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১

পাতানো নির্বাচনে দেশ ভয়াবহ সঙ্কটে নিপতিত হবে : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। সরকার জনগণের এ অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে সভাসমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। জনতার অধিকার নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। নির্বাচনের নামে তামাশা ও প্রহসন করবেন না। প্রয়োজন হলে গণভবন থেকে তালিকা প্রকাশ করে দিন। তবু দেশের সম্পদ নষ্ট করে কোনো নাটক করবেন না। তিনি বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য। আমার সন্তানকে বাবুর্চি, ধোপা, নাপিত বানানোর জন্য তথা ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করার জন্যই শিক্ষা কারিকুলামে আলুভর্তা আর ডিমভাজির শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের নামে আসন ভাগাভাগি ও ডামি নির্বাচনের নামে দেশে তামাশা শুরু হয়েছে। একতরফা ও পাতানো নির্বাচন হলে দেশ ভয়াবহ সঙ্কটে নিপতিত হবে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত জাতিসত্তাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও একতরফা পাতানো নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদলের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে। গণবিরোধী এ তফসিল অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশের জনগণ এ অবৈধ তফসিল মানে না। দেশবাসি অবৈধ এ তফসিলের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব আরও বলেন, অবৈধ সরকার জাতিসত্তাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের চূড়ান্ত খেলায় মেতে ওঠেছে। এ কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে দেশের জ্বিনাব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে। হাজার বছরের পারিবারিক ঐতিহ্য বিনষ্ট হবে। ছাত্র ও যুবকশ্রেণি ক্রমান্বয়ে নৈতিক পদস্খলনের দিকে ধাবিত হবে। দেশ নতুন করে নেতৃত্বশুন্য হবে। তিনি সরকারের প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জাতিসত্তা ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল ও বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করুন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, অ্যাডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে। নাটক করতে মন চাইলে আওয়ামীগের মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে উত্তোলন করা টাকা দিয়ে করেন। জনগণের টাকা দিয়ে কোনো নাটক করবেন না। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেন্টিমেন্টবিরোধী। এ কারিকুলাম বাতিল করতে হবে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। এ সময় বিক্ষব্ধ নেতাকর্মী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ও শ্লোগান দিতে থাকে। দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে কর্মীরা শান্ত হলে সেখানে দলের মহাসচিবের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ করা হয়।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
বেসরকারি অপারেটর দিয়ে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের ইজারা বাতিল
তাপস ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আরও

আরও পড়ুন

লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা

লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার

অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী

অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী

পার্লামেন্টে ক্ষমা

পার্লামেন্টে ক্ষমা

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!

লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার

লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার

মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার

মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার

সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক

সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক

গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই

গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই

সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির

সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির

স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।

স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।

আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন

আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন

জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার

জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার

ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি

ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি

বিতর্ক পরিহার করতে হবে

বিতর্ক পরিহার করতে হবে

ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না

ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না

নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা

নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা